কলেজছাত্রকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার অভিযোগ
Published: 27th, September 2025 GMT
নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে আতিকুল ইসলাম তিতাস (২৫) নামের এক কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে, পুলিশ বলছে, এখনো ওই কলেজছাত্রের মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালী শহরের বিবি কনভেনশন হল সেন্টারের বহুতল ভবনের ছাদ তাকে ফেলে দেওয়া হয়।
নিহত তিতাস চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার শহীদ চেয়ারম্যান বাড়ির আব্দুল গনির ছেলে।
নিহতের বড় ভাই আরিফুল ইসলাম বলেছেন, তিতাস নোয়াখালী কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। আমাদের বাড়ি চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় হলেও আমরা ২০-২৫ বছর ধরে নোয়াখালী জেলা শহরে ভাড়া বাসায় থাকি। সকালে বাসা থেকে বের হয় তিতাস। দুপুরের দিকে বিবি কনভেনশন হল সেন্টারের ছাদ থেকে কে বা কারা তিতাসকে নির্যাতন করে নিচে ফেলে দেয়। স্থানীয়রা তাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরিফুল ইসলাম আরো বলেন, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে চলে আসি। তিতাসের হাত, পা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না।
সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু তাহের বলেছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে। এখনো মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তিতাসের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/সুজন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দলের দুই পক্ষের বিরোধ মেটাতে যাচ্ছিলেন সালিস বৈঠকে, পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিএনপি নেতার
দলের দুটি পক্ষের মধ্যে হাতিহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় বিরোধ মীমাংসায় ডাকা হয়েছিল সালিস বৈঠক। সে বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ফেনীর পরশুরামের বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার (৫৮)। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর এক সহযোগী।
পারভেজ মজুমদার ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নিজকালিকাপুর গ্রামের সাদেক মজুমদারের ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার দুপুরে নিজকালিকাপুর গ্রামে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের চারজন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরশুরাম উপজেলা সদরে সন্ধ্যায় একটি সালিস বৈঠকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সালিসে যোগ দিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার ও তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ হারুন মোটরসাইকেলে নিজকালিকাপুর থেকে পরশুরাম যাচ্ছিলেন। তাঁদের বহন করা মোটরসাইকেলটি সুবার বাজার-পরশুরাম সড়কের কাউতলী রাস্তার মাথায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পারভেজের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে পরিবারের সদস্যরা রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদারের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনরা।