বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনে পরিচালক পদের জন্য মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে তিনটি মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মোট ৫১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) তিনটি মনোনয়ন অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। ফলে বৈধ মনোনয়নের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮টি।

বাতিল হওয়া মনোনয়নের মধ্যে অন্যতম ঢাকা বিভাগ থেকে আব্দুল্লাহ ফুয়াদ রেদোয়ানের মনোনয়ন। তার মনোনয়ন বাতিলের ফলে একই বিভাগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া বাকি দুই প্রার্থী— আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও নাজমুল আবেদিন ফাহিম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। বাকি দুই বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার এবং রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার মনোনয়ন।

আরো পড়ুন:

দুই দিনের মধ্যে নির্বাচক থেকে পরিচালক রাজ্জাক

চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ফিরলো বাদ পড়া ১৫ ক্লাব

খুলনা থেকে ২টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। এই বিভাগ থেকে দুজন পরিচালক হবেন। ফলে জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্ব ছাড়া আব্দুর রাজ্জাক এবং জুলফিকার আলি খান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক হতে যাচ্ছেন। সিলেট বিভাগ থেকে জমা পড়েছে ১টি, ফলে রাহাত শামস হতে যাচ্ছেন সিলেটের নতুন পরিচালক। এদিকে বরিশাল বিভাগ থেকেও মনোনয়ন জমা পড়েছে ১টি। ফলে সাখাওয়াত হোসেন হতে যাচ্ছেন এই বিভাগের নতুন পরিচালক।

মনোনয়ন বাতিল হওয়ার কারণ হিসেবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে দুই রকম স্বাক্ষরের কথা, ‘যিনি স্বাক্ষর করেছিলেন তার ভোটার আইডি কার্ডের সাথেই তো মিল আছে। উনারা বলেছে যে কাউন্সিলর ফর্ম এর সাথে মিল নাই, আমি বলেছি যে এটা তো আসলে আচরণ বিধিতে দেননি। সরকার স্বকৃীত যে স্বাক্ষর সেটা থাকলে তো সমস্যা হওয়ার কথা না।’

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন, এরপর ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ কইরেন: তামিম

মাঠের ক্রিকেট ছেড়ে ক্রিকেট প্রশাসনের অংশ হয়ে ক্রিকেট নিয়েই থাকতে চেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে অংশ নিতে সব প্রক্রিয়াতেই ছিলেন। নিজের পছন্দের একটি প্যানেলও তৈরি করেছিলেন, যাদেরকে নিয়ে এগিয়ে নিবেন দেশের ক্রিকেট৷

কিন্তু নির্বাচনের ঠিক আগে মনোনয়নপত্র তুলে নিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন তামিম৷ তার শঙ্কার জায়গা ছিল, নির্বাচনকে ঘিরে নোংরামি করা হচ্ছে। তার ওপর আলাদা চাপ আছে এমন কথাও বলতে শোনা গিয়েছিল। সব মিলিয়ে নির্বাচনের জন্য আদর্শ পরিবেশ পাচ্ছিলেন না তামিম। এ কারণে নিজ থেকে সরে গেছেন।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর তামিম বলেছেন, `আপনারা বলেন ফি*ক্সিং বন্ধ করেন ক্রিকেটে। আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন, এরপর ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ কইরেন। এটা কোনো ইলেকশান ছিল না। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই ইলেকশন কালো দাগ হয়ে থাকবে। বিসিবি নির্বাচন ঘিরে যা ইচ্ছা তাই করা হচ্ছে। এটা সুন্দর প্রক্রিয়া হতে পারে না। যারা বোর্ডে আছেন তারা চাইলে এভাবে ইলেকশন করতে পারেন, জিততেও পারেন। তবে আজকে ক্রিকেট শতভাগ হেরে গেছে।'’

গতকাল বিকেলে তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট থেকে উঠে আসা বিতর্কিত ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরের নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর পর থেকেই তামিমের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার নিয়ে গুঞ্জন শোনা যায়। তাতে যোগ দেবেন আরও ক্লাব।

আজ সকালে ১০ টার পর তামিম সর্বপ্রথম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এরপর আরও ১৪টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জমা পরে।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হলে চূড়ানত সংখ্যা জানা যাবে। 

ঢাকা/ ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিসিবির পরিচালক পদে প্রার্থী হলেন যাঁরা, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতলেন কারা
  • তামিম বললেন, আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন
  • আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন, এরপর ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ কইরেন: তামিম
  • বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে তামিম বললেন—ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ করার আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন