টিকটক বা ইনস্টাগ্রাম রিলসের আদলে ‘ভাইবস’ নামের নতুন ভিডিও ফিড চালু করেছে মেটা। মেটা এআই অ্যাপ এবং মেটা এআই প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার উপযোগী ভিডিও ফিডটিতে শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি ভিডিও দেখা যাবে। শুধু তা–ই নয়, চাইলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নতুন ভিডিওও তৈরি করা যাবে। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে কয়েকটি ভিডিও শেয়ার করে নতুন ভিডিও ফিডটি চালুর ঘোষণা দিয়েছেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ।

মেটার তথ্যমতে, ভাইবস ভিডিও ফিডে ব্যবহারকারীরা চাইলে শুরু থেকে নতুন ভিডিও বানাতে পারবেন অথবা ফিডে থাকা আধেয় (কনটেন্ট) রিমিক্স করে নতুন ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। ভিডিও ফিডটিতে বিভিন্ন সম্পাদনা টুল ব্যবহার করে ভিজ্যুয়াল পরিবর্তন, নতুন স্টাইল যোগ, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যুক্তসহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাবে। তৈরি করা ভিডিওগুলো সরাসরি ভাইবস ফিডে পোস্ট করার পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের স্টোরি বা রিলসে শেয়ার করা যাবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীদের পছন্দ অনুযায়ী ফিড সাজিয়ে দেবে মেটার অ্যালগরিদম।

মেটার ‘মিডজার্নি’ ও ‘ব্ল্যাক ফরেস্ট ল্যাবস’-এর সহযোগিতায় চালু করা হয়েছে ভাইবস ভিডিও ফিডটি। তবে মেটা জানিয়েছে, নিজস্ব এআই ভিডিও মডেল তৈরির কাজও এগিয়ে চলছে। মেটার প্রধান এআই কর্মকর্তা আলেকজান্দ্র ওয়াং এক ব্লগ বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম বর্তমানে নিম্নমানের এআই কনটেন্ট ঠেকাতে উদ্যোগ নিচ্ছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, ভাইবস চালু করা মেটার বৃহত্তর কৌশলেরই অংশ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিনিয়োগ বাড়িয়ে ওপেনএআই, অ্যানথ্রপিক ও গুগল ডিপমাইন্ডের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পাল্লা দিতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সূত্র: টেকলুসিভ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইনস ট গ র ম ভ ড ও ফ ডট নত ন ভ ড ও ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ