সিলেট-কক্সবাজার ও সিলেট-ঢাকা রেলপথে দুটি নতুন ট্রেন চালুসহ আট দফা দাবিতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশনে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় লোকজন। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। পরে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন প্রায় আধা ঘণ্টা আটকে রেখে বিক্ষোভ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস কুলাউড়া স্টেশনের আউটার এলাকায় পৌঁছালে আন্দোলনকারীরা জাতীয় পতাকা ও লাল কাপড় হাতে রেলপথে নেমে ট্রেন আটকে দেন। তাঁরা আট দফা দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। খবর পেয়ে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিউদ্দিন ও কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক সেখানে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে ইউএনও ঢাকার বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন আরিফের সঙ্গে যোগাযোগ করে আন্দোলনকারীদের তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলিয়ে দেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ট্রেন ছেড়ে দেওয়া হয়।

তাঁদের আট দফা দাবিগুলো হলো—সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে দুটি নতুন ট্রেন চালু করা, সিলেট-আখাউড়া সেকশনের রেলপথ সংস্কার করে ডুয়েলগেজে উন্নীত করা, সিলেট-আখাউড়া লোকাল ট্রেন চালু করা, সিলেট অঞ্চলে বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলস্টেশনগুলো চালু করা, কুলাউড়া স্টেশনে টিকিট বরাদ্দ বাড়ানো, সিলেট থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর কালনী ও পারাবত এক্সপ্রেসের আজমপুর স্টেশন-পরবর্তী যাত্রাবিরতি বন্ধ করা, সব ট্রেনে নতুন ইঞ্জিন সংযোজন, যাত্রী অনুপাতে অতিরিক্ত বগি যুক্ত করা।

‘আট দফা দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলন’-এর আহ্বায়ক ও কুলাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুল ইসলাম বলেন, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক ১৫ দিনের মধ্যে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিয়েছেন। এ কারণে ট্রেন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দাবি বাস্তবায়ন না হলে পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশনের মাস্টার রোমান আহমদ বলেন, আন্দোলনকারীরা প্রায় আধা ঘণ্টা ট্রেন আটকে রাখেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ট্রেন ছেড়ে দেন।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে স্টেশন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এতে বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির জাকির হোসেন, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম আতিকুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমাছ পারভেজ তালুকদারসহ অনেকে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল র লপথ

এছাড়াও পড়ুন:

ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ  

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয় ঘেরাও করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে। 

বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন উপজেলার মঙ্গলকোটা গ্রামের বাসিন্দারা।

ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামীর আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, আজ সকাল ১১টায় ইউএনও মঙ্গলকোটা গ্রামে একটি খাস জায়গা দখলমুক্ত করে সেটিকে ধামইরহাট পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ করেন। স্থানীয়রা ওই জায়গাকে বর্জ্য রাখার স্থান করতে বাধা দিলে ইউএনওর সঙ্গে হট্টগোল হয়। আমি মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে ইউএনওর নির্দেশে আমাকে আটক করার চেষ্টা করেন আনসার সদস্য। এ সময় আমার স্ত্রী এসে আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ইউএনও নিজে আমার স্ত্রীর বুকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন এবং লাল নিশান টাঙানো বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করেন। প্রতিবেশী সাবিনা ইয়াসমিন বাধা দিতে গেলে ইউএনও তাকেও মারপিট করেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে আমার স্ত্রী ও সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন আছেন।

এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হানজালা বলেছেন, পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ঝামেলা হয়। এর জের ধরে গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ঘেরাও করেন। পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। 

এ বিষয়ে ইউএনও শাহারিয়ার রহমান বলেছেন, নারীর গায়ে হাত দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গ্রামবাসী সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে। এ থেকে বাঁচার জন্যই তারা নাটক করছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন
  • ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ  
  • আড়াইহাজারে পূজার নিরাপত্তায় ৩১ মন্ডপে রাতভর নির্ঘুম পরিদর্শন ইউএনও’র