থাইল্যান্ডে ফুল ফান্ডেড বৃত্তিতে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ
Published: 27th, September 2025 GMT
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রিতে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ নিয়ে এসেছে থাইল্যান্ডের স্যারিনদ্রন ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (SIIT)। এসআইআইটি গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ ২০২৬ এর আওতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা থাইল্যান্ডে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি করার সুযোগ পাবেন। এটি একটি ফুল ফান্ডেড বৃত্তি, যেখানে টিউশন ফি ছাড়াও মাসিক ভাতা, স্বাস্থ্যবিমা, গবেষণা সহায়তা এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ব্যয় বহন করা হবে।
থাইল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা অর্জনের প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে সহজ এবং ভর্তির মানদণ্ডও অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেকটাই সহজ। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি বিষয়ে যাঁরা পড়াশোনা করতে চান, তাঁদের জন্য SIIT Graduate Scholarship একটি বড় প্ল্যাটফর্ম।
সাত কলেজ ঘিরে নতুন সংকটSIIT সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্যস্যারিথন ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (SIIT) ১৯৯২ সালে থাইল্যান্ডের থাম্মাসাত ইউনিভার্সিটির অধীনে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি দ্রুতই একটি গবেষণামূলক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।
SIIT পূর্বে অস্ট্রেলিয়া, এশিয়া, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম পরিচালনা করেছে। বর্তমানে তারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ফুল ফান্ডেড স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ও পিএইচডি প্রোগ্রামের সুযোগ দিচ্ছে। বিশ্বমানের গবেষণা সুবিধা, অভিজ্ঞ শিক্ষক এবং বহুমুখী শিক্ষার্থী সম্প্রদায়ের মাধ্যমে SIIT একটি সমৃদ্ধ শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৬: তিন বিষয়ে প্রশ্নকাঠামো ও নম্বর বিভাজনে পরিবর্তন২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫প্রোগ্রামের ধরনএসআইআইটি গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ ২০২৬–এর অধীনে যেসব প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে:
মাস্টার অব সায়েন্স (MSc)—ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি
মাস্টার অব ইঞ্জিনিয়ারিং (MEng)—ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি
মাস্টার অব ইঞ্জিনিয়ারিং (MEng)—লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (LSCSE)
ডক্টর অব ফিলোসফি (PhD)—ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি
প্রোগ্রামের মেয়াদমাস্টার্স: ২ বছর
পিএইচডি: ৩ বছর
আরও পড়ুনজাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতাএসআইআইটি গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ ২০২৬–এর জন্য আবেদন করার আগে প্রার্থীদের অবশ্যই নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে:
১.
২. SIIT-এর প্রদত্ত প্রোগ্রামগুলোর যেকোনো একটি বিষয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী হতে হবে।
৩. পূর্ববর্তী একাডেমিক রেজাল্টে শীর্ষ ২০ শতাংশের মধ্যে থাকতে হবে।
৪. দুটি সুপারিশপত্র জমা দিতে হবে।
৫. শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে।
৬. বর্তমানে অন্য কোনো বৃত্তি বা গ্রান্ট গ্রহণ করলে এই বৃত্তির জন্য যোগ্য হবেন না।
এসআইআইটি গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপে চারটি প্রোগ্রামের অধীনে ভর্তি হওয়া যাবেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম স ট র স ও প এইচড র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ সালে ব্যাংক বন্ধের তালিকা প্রকাশ
২০২৬ সালে ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী বছর ব্যাংকগুলোর জন্য ২৮ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
নতুন তালিকা অনুযায়ী, আগামী বছর প্রথম সরকারি ছুটির দিন হবে শবে-বরাত উপলক্ষ্যে। ৪ ফেব্রুয়ারি একদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ওই মাসে ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর শবে কদর উপলক্ষে ১৭ মার্চ ব্যাংক বন্ধ থাকবে। জুমাতুল বিদা ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৯ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত পাঁচদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
চৈত্র সংক্রান্তি (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দারবান পার্বত্য জেলার জন্য প্রযোজ্য) ১৩ এপ্রিল ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ১৪ এপ্রিল, মে দিবস ও বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ১ মে, ২৬ থেকে ৩১ মে পাঁচদিন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
এদিকে, আশুরা উপলক্ষ্যে ২৬ জুন, ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে উপলক্ষ্যে একদিন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ৫ আগস্ট, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে ২৬ আগস্ট, জন্মাষ্টমী ৪ সেপ্টেম্বর, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ২০ ও ২১ অক্টোবর, বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর, বড়দিন উপলক্ষ্যে ২৫ ডিসেম্বর ও ব্যাংক হলিডে উপলক্ষ্যে ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চলতি বছরের ৯ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সব তফসিলি ব্যাংকের জন্য এ ছুটি কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকায় দেখা গেছে, চলতি বছর দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর জন্য ছুটি ছিল ২৭ দিন, আগের বছর ব্যাংকগুলোর জন্য ছুটি ছিল ২৪ দিন।
ঢাকা/নাজমুল//