বন্দরে পুরাতন ঘর ভেঙ্গে নতুন ঘর নির্মাণ করার সময়  ৫০ হাজার টাকার চাঁদার দাবিতে নির্মাণাধীন ঘর ভাংচুর করেছে স্থানীয় চাঁদাবাজরা। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে ৪ জন আহত হয়। আহতরা হলো আমিনুল, ফয়েজ, ওমর ফারুক ও কালাম। 

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের দেওলী চৌরাপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় আহতরা জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত  ঘটনা স্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পায়। এ ব্যাপারে আহত ফয়েজ মিয়া বাদী হয়ে  বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

আহতরা জানায়, শনিবার সকালে বন্দরের দেওলী চৌড়াপাড়া এলাকার কালাম মিয়ার তার নিজ বাড়ির পুরাতন ঘর ভেঙ্গে নতুন ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে। এ সময় একই এলাকার একাধিক চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলার আসামী চিহৃত চাঁদাবাজ সাঈদ, নাহিদ ও নাদিম তাদের সাঙ্গপাঙ্গোদের নিয়ে ঘর নির্মানে বাধা দেয় এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। 

ওই সময় কালাম চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় চাঁদাবাজরা ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে উল্লেখিত ৪ জনকে জখম করে। পরে তারা ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে ঘটনার তদন্ত করে সত্যতা পান।

স্থানীয়রা জানায়,  চাঁদাবাজদের অত্যচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে দেওলী চৌরাপাড়া এলাকাবাসী । তারা চুরি, ছিনতাইসহ কেউ নির্মাণ কাজ করতে গেলে তারা চাঁদা দাবি করে। উল্লেখিত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী অপহরণ মামলা রয়েছে।

এর আগে উল্লেখিত চাঁদাবাজরা মুন্সীগঞ্জ থেকে এক ব্যবসায়ীকে অপহরন করে এনে আটক রাখে পরে পুলিশ এসে অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক চাাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এসকল চাঁদাবাজরা দেওলী উদয়ন ক্লাবকে টর্চ্যার সেল বানিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ধরে এনে পিটিয়ে মুক্তিপন আদায় করে থাকে।

তাদের অত্যচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। তাই এলাকাবাসী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের  দাবি জানিয়ে পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক ব স

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে অস্ত্র-মাদকসহ ২৮ মামলার আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, মাদক, অপহরণসহ ২৮ মামলার পলাতক আসামি ও ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে ( ৪৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নুরুল হুদা হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি সদস্য নুরুল হুদা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক পাচারকারী। টেকনাফে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন মাদক পাচারকারীর মধ্যে নুরুল হুদাও ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ১৬টি মাদক, একটি অপহরণ, ৩টি অস্ত্র, একটি বিশেষ ক্ষমতা আইন, চারটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলাসহ মোট ২৮টি মামলা রয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি এলাকায় এসে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। গোপন সংবাদের ভিত্তিকে গতকাল রাতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

পুলিশ জানায়, আজ শনিবার বিকেলে ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত বুধবার রাতে পুলিশ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারছড়া গ্রামের বাসিন্দা ও একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইউপি সদস্য রশিদ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, মানব পাচার, বিস্ফোরক ও নাশকতার পাঁচটি মামলা রয়েছে। তিনি টেকনাফ উপজেলার যুবলীগের সদস্য ছিলেন।

পৃথক অভিযানে টেকনাফের দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) অলক বিশ্বাস। তিনি বলেন, সরকার মাদক চোরাচালান দমনে কঠোর অবস্থানে। মাদক ও মানব পাচারকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেকনাফে অস্ত্র-মাদকসহ ২৮ মামলার আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার