বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: বিপর্যয় নাকি জাতীয় শক্তি?
Published: 30th, September 2025 GMT
সম্প্রতি মাওনা, গাজীপুর থেকে ঢাকায় ফেরার পথে এক ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছি। রাস্তার দুই পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে গৃহস্থালি বর্জ্য, বাজারের আবর্জনা, প্লাস্টিক, এমনকি শিল্পকারখানার ক্ষতিকর রাসায়নিক বর্জ্য। চারদিকে দুর্গন্ধ।
গাজীপুরে অসংখ্য মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পকারখানা রয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিরাপদ বর্জ্য নিষ্পত্তি কার্যত অনুপস্থিত। এ অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিশোধিত বর্জ্য ফেলা কেবল ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতার নিদর্শন নয়; বরং এটি এমন এক লজ্জাজনক বার্তা দেয় যে কয়েকজন রাজনৈতিকভাবে সুবিধাভোগী মানুষের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও আমরা এখনো সভ্যতার পথে অনেক পিছিয়ে রয়েছি। ফলে পানি ও মাটি দূষিত হচ্ছে, কৃষি-খাদ্যব্যবস্থা ধ্বংস হচ্ছে এবং জনজীবন রোগবালাইয়ের মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়ছে।
এর ফল স্পষ্ট ও ভয়ংকর। বায়ুদূষণ হচ্ছে। দূষিত পানি ডায়রিয়া ও চর্মরোগ ছড়াচ্ছে। প্লাস্টিক পোড়ানোর ধোঁয়া শ্বাসকষ্ট বাড়াচ্ছে। জমে থাকা আবর্জনা ডেঙ্গুর মতো রোগ বহনকারী মশার জন্মক্ষেত্র তৈরি করছে। আমাদের নদী, খাল, হাওর-বাঁওড় এবং কৃষিজমি ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা খাদ্যনিরাপত্তা, পুষ্টি ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। শুধু স্বাস্থ্য নয়, এর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবও ভয়াবহ।
দারিদ্র্যপীড়িত মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশু, জীবিকার তাগিদে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্য সংগ্রহে বাধ্য হচ্ছে, যা তাদের স্বাস্থ্য ও মর্যাদাকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। এ অনিয়ন্ত্রিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সামাজিক বৈষম্য বাড়াচ্ছে এবং আমাদের আন্তর্জাতিক পরিসরে একটি অদক্ষ, অগোছালো ও অসভ্য জাতি হিসেবে চিত্রিত করছে, যা বৈশ্বিক পর্যায়ে আমাদের সুনামকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য তৈরি করে। শহুরে এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ৩৩ হাজার ৫৭৪ টন কঠিন বর্জ্য উৎপাদিত হয় (গৃহস্থালি ও অন্যান্য উৎসসহ)। অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে, শহরাঞ্চলের কঠিন বর্জ্যের মধ্যে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত জৈব উপাদান থাকে।
সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করলে এ বিশাল পরিমাণ জৈব বর্জ্যই হতে পারে প্রাণ-উপাদান, যেমন কম্পোস্ট, বায়োগ্যাস বা মাটির গুণবৃদ্ধির সার। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতা অনির্ধারিত ও অপরিকল্পিত—বর্জ্য পৃথককরণ, সঠিক সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবস্থা নেই; অনেকাংশই রাস্তা, খাল, নদী ও জমিতে ফেলা হয়। আর দেরি না করে আমাদের দেশকে নিরাপদ ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পথে হাঁটতেই হবে। কারণ, আজকের অপচয় আগামী দিনের বিপর্যয়।
মানুষ এখনো বর্জ্যকে অমূল্য সম্পদ নয়; বরং ফেলে দেওয়ার জিনিস হিসেবে দেখে। বাড়ি থেকে শুরু করে বাজার ও শিল্পক্ষেত্র পর্যন্ত সবার মধ্যে আলাদা করে বর্জ্য ফেলা, পুনর্ব্যবহার ও পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। জনসচেতনতা, শিক্ষা ও সামাজিক আন্দোলন ছাড়া কেবল আইন ও নীতি দিয়ে এ সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।অনিয়ন্ত্রিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুধু পরিবেশ নয়, মূলত শাসনব্যবস্থার সংকট। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজন শক্ত রাজনৈতিক সদিচ্ছা, কঠোর আইন প্রয়োগ এবং কার্যকর সংগ্রহ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। কিন্তু স্থানীয় ক্ষমতার দুর্বলতা ও জবাবদিহির অভাবে সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে।
একই সঙ্গে মানুষের সচেতনতা বাড়ানো ও আচরণগত পরিবর্তন আনা অপরিহার্য। কারণ, মানুষ এখনো বর্জ্যকে অমূল্য সম্পদ নয়; বরং ফেলে দেওয়ার জিনিস হিসেবে দেখে। বাড়ি থেকে শুরু করে বাজার ও শিল্পক্ষেত্র পর্যন্ত সবার মধ্যে আলাদা করে বর্জ্য ফেলা, পুনর্ব্যবহার ও পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। জনসচেতনতা, শিক্ষা ও সামাজিক আন্দোলন ছাড়া কেবল আইন ও নীতি দিয়ে এ সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
৩১ দফার রাষ্ট্র মেরামতের কাঠামোর আওতায় বিএনপি বর্জ্য ব্যবস্থাপনাজনিত এ সমস্যাকে একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ঘরবাড়ি, বাজার ও শিল্পকলকারখানার উৎসে বর্জ্য আলাদা করা, শিল্পবর্জ্যের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা এবং নিরাপদ নিষ্পত্তি ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কাজে স্বচ্ছতা আনতে হবে ডিজিটাল ট্র্যাকিং ও জনগণের জন্য তথ্য উন্মুক্ত করার মাধ্যমে।
একই সঙ্গে বিএনপির লক্ষ্য হলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে জাতীয় বিপর্যয় থেকে জাতীয় প্রবৃদ্ধির উপায়ে রূপান্তরিত করা, যেখানে জৈব বর্জ্য থেকে উৎপাদিত হবে বিদ্যুৎ ও বায়োগ্যাস, তৈরি হবে জৈব সার, আর প্লাস্টিক ও অন্যান্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ হবে শিল্পের কাঁচামাল। শুধু কঠোর নিয়ন্ত্রণ নয়, বিএনপি সর্বস্তরে ব্যাপক জাতীয় সচেতনতা তৈরি করতে চায়, যাতে গৃহস্থালি থেকে শুরু করে শিল্পক্ষেত্র পর্যন্ত প্রত্যেকে নিরাপদ ও উৎপাদনশীলভাবে সব ধরনের বর্জ্য, এমনকি তরল বর্জ্যও ব্যবস্থাপনা করতে শেখে।
মাওনা থেকে ঢাকার সড়ক কোনোভাবেই আবর্জনার করিডর হতে পারে না। এটি হতে হবে সমাধানের করিডর, যেখানে বর্জ্য সঠিকভাবে সংগ্রহ হবে, শিল্পকারখানাকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে এবং জৈব আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ ও সার তৈরি হবে। যদি আমরা ব্যর্থ হই, খেসারত দিতে হবে রোগ, দূষণ ও কৃষির ক্ষতিতে। যদি সফল হই, বাংলাদেশ দেখাতে পারবে কীভাবে বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করে জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতিকে একসঙ্গে এগিয়ে নেওয়া যায়।
পথ দুটি স্পষ্ট। আবর্জনা হয় রোগ ছড়াবে, নয়তো জাতীয় শক্তিতে রূপান্তরিত হবে। বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা এবং তারেক রহমানের দৃষ্টি আমাদের সামনে সেই দিকনির্দেশনা রেখেছে। এখন সিদ্ধান্ত আমাদের।
ড.
জিয়াউদ্দিন হায়দার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং বিশ্বব্যাংকের সাবেক সিনিয়র স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিশেষজ্ঞ
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন য ন য ত বর জ য আম দ র স গ রহ ন র পদ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে ‘আমা দাবলাম’ জয় করলেন তৌকির
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম পর্বত ‘আমা দাবলাম’ জয় করছেন পাবনার সন্তান আহসানুজ্জামান তৌকির (২৭)। গত ৪ নভেম্বর নেপাল সময় দুপর ১টার দিকে ৬ হাজার ৮১২ মিটার উচ্চতার এই পর্বতের চূড়া স্পর্শ করেন তিনি।
পর্বতারোহণ বিষয়ক অর্গানাইজেশন রোপ ফোরের পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্ত্বাবধানে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। তার এই অভিযানে সঙ্গী হিসাবে ছিলেন রোপ ফোরের আরেকজন তরুণ পর্বতারোহী আবরারুল আমিন অর্ণব।
আরো পড়ুন:
রঙ হারাচ্ছে অদম্য মেধাবীর ভবিষ্যতের স্বপ্ন
উপজেলায় এইচএসসিতে একমাত্র জিপিএ-৫ পেলেন অনুরাগ
আমা দাবলাম খাড়া বরফ দেয়াল, গভীর ক্রেভাস, ঝুলন্ত বরফ খণ্ড এবং কঠিন আবহাওয়ার জন্য পৃথিবীর অন্যতম চ্যালেঞ্জিং পর্বত হিসেবে পরিচিত। তৌকিরের এই অভিযানটি ছিল বাংলাদেশি পর্বতারোহণ ইতিহাসে এক গৌরবময় সংযোজন।
চূড়ায় পৌঁছার প্রতিক্রিয়ায় তৌকির বলেন, “আমা দাবলাম আমার কাছে শুধু একটা পর্বত নয়, এটা ছিল নিজের সীমা পরীক্ষা করার যাত্রা। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর এই পর্বতের চূড়ায় দাঁড়িয়ে যখন লাল-সবুজ পতাকাটা তুলে ধরলাম, মনে হলো এটি শুধু আমার সফলতা নয়, এটি বাংলাদেশের সব তরুণের স্বপ্নের স্পন্দন।”
তিনি বলেন, “আমার এই অভিযানটা ছিল পৃথিবীর সব বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের জন্য, যাদের জীবনটা কেটে যায় অন্যের ওপর ডিপেন্ড (নির্ভর) করে এবং চার দেয়ালের আলোতে পৃথিবী দেখে। আমি বিশ্বাস করি, পৃথিবীতে আসা সব প্রাণী শক্তিশালী। আসুন, ডিপেন্ডেবল এই মানুষগুলোর ওপর আরো বিনয়ী হই, ভালোবাসা এবং সাহায্যে তৈরি করি তাদের নতুন পৃথিবী।”
যেভাবে ‘আমা দাবলাম’ জয় করলেন তৌকির
গত ১২ অক্টোবর দুঃসাহসিক এই অভিযানের জন্য দেশ ছাড়েন তৌকির। এরপর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে শুরু হয় তার মূল অভিযান। হিমালয়ের পাহাড়ি বন্ধুর পথ ধরে ট্রেকিং করে তিনি বেস ক্যাম্পে পৌঁছান ২২ অক্টোবর। বেস ক্যাম্পে পৌঁছে তৌকির শুরু করেন উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ায় কৌশল। যা এক্লিমাটাইজ রোটেশন নামে পরিচিত।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের ২৯ অক্টোবর সামিটের কথা থাকলেও ২৭ অক্টোবর থেকে হিমালয়ের শুরু হয় তীব্র তুষার পাত। এই তুষার পাতের মধ্যেই তৌকির অবস্থান করেন আমা দাবলাম ক্যাম্প-১ এ। যার উচ্চতা প্রায় ১৯ হাজার ফিট। ২৮ অক্টোবর আবহাওয়া আরো খারাপ হলে তাদের শেরপা লিডার সিদ্ধান্ত নেন বেস ক্যাম্পে ফিরে যাবার। তীব্র এই তুষার ঝড়ের মধ্যে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে তাদের দল বেস ক্যাম্পে পৌঁছায়। বেস ক্যাম্পে পৌঁছে শুরু হয় নতুন দুশ্চিন্তার কারণ।
৬৮১২ মিটার উচ্চতার আমা দাবলাম পর্বত
তুষার পাতের কারণে ফিক্সড রোপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবহাওয়া ভালো হতে শুরু করলেও নতুন রুট ওপেন না করা পর্যন্ত সামিট পুশ সম্ভব হচ্ছিল না। এভাবেই কেটে যায় পাঁচদিন। তরপর সুখবর আসে রুট ওপেন হবার। নভেম্বরের ২ তারিখ শুরু হয় আবার সামিট বিট। এইদিনে তৌকির পৌঁছে যান ১৯ হাজার ফিট উচ্চতার ক্যাম্প-১ এ। এরপর ৩ তারিখ ইয়োলো টাওয়ার খ্যাত ১৯ হাজার ৬৮৫ ফিট উচ্চতার ক্যাম্প-২ এ পৌঁছান। বিশ্রাম নিয়ে শুরু করেন সামিট পুশ। তীব্র বাতাস, ফিক্সড রোপে অতিরিক্ত ট্রাফিক এবং আইস ফলকে উপেক্ষা করে ৪ নভেম্বর ২২ হাজার ৩৪৯ ফিট উচ্চতার ‘আমা দাবালাম’ চূড়ায় পৌছান তিনি।
তৌকির বিশ্বাস করেন, “স্বপ্ন যদি সত্যিকার অর্থে জ্বলে, তবে পাহাড়ও নত হয়। প্রতিটি শিখর আমাদের শেখায়, সীমা কেবল মনেই থাকে, সফলতায় নয়।”
তরুণ এই পর্বতারোহী এবারের স্বপ্ন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া ‘মাউন্ট এভারেস্ট’। এই লক্ষ্য নিয়েই তিনি এগোচ্ছেন। এখন প্রয়োজন তার সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তৌকির ২০২৬ সালেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় আবারো উড়াতে চান বাংলাদেশের পতাকা।
এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নেপালের তিনটি ছয় হাজার মিটার পর্বত চূড়া স্পর্শ করেন পাবনার সন্তান আহসানুজ্জামান তৌকির। ২৭ দিনের অভিযানে গিয়ে কোন শেরপা সাপোর্ট ছাড়াই পর্বতগুলো আরোহণ করেন তিনি। পর্বতগুলো হলো ৬১১৯ মিটার উচ্চতার লবুচে পিক, ৬১৬৫ মিটার উচ্চতার আইল্যান্ড পিক ও ৬৪৬১ মিটার উচ্চতার মেরা পিক।
তারও আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে তৌকির খুম্বু রিজিওনের ৫০৭৬ মিটার উচ্চতার নাগা অর্জুন এবং ৬১১৯ মিটার উচ্চতার লবুচে পিক পর্বতের চূড়ায় আরোহণ করে বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা উড়িয়েছেন।
তৌকির পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের বালুচর মহল্লার আকরাম হোসেন সাবু-সুলতানা সামিয়া পারভীন দম্পতি ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট তিনি। চাটমোহর রাজা চন্দ্রনাথ ও বাবু শম্ভুনাথ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা এবং অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্রিপল-ই তে বিএসসি সম্পন্ন করেছেন
ঢাকা/মাসুদ