বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে কর্মচারী নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন এনেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতদিন এই নিয়োগ পরিচালনা করত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ। তবে নতুন নিয়মে এ ক্ষমতা আর তাদের হাতে থাকছে না। এখন থেকে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে নিয়োগের পরীক্ষা, মূল্যায়ন ও সুপারিশ করা হবে।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জারি করা এক পরিপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শিক্ষক ব্যতীত অন্যান্য এমপিও পদে নিয়োগের জন্য নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী সুপারিশ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এসব পদে রয়েছে: ট্রেড সহকারী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, হিসাব সহকারী, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, গবেষণা বা ল্যাব সহকারী, নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নৈশপ্রহরী, আয়া ও অফিস সহায়ক।

আরো পড়ুন:

ঢাবিতে হালিমে ‘পচা মাংস’, দোকানে তালা দেওয়ায় ‘হুমকি’

কুয়েটে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

বর্তমানে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ এনটিআরসিএর মাধ্যমে পরীক্ষা ও সুপারিশের ভিত্তিতে হয়। কিন্তু কর্মচারীসহ অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের নিয়োগ পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে হয়ে আসছিল। এসব পদে দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভবিষ্যতে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিয়োগও এনটিআরসিএর মাধ্যমে করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কর্মচারী নিয়োগে নতুন নিয়ম কার্যকর করা হলো।

নতুন নিয়মে ডিসি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটিতে থাকবেন জেলার সবচেয়ে পুরনো সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (বা প্রতিনিধি), শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি (পরিদর্শকের নিচে নয়), যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক/সহকারী পরিচালক এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (সদস্যসচিব)। এই কমিটি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ফলাফল প্রস্তুত করবে এবং নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে।

সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের এক মাসের মধ্যে নিয়োগপত্র পাঠাতে হবে এবং বিষয়টি মুঠোফোনে জানাতে হবে। বিলম্ব হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও স্থগিতসহ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং পরিচালনা কমিটি বাতিলের সুপারিশ করা হবে।

এছাড়া প্রতিষ্ঠান প্রধানকে শূন্য পদের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের প্রস্তাব দিতে হবে। প্রাপ্যতা ছাড়াই নিয়োগের প্রস্তাব করা হলে দায়ভারও তার ওপর বর্তাবে।

ঢাকা/এএএম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর চ ল এমপ ও সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ