মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “জলাতঙ্ক রোগ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই, বরং সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। কুকুর বা বিড়ালের কামড় ও আচড়ের মাধ্যমে এ রোগের সংক্রমণ ঘটে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”

শ‌নিবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে (বিএআরসি) বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তি‌নি এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “মাস ডগ ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম, শেল্টার ও রেসকিউ সেন্টার, এনিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাক্ট ২০১৯ এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম আরো বিস্তৃত করতে হবে।পাশাপাশি কুকুরের প্রতি আমাদের মানসিকতা ও আচরণেও পরিবর্তন এবং এদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “জলাতঙ্কের শেষ পর্যায়ের আগে বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু আমরা সাধারণত কুকুর বা বিড়ালের আচড়কে গুরুত্ব দিই না। শুধু কামড় দিলে অথবা আচড়ে ক্ষত সৃষ্টি হলে চিকিৎসার কথা চিন্তা করি। অথচ এসব ক্ষেত্রে দেরি না করে শুরুতেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।”

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.

মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা প্রদান করেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বয়জার রহমান।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাণিসম্পদ ঔষুধাগারের পরিচালক ডা. মো. শাহিনুর আলম।

তিনি তার প্রবন্ধ উপস্থাপনায় বলেন, বিশ্বের ১৫০টি দেশে জলাতঙ্ক রোগ বিস্তৃত রয়েছে। এই রোগে বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ মারা যায়। এ রোগে বিশ্ব আর্থিকভাবে ৮.৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. আবু সুফিয়ান বলেন, “মানব স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কুকুরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে। এই মুহূর্তে রোগ নিয়ে গবেষণা করাও দরকার। আমাদের প্রাণিদের প্রতি আরো মানবিক হতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক,    আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন, এসিআই এগ্রি বিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট ড. ফ হ আনসারী।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন অভয়ারণ্য-বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা রুবাইয়া আহমেদের, পিপল ফর অ্যানিমেল অয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্থপতি রকিবুল হক এমিল, কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আজিজ আল মামুন প্রমুখ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন বক ত ত

এছাড়াও পড়ুন:

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘ভিশনএক্স: এআই পাওয়ার্ড ন্যাশনাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১৫ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দেশ-বিদেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১টি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। এই প্রতিযোগিতার ‘ভিশনএক্স’-এ দুটি ট্র্যাক ছিল। বিজনেস আইডিয়া ট্র্যাকে ৪১টি উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করা হয়। প্রজেক্ট শোকেসিং ট্র্যাকে এআই–ভিত্তিক প্রকল্প ও উদ্ভাবন প্রদর্শন করা হয়।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস ফেলোশিপ, ৬ খাতে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ৭ ঘণ্টা আগেপ্রতিযোগিতায় পুরস্কার—

প্রতিযোগিতার প্রজেক্ট শোকেসিং ট্র্যাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি প্রথম রানার্সআপ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়। বিজনেস আইডিয়া ট্র্যাকে লিডিং ইউনিভার্সিটি ও শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চ্যাম্পিয়ন হয়। এই ট্র্যাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম রানার্সআপ ও শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়। প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দল ১ লাখ টাকা ও ২ দিনের ব্যাংকক ভ্রমণ, প্রথম রানার্সআপ দল ৮০ হাজার টাকা ও কক্সবাজার ভ্রমণ এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ দল ৫০ হাজার টাকা ও কক্সবাজার ভ্রমণের সুবিধা পেয়েছে।

প্রতিযোগিতায় অতিথি ছিলেন—

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনমেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা : দেখে নিন আবেদনের নিয়মাবলি১৩ নভেম্বর ২০২৫

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উপমা কবির এবং ইউএস–বাংলা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

অতিথিদের কথা—

উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান উদ্ভাবন, উন্নয়ন ও মননশীলতার চর্চা অব্যাহত রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়া সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুননিউজিল্যান্ড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যে নতুন সুযোগ দিল ১৬ নভেম্বর ২০২৫

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সরকারি অর্থের অপচয় রোধ এবং জনস্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, তাত্ত্বিক জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের পাশাপাশি এর প্রায়োগিক সফলতা নিয়েও কাজ করতে হবে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বাড়ছে। স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বৃদ্ধির ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তরুণেরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ