পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে বাংলাদেশি যুবক নিহত
Published: 28th, September 2025 GMT
পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কারাক জেলার দারশাখেল এলাকায় শাহ সেলিম থানার কাছে সেনাবাহিনীর চালানো অভিযানে ওই যুবক নিহত হন। অভিযানে মোট ১৭ জনকে হত্যা করে পাক সেনাবাহিনী।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরো পড়ুন:
গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন পাকিস্তানি অভিনেতা ফাহাদ?
ঢাবিতে দুই জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনে হাজারো দর্শক
প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে পাকিস্তানি সেনারা যে ১৭ জনকে হত্যা করেছেন, তার মধ্যে একজন বাংলাদেশি রয়েছেন। তার কাছ বাংলাদেশি পরিচয়পত্র, টাকা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র উদ্ধারের পর কর্মকর্তারা এই পরিচয় শনাক্ত করেন।
সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্বৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নিহত ওই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধারকৃত জিনিসপত্রের মধ্যে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র ও মুদ্রা রয়েছে, যা ওই ব্যক্তির বিদেশি যোগসূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনা আবারো এই অঞ্চলে সক্রিয় জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলোতে বিদেশি নাগরিকদের উপস্থিতির বিষয়ে সামনে এনেছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এর আগেও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে আরো দুই থেকে তিন বাংলাদেশি নিহত হন। তারা ধর্মীয় শিক্ষা নেওয়ার অজুহাত দিয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশ করেছিলেন এরপর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলেও দাবি করেছে তারা।
শনিবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, সেনাবাহিনী খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাক জেলায় গোয়েন্দা তথ্য-ভিত্তিক অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর সাথে যুক্ত ১৭ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
নিরাপত্তাবাহিনীর একটি সূত্র সামা টিভিকে জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যন্ত দারেশক অঞ্চলে মোল্লা নাজির গ্রুপের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর এই অভিযান চালানো হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী, স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ (এসএসজি) এবং কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) যৌথভাবে এই অভিযানে অংশ নেয়।
দুই দিন ধরে চলা এই অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী একটি কঠিন পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের ঘিরে ফেলে। অভিযান শেষে ১৭ জন সন্ত্রাসী নিহত এবং ১০ জনেরও বেশি গুরুতর আহত হয়। অভিযানে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্যও আহত হন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে