খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা। এ সময় ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তিনজন পাহাড়িকে হত্যার ঘটনায় দায়ীদেরও বিচারের দাবি জানিায়েছে তারা।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। সমাবেশে বক্তারা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়ীদের স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে চিহ্নিত করার দাবি জানান।

সমাবেশে নেতারা বলেন, ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে বাড়ি ফেরার পথে খাগড়াছড়িতে ১৩ বছরের এক পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষকদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে জেলায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারী জুম্ম ছাত্র জনতা। কর্মসূচিতে ন্যক্কারজনকভাবে হামলা করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সামনেই পাহাড়িদের বাড়িঘর–দোকানপাটে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

সরকার খাগড়াছড়িসহ সারা দেশে নারী ধর্ষণ-নিপীড়ন, মব সন্ত্রাস দমনে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ দাবি করে বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পরও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ন্যায়সংগত আন্দোলনকে জাতিগত-সাম্প্রদায়িক উসকানির আবরণে জনগণের সামনে উপস্থাপিত করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারও আন্দোলন দমনে পুরোনো স্বৈরাচারী মানসিকতা থেকে ভিন্ন কোনো নিদর্শন দেখাতে পারেনি।

সমাবেশে নেতারা অনতিবিলম্বে খাগড়াছড়িতে আন্দোলনকারীদের ওপর অব্যাহত ধরপাকড়-গ্রেপ্তার ও সন্ত্রাসী হামলা বন্ধের দাবি জানান।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী। বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন।

সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদ (মার্ক্সসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী, গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, বাসদের (মাহবুব) সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ ভূইয়া প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

পশ্চিমবঙ্গে আরো ২৬ বাংলাদেশি জেলে গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের অভিযোগে আরো ২৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে তাদের মাছ ধরার ট্রলারটিও। 

রবিবার গভীর রাতে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ার অভিযোগে তাদের আটক করে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য রবিবার রাতে তাদের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন

সৌদিতে বাস-ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষে ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী নিহত

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরতে এসে পথ হারিয়ে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ে ওই বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা। 

এর আগে, শনিবার রাতে, ২৯ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হয়েছিল এবং তাদের সোমবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। এখন, আবারও, রবিবার ভোরে, আরো ২৬ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হলো।

যদিও বাংলাদেশ সরকার বারবার অভিযোগ করেছে যে, ভারতীয় জেলেরা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দেখায় যে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করছে এবং ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করছে। ফলে উপকূলীয় সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করেছে কোস্টগার্ড এবং পুলিশ প্রশাসন।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ