শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় চোর সন্দেহে এক যুবককে (৩৭) গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আজ রোববার ভোরে উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের নরকলিকাতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবক একই ইউনিয়নের অন্য একটি গ্রামের বাসিন্দা।

নড়িয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার গভীর রাতে গ্রামের একটি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। এমন সময় এলাকায় চোর প্রবেশ করেছে জানিয়ে চিৎকার শুরু করেন গ্রামের বাসিন্দারা। তখন ওই যুবক দৌড়ে আত্মরক্ষার জন্য পাশের একটি পুকুরে নেমে পড়েন এবং কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করেন। পরে আজ ভোর পাঁচটার দিকে স্থানীয় লোকজন তাঁকে আটক করেন। পরে তাঁকে মারধর করা হয়। ক্ষুব্ধ লোকজন তাঁকে গ্রামের রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে সকাল আটটার দিকে ঘটনাস্থলে ভোজেশ্বর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন।

ভোজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের পাশের গ্রামের ওই যুবককে রাতে একটি বাড়ির পাশে ঘুরতে দেখে গ্রামবাসী চোর সন্দেহ করেন। তখন তিনি পুকুরে নেমে লুকিয়ে থাকেন। ভোরের দিকে উঠলে জনতা তাঁকে আটক করে। এলাকায় কোনো চুরির ঘটনা ঘটেনি। তবে কেন তিনি এখানে এসেছিলেন, তা তিনি স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি স্বীকার করেন টুকটাক চুরি করেন। তবে এ রাতে কোনো চুরির ঘটনা ঘটেনি।’

আটক যুবক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। রাত বেশি হওয়ায় মানুষ আমাকে চোর ভেবে চিৎকার করতে থাকেন। তখন আমি পুকুরে গিয়ে কচুরিপানার নিচে লুকাই। প্রায় চার-পাঁচ ঘণ্টা সেখানে ছিলাম। পরে উঠলে লোকজন আমাকে মারধর করে এবং গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে।’

এ বিষয়ে নড়িয়া থানার অধীন ভোজেশ্বর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রবিউল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই যুবকের বাবা-মা নেই, আত্মীয়স্বজনও আসেননি। তাই তাঁকে থানায় নেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ জ শ বর

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ