যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের একটি গির্জায় এক বন্দুকধারীর গুলিতে ও ভবনে আগুন লাগানোর ঘটনায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। 

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

আরো পড়ুন:

পোর্টল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের

ট্রাম্প গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি চান, নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট বার্তা

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় রবিবার সকালে গ্র্যান্ড ব্ল্যাঙ্কের ল্যাটার-ডে সেন্টস শহরের জেসাস ক্রাইস্টের চার্চে প্রার্থনা চলাকালীন এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। 

পুলিশ জানিয়েছে, ৪০ বছরের সন্দেহভাজন হামলাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তার নাম টমাস জ্যাকব স্যানফোর্ড। তিনি নিকটবর্তী বার্টন শহরের বাসিন্দা ছিলেন।

পুলিশ ঘটনাটিকে ‘লক্ষ্যবস্তুবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা’ হিসেবে তদন্ত করছে। তবে হামলার কারণ এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে।

গ্র্যান্ড ব্লাঙ্ক টাউনশিপের পুলিশ প্রধান উইলিয়াম রেনি জানান, জেসাস ক্রাইস্ট চার্চে রবিবারের প্রার্থনায় শত শত মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে অকস্মাৎ বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে চার্চের ভিতর ঢুকে পড়েন হামলাকারী এবং অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে নির্বিচারে গুলি চালানো শুরু করে। গুলি চালানোর পর গির্জা ভবনে অগ্নিসংযোগও করে হামলাকারী। 

তিনি বলেন, প্রথম জরুরি কল পাওয়ার আট মিনিটেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। অফিসাররা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে। গুলি চালানোর আট মিনিট পর স্থানীয় সময় সকাল ১০ টা ৩৩ মিনিটে তাকে হত্যা করা হয়।

পুলিশ প্রধান আরো বলেন, “আমরা এখনও ঠিক কখন, কোথা থেকে আগুন লেগেছিল এবং কীভাবে এটি শুরু হয়েছিল তা নির্ধারণ করার চেষ্টা করছি। তবে আমরা বিশ্বাস করি সন্দেহভাজন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে এটি লাগিয়েছে।”

রেনেই জানান, এই মুহূর্তে পুরো কমিউনিটি গভীরভাবে আহত এবং শোকাহত। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য একটি হটলাইন নম্বরও ঘোষণা করেন।

এর আগে, শনিবার নর্থ ক্যারোলাইনার সাউথপোর্ট শহরে বন্দুক হামলায় ৩ জন নিহত ও ৮ জন আহত হন। বন্দুকধারী একটি নৌকা থেকে রেস্তোরাঁ লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র বন দ ক

এছাড়াও পড়ুন:

পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক

৭ বছরের বিরতির পর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নতুন নেতৃত্ব।

তবে পূজার ছুটি শেষ না হওয়ায় এখনও হয়নি অভিষেক ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। ফলে দায়িত্বভার নিতে পারছেন না নবনির্বাচিতরা।

আরো পড়ুন:

গকসুর জিএস, এজিএসের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আপত্তি, পুনর্নির্বাচন দাবি

চাকসু নির্বাচন: দুই নারী প্রার্থীকে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপূজার পর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের অভিষেক। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও নির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি। এতে নির্বাচনের পর যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তা এখন রূপ নিয়েছে অপেক্ষার আবহে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ২৫ সেপ্টেম্বর দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ৭ বছরের ব্যবধান ঘুচিয়ে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব বেছে নেন। ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, প্রার্থীদের প্রচারণা আর ভোটের দিন ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে তোলে।

ভোট শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হলেও আনুষ্ঠানিক অভিষেক না হওয়ায় এখনো কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি তারা।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেশমা আক্তার বলেন, “গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হলেও নির্বাচিত সদস্যরা এখনও শপথ গ্রহণ করেননি। এই বিলম্বের সুযোগে কিছু মহল নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এই গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে সফল করতে এবং অপপ্রচার রোধে নির্বাচিত সদস্যদের দ্রুত শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করা জরুরি। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করতে পারেন।”

সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান বলেন, “নির্বাচনের পরের দিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল এবং দুর্গাপূজার ছুটির কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন পূজার ছুটির পর যতদ্রুত সম্ভব অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, “ছুটি শেষে শপথ গ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এখন পর্যন্ত কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।”

২০১৩ সালে প্রথমবার গকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২৫ সেপ্টেম্বর চতুর্থ নির্বাচনে সম্পাদকীয় ও অনুষদ প্রতিনিধি মিলিয়ে মোট ১২টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫৮ জন প্রার্থী। ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৭৬১ জন।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ভবন ধস: ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও আটকা ৯১ জন
  • বাজেট বিল নিয়ে অচলাবস্থা, শাটডাউনের পথে যুক্তরাষ্ট্র
  • পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক