নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন সি-ট্রাকের তিন শতাধিক যাত্রী। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নলছিরা ঘাটের পশ্চিমে এ ঘটনা ঘটে।

সি-ট্রাকের ভেতরে পানি ঢুকছে মনে করে যাত্রীরা আতঙ্কে পড়েন। নারী-শিশুসহ অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে নলছিরা ঘাট থেকে আসা ট্রলার ও নৌকার সহায়তায় যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছান। তবে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

হাতিয়ার নলছিরা নৌ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বেলা দেড়টার দিকে হরনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানঘাট থেকে নলছিরার উদ্দেশে সি-ট্রাকটি ছেড়ে যায়। এতে প্রায় ৩০০ যাত্রী ছিলেন। ঘাটের কাছাকাছি পৌঁছালে জোয়ারের তোড়ে সি-ট্রাকের ব্যালান্স ট্যাংকিতে থাকা পানি ওপরে উঠে যায়। এ সময় যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে এক পাশে ছুটে যান। ফলে সি-ট্রাকটি হেলে পড়ে। পরে মাস্টার দ্রুত সি-ট্রাকটি পাশের একটি চরে নোঙর করেন। যাত্রীরা কোমরসমান পানির ভেতর দিয়ে তীরে ওঠেন।

সি-ট্রাকের যাত্রী মোহাম্মদ আজাদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা হঠাৎ দেখি, সি-ট্রাকের ভেতরে পানি ঢুকছে। আস্তে আস্তে নদীতে ডুবে যাচ্ছিল। সবাই ভয় পেয়ে এক পাশে চলে যায়। নারী-শিশুরা কান্নাকাটি শুরু করে। পরে চর পর্যন্ত নিয়ে গেলে আমরা পানির মধ্য দিয়ে তীরে উঠি। অনেকের মালামাল নষ্ট হয়েছে।’

সি-ট্রাকের মাস্টার মোহাম্মদ মন্টু শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সি-ট্রাকের তলা ফাটেনি। ব্যালান্সের ট্যাংকিতে রাখা পানি ওপরে উঠতে দেখে যাত্রীরা আতঙ্কিত হন। তখন সবাই এক পাশে চলে যাওয়ায় সি-ট্রাক হেলে পড়ে। আমি নিয়ন্ত্রণে এনে চরের কাছে নোঙর করি। যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।’

নলছিরা নৌ পুলিশের পরিদর্শক আশীস চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, সি-ট্রাকের তলা ফাটেনি। যাত্রীরা অযথা আতঙ্কিত হয়ে এক পাশে চলে যাওয়ায় ট্রাকটি কাত হয়ে পড়ে ছিল। সতর্কতার জন্য ঘাটে পৌঁছার আগেই যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ভ তর এক প শ নলছ র আতঙ ক

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ