বন্দরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাষান্ড চাচাদের ২ দফা সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের ৩ সদস্য রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিরা আহতদের কাছ থেকে ১টি আই ফোন ও ১টি এনড্রয়েট মোবাইল ফোন ও নগদ ৮ হাজার ৩'শ টাকা ছিনিয়ে নেয়।   

আহতরা হলো মোস্তাকিম ওরফে শ্রাবন (২২) তার পিতা সালাউদ্দিন (৫৫) ও মা কল্পনা বেগম (৪২)। স্থানীয়রা আহতদের মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে ২ জনকে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অপর গুরুতর আহত মোস্তাকিমকে  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

এ  ব্যাপারে আহত গৃহবধূ  কল্পনা বেগম প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর)  সকালে হামলাকারি ৩ দেবরসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ অ়ভিযোগ দায়ের করেন তিনি। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর)  রাত ৮টায় ও শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর)  সকাল সাড়ে ৬টায় বন্দর থানার ২৭ নং ওয়ার্ডের চাপাতলীস্থ বাদিনী বসত বাড়ি সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার চাপাতলী এলাকার মৃৃত আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিনের সাথে তারেই আপন ৩ ছোট ভাই সেলিম, শাহিন ও রুমান তার স্ত্রী মাকছুদা সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল।

এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় পাষান্ড ৩  চাচা ও তাদের স্ত্রীসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারেই ভাতিজা মোস্তাকিমের উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারি পাষান্ড চাচা সেলিম তার হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল মুখে কোপ দিয়ে গুরুতর কাটা জখমসহ ৩টি দাঁত উপরে ফেলে।

এ ছাড়াও শুক্রবার সকালে পাষান্ড ৩ চাচা সেলিম, শাহিন ও রুমান তার স্ত্রী মাকছুদা সাথসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদিনী বসত বাড়ি সামনে পুনরায় অতর্কিত মামলা চালিয়ে বাদিনী ও তার স্বামীকে এসএস পাইপ ও লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে অমানবিক ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জমাট বাধা জখম করে ২টি মোবাইল সেট ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।

স্থানীয়রা আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গুরুতর জখমপ্রাপ্ত মোস্তাকিম আশংকা জনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা রয়েছে বলে আহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: পর ব র ন র য়ণগঞ জ আহতদ র

এছাড়াও পড়ুন:

শহীদ–আহতদের আত্মত্যাগ ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: চাকসু ভিপি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) ভিপি মো. ইব্রাহীম হোসেন রনি বলেছেন, “এ বিজয় চাকসু বা আমার নয়; এ বিজয় তাদের, যারা এই দেশের পুনর্গঠনে আহত হয়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন। এই আত্মত্যাগ তখনই সফল হবে, যখন আমরা দেশকে সত্যিকারের সুন্দর, সঠিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। তরুণ সমাজকে সেই সোনালী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।”

শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে বাগাতিপাড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা সর্বস্তরের ছাত্র–জনতার ব্যানারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

রাবিতে শিবিরের নবীনবরণে ডাকসুসহ ৩ ছাত্র সংসদের ভিপি

‘সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত’

রনি বলেন, “আওয়ামী লীগ যদি আবারো ফ্যাসিবাদী রূপে ফিরে আসতে চায়, তবে তাদেরও ফ্যাসিবাদী কায়দায় প্রতিহত করা হবে। দেশের জনগণ আর কখনো তাদের গ্রহণ করবে না। গুম, খুন, হত্যা, দুর্নীতি—এসব করে তারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে।”

অতীতে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, “নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় নেই কেন? জেলার ছাত্র–ছাত্রীদের ৭০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে লেখাপড়া করতে হয়—এটাই বা কেন?”

বাগাতিপাড়ার অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এই উপজেলায় তিনটি রেলস্টেশন থাকার পরো আন্তঃনগর কোনো ট্রেন থামে না। ঢাকায় যেতে সবাইকে নাটোর স্টেশনে ছুটতে হয়—এটা জনগণের প্রতি অবিচার।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও জেলা আমির অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন লালপুর–বাগাতিপাড়া–১ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।

বাগাতিপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা এ কে এম আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জাকির হোসেন মাস্টারের সঞ্চালনায় এ সময় আরো বক্তব্য দেন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক সাদেকুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি ও বড়াইগ্রাম–গুরুদাসপুর–৪ আসনে এমপি প্রার্থী আব্দুল হাকিম, সহকারী সেক্রেটারি আতিকুল ইসলাম রাসেল, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. জাহিদ হাসান প্রমুখ।

ঢাকা/আরিফুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শহীদ–আহতদের আত্মত্যাগ ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: চাকসু ভিপি