বন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের ৩ সদস্য আহত
Published: 26th, September 2025 GMT
বন্দরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাষান্ড চাচাদের ২ দফা সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের ৩ সদস্য রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিরা আহতদের কাছ থেকে ১টি আই ফোন ও ১টি এনড্রয়েট মোবাইল ফোন ও নগদ ৮ হাজার ৩'শ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
আহতরা হলো মোস্তাকিম ওরফে শ্রাবন (২২) তার পিতা সালাউদ্দিন (৫৫) ও মা কল্পনা বেগম (৪২)। স্থানীয়রা আহতদের মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে ২ জনকে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অপর গুরুতর আহত মোস্তাকিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
এ ব্যাপারে আহত গৃহবধূ কল্পনা বেগম প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে হামলাকারি ৩ দেবরসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ অ়ভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় ও শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টায় বন্দর থানার ২৭ নং ওয়ার্ডের চাপাতলীস্থ বাদিনী বসত বাড়ি সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার চাপাতলী এলাকার মৃৃত আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিনের সাথে তারেই আপন ৩ ছোট ভাই সেলিম, শাহিন ও রুমান তার স্ত্রী মাকছুদা সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল।
এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় পাষান্ড ৩ চাচা ও তাদের স্ত্রীসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারেই ভাতিজা মোস্তাকিমের উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারি পাষান্ড চাচা সেলিম তার হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল মুখে কোপ দিয়ে গুরুতর কাটা জখমসহ ৩টি দাঁত উপরে ফেলে।
এ ছাড়াও শুক্রবার সকালে পাষান্ড ৩ চাচা সেলিম, শাহিন ও রুমান তার স্ত্রী মাকছুদা সাথসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদিনী বসত বাড়ি সামনে পুনরায় অতর্কিত মামলা চালিয়ে বাদিনী ও তার স্বামীকে এসএস পাইপ ও লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে অমানবিক ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জমাট বাধা জখম করে ২টি মোবাইল সেট ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
স্থানীয়রা আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গুরুতর জখমপ্রাপ্ত মোস্তাকিম আশংকা জনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা রয়েছে বলে আহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: পর ব র ন র য়ণগঞ জ আহতদ র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের দ্রুত আইনি ভিত্তি দিতে হবে: মাওলানা ইমতিয়াজ
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দ্রুত দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম।
তিনি বলেছেন, “আইনী ভিত্তি না থাকলে অচিরেই কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এই অভ্যুত্থানকে ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।”
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদের ভিত্তি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ইমতিয়াজ আলম বলেন, “দেশের পরিস্থিতি এবং কতিপয় নামধারী বুদ্ধিজীবীর কথাবার্তা দিনদিন অবনতি হচ্ছে। জুলাই সনদের আইনি কোনো ভিত্তি না থাকায়, জুলাই অভ্যুত্থানকে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই, দ্রুত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে।”
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চেতনার ব্যবসা করে দেশকে গোল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লব নিয়ে কোনো ধরনের চেতনা ব্যবসা এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।” অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জুলাইয়ের সঠিক ইতিহাস লেখার আহ্বান জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, “জুলাইয়ে শহীদ এবং আহতরা হলো এই আন্দোলনের মূল মাস্টারমাইন্ড। তাদেরকে দেখেই সাধারণ জনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না থাকলে সহস্রাধিক শহীদ এবং লক্ষাধিক আহতদের কোনো একসময় দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেও কিছু করার থাকবে না। আহতদের পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে।” আহতদের পরিপূর্ণ পুনর্বাসন জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ