কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নতুন ভাইরাস তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা
Published: 30th, September 2025 GMT
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন ভাইরাস তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও আর্ক ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ভাইরাস তৈরির জন্য প্রথমে বেশ কিছু ভাইরাল জিনোমের নকশা করা হয়। এরপর সেই জিনোমগুলোকে ভাইরাস হিসেবে বিকশিত করা হয় গবেষণাগারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি ভাইরাস সফলভাবে ব্যাকটেরিয়াকে সংক্রমিত করেছে। জেনারেটিভ এআই মডেল ব্যবহার করে কার্যকরী জেনেটিক উপাদান তৈরির ক্ষেত্রে এই ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোন হেলথের জীববিজ্ঞানী জেফ বোকে জানান, এই ভাইরাস নতুন জিন, সংক্ষিপ্ত আকারের জিন বা প্রাকৃতিক সংস্করণের তুলনায় ভিন্ন জিন বিন্যাস প্রদর্শন করেছে। ভাইরাস তৈরিতে ব্যবহৃত এআই সিস্টেম ইভো মূলত চ্যাটজিপিটির মতো একটি এলএলএম মডেল। এই মডেল ব্যবহার করে ৩০২টি পূর্ণ জিনোমের নকশা করার পর তা ই-কোলাই সিস্টেমে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৬টি নকশা কার্যকরী ব্যাকটেরিওফাজ তৈরি করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি ভাইরাস প্রতিলিপি তৈরি করতে ও ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সক্ষম।
আর্ক ইনস্টিটিউট ল্যাবের প্রধান ব্রায়ান হি বলেন, গবেষণাগারে ব্যাকটেরিয়া মারা যাওয়ার ঘটনা স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল। এটি বেশ অসাধারণ ঘটনা ছিল। গবেষণার অংশ হিসেবে এআইকে প্রায় ২০ লাখ ব্যাকটেরিওফাজের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ফাইএক্স১৭৪ নামের ব্যাকটেরিওফাজের তথ্য বেশি দেওয়া হয়। এটি ৫ হাজার বেস ও ১১টি জিনসহ একটি ছোট ডিএনএ ভাইরাস। জেনেটিক প্যাটার্ন ও জিনের বিন্যাস বিশ্লেষণ করে এআই নতুন জিনোমের নকশা তৈরি করেছে।
সিনথেটিক বায়োলজির পথিকৃৎ জে ক্রেইগ ভেন্টার এই কৃত্রিম জিনোম বহনকারী কোষ তৈরিতে কাজ করেছেন। তিনি এই পদ্ধতিকে ভুল ও সংশোধনমূলক পরীক্ষার একটি দ্রুত সংস্করণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আগে এ ধরনের কাজ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে করতে হতো। নতুন প্রযুক্তির বড় সুবিধা হচ্ছে গতি। ফলে এআই দ্রুত প্রোটিনের গঠন ও জিনোমের নকশা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারছে। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি নতুন ওষুধ আবিষ্কার, জৈবপ্রযুক্তি ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের চিকিৎসায় ভালো কাজ করবে।
গবেষণার সঙ্গে যুক্ত প্রধান বিজ্ঞানী স্যামুয়েল কিং বলেন, এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা অনেক। তবে এই প্রযুক্তির অপব্যবহার হলে তা ভবিষ্যতে বিপজ্জনক হতে পারে। আর তাই ঝুঁকি কমাতে এআইকে প্রশিক্ষণের সময় মানব-সংক্রমণকারী ভাইরাসের তথ্য বাদ দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ গুটিবসন্ত বা অ্যানথ্রাক্সের মতো ভাইরাস নিয়ে কাজ করেন, তবে তা হবে বেশ উদ্বেগজনক।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত জ ন ম র নকশ কর ছ ন ব যবহ
এছাড়াও পড়ুন:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নতুন ভাইরাস তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন ভাইরাস তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও আর্ক ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ভাইরাস তৈরির জন্য প্রথমে বেশ কিছু ভাইরাল জিনোমের নকশা করা হয়। এরপর সেই জিনোমগুলোকে ভাইরাস হিসেবে বিকশিত করা হয় গবেষণাগারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি ভাইরাস সফলভাবে ব্যাকটেরিয়াকে সংক্রমিত করেছে। জেনারেটিভ এআই মডেল ব্যবহার করে কার্যকরী জেনেটিক উপাদান তৈরির ক্ষেত্রে এই ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোন হেলথের জীববিজ্ঞানী জেফ বোকে জানান, এই ভাইরাস নতুন জিন, সংক্ষিপ্ত আকারের জিন বা প্রাকৃতিক সংস্করণের তুলনায় ভিন্ন জিন বিন্যাস প্রদর্শন করেছে। ভাইরাস তৈরিতে ব্যবহৃত এআই সিস্টেম ইভো মূলত চ্যাটজিপিটির মতো একটি এলএলএম মডেল। এই মডেল ব্যবহার করে ৩০২টি পূর্ণ জিনোমের নকশা করার পর তা ই-কোলাই সিস্টেমে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৬টি নকশা কার্যকরী ব্যাকটেরিওফাজ তৈরি করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি ভাইরাস প্রতিলিপি তৈরি করতে ও ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সক্ষম।
আর্ক ইনস্টিটিউট ল্যাবের প্রধান ব্রায়ান হি বলেন, গবেষণাগারে ব্যাকটেরিয়া মারা যাওয়ার ঘটনা স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল। এটি বেশ অসাধারণ ঘটনা ছিল। গবেষণার অংশ হিসেবে এআইকে প্রায় ২০ লাখ ব্যাকটেরিওফাজের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ফাইএক্স১৭৪ নামের ব্যাকটেরিওফাজের তথ্য বেশি দেওয়া হয়। এটি ৫ হাজার বেস ও ১১টি জিনসহ একটি ছোট ডিএনএ ভাইরাস। জেনেটিক প্যাটার্ন ও জিনের বিন্যাস বিশ্লেষণ করে এআই নতুন জিনোমের নকশা তৈরি করেছে।
সিনথেটিক বায়োলজির পথিকৃৎ জে ক্রেইগ ভেন্টার এই কৃত্রিম জিনোম বহনকারী কোষ তৈরিতে কাজ করেছেন। তিনি এই পদ্ধতিকে ভুল ও সংশোধনমূলক পরীক্ষার একটি দ্রুত সংস্করণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আগে এ ধরনের কাজ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে করতে হতো। নতুন প্রযুক্তির বড় সুবিধা হচ্ছে গতি। ফলে এআই দ্রুত প্রোটিনের গঠন ও জিনোমের নকশা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারছে। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি নতুন ওষুধ আবিষ্কার, জৈবপ্রযুক্তি ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের চিকিৎসায় ভালো কাজ করবে।
গবেষণার সঙ্গে যুক্ত প্রধান বিজ্ঞানী স্যামুয়েল কিং বলেন, এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা অনেক। তবে এই প্রযুক্তির অপব্যবহার হলে তা ভবিষ্যতে বিপজ্জনক হতে পারে। আর তাই ঝুঁকি কমাতে এআইকে প্রশিক্ষণের সময় মানব-সংক্রমণকারী ভাইরাসের তথ্য বাদ দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ গুটিবসন্ত বা অ্যানথ্রাক্সের মতো ভাইরাস নিয়ে কাজ করেন, তবে তা হবে বেশ উদ্বেগজনক।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া