বিজয় থালাপতির সমাবেশে পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে ৩৯
Published: 28th, September 2025 GMT
দক্ষিণ ভারতের অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ বিজয় থালাপতির রাজনৈতিক সমাবেশে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া পদদলিত হয়ে আহত হয়েছেন আরো ৪০ জন। শনিবার সন্ধ্যায় তামিলনাড়ুর করুর জেলায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জন নারী ও ৯ শিশু রয়েছেন। সমাবেশে হুড়োহুড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
আসামের বৃদ্ধা সাকিনাকে ঢাকায় আদালতে পাঠাল পুলিশ
বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করা ৬ ভারতীয়কে ফেরাতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, থালাপতি বিজয় জনসভার মঞ্চে আসার পর তাকে কাছ থেকে দেখতে গিয়ে মঞ্চের ব্যারিকেডের দিকে চলে আসেন মানুষ। ওই সময় দমবন্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে অনেকে জ্ঞান হারান। এরপরই পদদলনের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের অপর একটি সূত্র হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছে, জনসভায় ৩০ হাজার মানুষ জড়ো হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সেখানে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ জড়ো হয়ে যান। যা সেখানে বাড়তি চাপ ফেলে।
তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন বলেছেন, ৩৯ জন মারা গেছেন। আমাদের রাজ্যের ইতিহাসে, কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো অনুষ্ঠানে এত সংখ্যক মানুষ কখনো প্রাণ হারাননি এবং ভবিষ্যতেও এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটা উচিত নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, নিহত প্রাপ্তবয়স্করা বিজয়ের দল টিভিকের সমর্থক ছিল। তারা সকাল থেকে সমাবেশস্থলে ভিড় জমিয়েছিলেন এবং প্রায় ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন। বিজয়ের আগমন দেরি হওয়ায় ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
নিরাপত্তার উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে, পুলিশ তামিলাগা ভেত্রি কাজগমকে সমাবেশের জন্য ২৩টি শর্ত দিয়েছিল। এগুলোর মধ্যে ছিল- কনভয়, জনসাধারণের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগদানের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং গর্ভবতী মহিলা, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীদের অনলাইনে সমাবেশে দেখার জন্য পরামর্শ।
বিজয়ের সমাবেশগুলোতে ব্যাপক লোকসমাগমের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। চলতি মাসের শুরুতে ত্রিচিতে প্রথম সমাবেশে বিমানবন্দর থেকে অনুষ্ঠানস্থলে তার কনভয়কে ঘিরে বিপুল জনতা উপস্থিত হয়েছিল, যার ফলে ২০ মিনিটের যাত্রা ছয় ঘন্টার যানজটে পরিণত হয়েছিল যা শহরকে স্থবির করে দিয়েছিল।
গত বছরের অক্টোবর মাসে বিজয় থালাপতির রাজনৈতিক দলের প্রথম সমাবেশে অন্তত ৬ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী নির্বাচন ও বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে চৌমুহনী বাজার মুজিবুল হক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এ কথা বলেন। আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম, নিরাপত্তা উপদেষ্টা ভারতে গিয়েছেন। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে—সংবাদ সম্মেলন করে সরকারকে তা জাতির কাছে পরিষ্কার করতে হবে। জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে ভারতের আধিপত্যবাদকে বাংলার মানুষ এই দেশ থেকে তাড়িয়েছে। ভারতের আধিপত্যবাদ ও বশ্যতা বাংলার মানুষ আর কখনোই গ্রহণ করবে না। এই অন্তর্বর্তী সরকার যদি ভারতের অন্যায় কোনো আবদারে এবং অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতি নতি স্বীকার করতে চায়, তাহলে আপনাদের পরিণতিও শুভ হবে না। জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না।’
অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপির ফাঁদে পা দিয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘একটি দল সংস্কার চাচ্ছে না। তারা পুরোনো বস্তাপচা নিয়মে নির্বাচন করতে পাঁয়তারা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারও ওই দলের ফাঁদে পা দিয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি। যদি সংস্কার না হয়, শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। সে জন্য আমরা গণভোটের কথা বলেছি। সরকার গণভোট দেবে বলেছে, কিন্তু প্যাঁচ লাগিয়ে দিয়েছে। সেটা হচ্ছে, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হবে। তাদের বুঝতে হবে, এই দুটো নির্বাচন এক জিনিস নয়। কিন্তু ওই দলটি আলাদা গণভোট চায় না। কারণ, ডাকসু, চাকসু, জাকসু ও রাকসুর নির্বাচনের ফলাফল। জনগণ সংস্কারের পক্ষে। জাতীয় নির্বাচনের আগে যদি গণভোট হয়, তাহলে শতকরা ৮০ ভাগ লোক আমাদের পক্ষে রায় দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
চৌদ্দগ্রামের শ্রীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল হাকিমের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। বিশেষ অতিথি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির মুহাম্মদ শাহজাহান। আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শাহাব উদ্দিন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন, চৌদ্দগ্রাম পৌর আমির মাওলানা মু. ইব্রাহীম, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় মাদ্রাসাবিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন, কুমিল্লা জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।