নড়াইল সদর উপজেলার সড়াতলা গ্রামের ইজিবাইকচালক আকবার ফকির (৬০) হত্যা মামলায় তাঁর প্রতিবেশী বাবু সরদারকে (৫৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

নিহত আকবার ফকিরের বাড়ি উপজেলার সড়াতলা গ্রামে। গত শুক্রবার সকালে পার্শ্ববর্তী বুড়িখালী গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে তাঁর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর হাত–পা বাঁধা ছিল পাশের গাছের সঙ্গে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে আকবারের ছেলে নাজিম উদ্দিন সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

গতকাল সন্ধ্যায় নড়াইলের পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঘটনার পর থেকে জেলা পুলিশের একাধিক দল তদন্ত শুরু করে। গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার মশাঘুনি এলাকা থেকে বাবু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আকবারকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। বাবু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, বাবুর স্ত্রীকে নির্যাতন করেছেন আকবার। তাঁর মেয়ে ও পুত্রবধূর প্রতিও আকবারের কুনজর ছিল। এ ছাড়া জমি নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ ছিল। এসব কারণে প্রতিশোধ নিতে আকবারকে হত্যা করেন বাবু। ঘটনার ১০ দিন আগে থেকেই তিনি পরিকল্পনা করেন। সেই অনুযায়ী বাজার থেকে একটি ছুরি ও ২০টি অ্যালার্জির ট্যাবলেট কেনেন। ঘটনার রাতে আকবারকে সুকৌশলে বাড়ির সামনের বাঁশবাগানে নিয়ে যান তিনি। সেখানে অ্যালার্জির ট্যাবলেট মেশানো কোমল পানীয় খাওয়ান। এতে আকবার অচেতন হয়ে পড়েন। গামছা দিয়ে তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলেন বাবু। এরপর গলা কেটে হত্যা করেন এবং পুরুষাঙ্গ কেটে পাশের ডোবায় ফেলে দেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আকব র

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ