‘দুর্গে স্মৃতা হরসি ভীতিমশেষজন্তোঃ/স্বস্থৈঃ স্মৃতা মতিমতীব শুভাং দদাসি/ দারিদ্র্যদুঃখভয়হারিণি কা ত্বদন্যা/ সর্বোপকারকরণায় সদার্দ্রচিত্তা।’ অর্থ হলো মা দুর্গে, সংকটকালে আপনাকে স্মরণ করলে আপনি সবার ভয় দূর করেন। বিবেকিগণ আপনাকে চিন্তা করলে আপনি তাঁদের শুভবুদ্ধি প্রদান করেন। দুঃখ, দারিদ্র্য ও ভয়হারিণী হে দেবী। আপনি ছাড়া অন্য আর কে আছে যে সবার মঙ্গলের জন্য সদাই দয়ার্দ্র থাকে?
সংসার আশ্রমে অনিশ্চয়তা নিত্যসঙ্গী। দারিদ্র্য, অসুস্থতা, দুঃখ ইত্যাদি বহু নেতিবাচক শক্তির সঙ্গে নিরন্তর যুদ্ধ করতে হয় মানুষকে। আবার সম্মিলিত নেতিবাচক শক্তির প্রভাবে কখনো কখনো মানবজীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। জীবনযাত্রার এই নিত্যযুদ্ধে মানুষ শক্তি ও সামর্থ্যের আরাধনা করে। বিপদ থেকে অব্যাহতি পেতে মানুষের যে একাগ্রতা ও সামাজিক ঐক্য গড়ার প্রচেষ্টা, তা এই পূজা অনুষ্ঠানে দৃঢ়তা লাভ করে।
শব্দকল্পদ্রুম-এ আছে, ‘দুর্গো দৈত্যে মহাবিঘ্নে ভববন্ধে চ কুকর্মণি/ শোকে দুঃখে চ নরকে যমদণ্ডে চ জন্মনি/ মহাভয়ে চাতিরোগে চাপ্যাশব্দো হন্তৃবাচকঃ/ এতান্ হন্ত্যেব যা দেবী সা দুর্গা পরিকীর্তিতা।’ অর্থ হলো দুর্গা শব্দের বাচ্য দুর্গনামক দৈত্য মহাবিঘ্ন, ভববন্ধন, কুকর্ম, শোক, দুঃখ, নরক, যমদণ্ড, জন্ম, মহাভয় এবং অতিরোগ। আ শব্দ হন্তুবাচক। এসব যে দেবী হনন করেন, তিনিই দুর্গা নামে প্রতিভাত।
দুর্গাপূজা জনসম্পৃক্ত পূজা। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের অংশগ্রহণে সার্থক হয় পূজা অনুষ্ঠান। এটি শুধু সামাজিক ঐক্যের ধাপ নির্মাণ করে না, এই ধাপ নির্মাণে প্রায়োগিক মেধা চর্চাকেও কাজে লাগায়।
ছাত্র ও যুবকেরা, যাঁরা তাঁদের অধীত বিষয়ের হাতে-কলমে প্রয়োগ করতে ইচ্ছুক, তাঁরা নিঃশঙ্ক চিত্তে দুর্গাপূজার ‘শিক্ষানবিশি’ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে নিজেদের মেধা ও বুদ্ধি খাটিয়ে জুতসই কৌশল রপ্ত করে নিতে পারেন।
ব্যবস্থাপনার নানা রকম পদ্ধতি হরেক অবয়বে এই দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। বর্তমান সময়ে মানুষ বিশেষত ছাত্রছাত্রীরা আগের মতো মুক্তাঙ্গনে ঘোরাঘুরির পরিবর্তে বাসাবাড়িতে বা মোবাইল ফোনে আবদ্ধ থাকতে অভ্যস্ত। ফলে তাদের অনেক সৃজনশীলতাই সুযোগের অভাবে যথাযথভাবে বিকশিত হয় না। দুর্গাপূজার অনুষ্ঠান সেই সুযোগের দ্বার উন্মোচন করতে পারে।
জটিল ও ভারাক্রান্ত জীবনের বোঝাও এই অনুষ্ঠান অনেকাংশে হালকা করে দিতে সক্ষম।
দৃষ্টৈব কিং ন ভবতি প্রকরোতি ভস্ম/ সর্বাসুরানরিষু যৎ প্রহিণোষি শস্ত্রম/ লোকান্ প্রয়ান্তি রিপবো হোऽপিহি শস্ত্রপূতাঃ/ ইত্ত্বং মতির্ভবতি তেষ্বপি তে’তিসাধ্বী।’ (শ্রীশ্রী চণ্ডী: ৪ /১৯) অর্থ: ‘হে দেবী, তোমার অস্ত্র যখন অসুরদের আঘাত করে, তখন তারা সঙ্গে সঙ্গে ভস্মীভূত হয়ে যায়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, যখন তারা মৃত্যুবরণ করে, তখনো অস্ত্রস্পর্শে পবিত্র হয়ে লোকান্তরে গমন করে। এমনকি শত্রুদের প্রতিও তোমার মন এইভাবে করুণাময় ও মহত্ত্বপূর্ণ।’
শ্রীশ্রী চণ্ডীর এই ভাষা বিশ্বজনীন ভাষা হিসেবে আদৃত। অপরাধীকে হত্যা করাই অপরাধ নিবৃতির একমাত্র পথ নয়। বরং অপরাধীকে শাস্তি প্রদান করে তাকে অপরাধ পরিত্যাগে উদ্বুদ্ধ করে উত্তম জীবনযাপনের আকর্ষণে অনুগ্রহ করাই দেবীর ঔদার্য।
এই ঔদার্য মানুষের মাঝে সঞ্চারিত হলে একটি আধুনিক সহনশীল সমাজ গঠন বেগবান হবে। এর আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করতে পারেন তরুণ ও যুবারা। তরুণ ও যুবাদের কাছে এই বার্তার অভিগম্যতা যাতে সহজ হয়, তার জন্য সচেষ্ট হতে হবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানের পূজা অনুষ্ঠানের আয়োজকদের। পূজা অনুষ্ঠানের কমিটিগুলোতে তরুণ ও যুবদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি ও তাঁদের মতপ্রকাশের পর তা যৌক্তিক বিবেচনাভুক্ত করা হলে তরুণ ও যুবারা উৎসাহিত হবেন, সন্দেহ নেই।
তরুণ ও যুবারা নতুন কিছু করতে আগ্রহী। কিন্তু তাঁদের আগ্রহ বাস্তবসম্মত নয়—এমন অনুমিত হলেও আলোচনাভুক্ত করে তা তাঁদের বুঝিয়ে দেওয়া দরকার। বয়স ও অভিজ্ঞতার ঘাটতি বিবেচনায় তরুণ ও যুবদের তাঁদের উপযোগী কাজ সম্পাদনের দায়িত্ব দেওয়া হলে তা বাস্তবায়ন সহজ হবে।
বিশ্বজুড়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এখন স্বীকৃত পেশা। আগে যে পেশা সাধারণ কর্মজীবী মানুষের বিচ্ছিন্ন অংশগ্রহণে পরিচালিত হতো, সেই পেশা এখন সম্মিলিত আয়োজনের ক্ষেত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে আয়োজকেরা তাঁদের প্রত্যাশা জানান। ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে নিয়োজিতরা সঠিক পরিকল্পনা করে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। নানামুখী অভিজ্ঞতা, যোগাযোগ ও কৌশলের সমন্বয়ে একটি সার্থক অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্ভব হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ সব ধরনের আয়োজন ও কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দুর্গাপূজার বড় পরিসরের অনুষ্ঠান আয়োজনে তরুণ ও যুবারা নতুন দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হতে পারেন।
ধর্মীয় প্রভাব ও শুদ্ধ মনের সংশ্লেষ মানুষকে সৎ পথ অনুসরণ করতে সহায়তা করে থাকে। দুর্গাপূজায় শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার এই শ্লোক প্রণিধানযোগ্য হয়ে ওঠে: ‘পিতাহমস্য জগতঃ মাতা ধাতা পিতামহঃ/বেদ্যং পবিত্রম্ অংকার ঋক্ সাম যজুরেব চ।’ (অধ্যায় ৯.
যিনি শক্তির আধার। গণমানুষের আশ্রয়স্থল তিনি। বিপদ, ভয়, কষ্টে তাঁর আশ্রয় লাভের জন্য পূর্বপ্রস্তুতি রাখা অত্যাবশ্যক। দুর্গাপূজায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সেই প্রস্তুতির পাঠ শুরু করা যায়। আর এই প্রস্তুতিকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে তরুণ ও যুবারা নিজেদের দক্ষতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারেন, যা নৈতিক শিক্ষার সঙ্গে প্রায়োগিক শিক্ষার সার্থক মেলবন্ধন ঘটাতে পারে।
প্রণব চক্রবর্তী অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ও উপদেষ্টা পুরোহিত, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পূজামণ্ডপ
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: তর ণ ও য ব র অন ষ ঠ ন র র জন য অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে ‘আমা দাবলাম’ জয় করলেন তৌকির
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম পর্বত ‘আমা দাবলাম’ জয় করছেন পাবনার সন্তান আহসানুজ্জামান তৌকির (২৭)। গত ৪ নভেম্বর নেপাল সময় দুপর ১টার দিকে ৬ হাজার ৮১২ মিটার উচ্চতার এই পর্বতের চূড়া স্পর্শ করেন তিনি।
পর্বতারোহণ বিষয়ক অর্গানাইজেশন রোপ ফোরের পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্ত্বাবধানে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। তার এই অভিযানে সঙ্গী হিসাবে ছিলেন রোপ ফোরের আরেকজন তরুণ পর্বতারোহী আবরারুল আমিন অর্ণব।
আরো পড়ুন:
রঙ হারাচ্ছে অদম্য মেধাবীর ভবিষ্যতের স্বপ্ন
উপজেলায় এইচএসসিতে একমাত্র জিপিএ-৫ পেলেন অনুরাগ
আমা দাবলাম খাড়া বরফ দেয়াল, গভীর ক্রেভাস, ঝুলন্ত বরফ খণ্ড এবং কঠিন আবহাওয়ার জন্য পৃথিবীর অন্যতম চ্যালেঞ্জিং পর্বত হিসেবে পরিচিত। তৌকিরের এই অভিযানটি ছিল বাংলাদেশি পর্বতারোহণ ইতিহাসে এক গৌরবময় সংযোজন।
চূড়ায় পৌঁছার প্রতিক্রিয়ায় তৌকির বলেন, “আমা দাবলাম আমার কাছে শুধু একটা পর্বত নয়, এটা ছিল নিজের সীমা পরীক্ষা করার যাত্রা। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর এই পর্বতের চূড়ায় দাঁড়িয়ে যখন লাল-সবুজ পতাকাটা তুলে ধরলাম, মনে হলো এটি শুধু আমার সফলতা নয়, এটি বাংলাদেশের সব তরুণের স্বপ্নের স্পন্দন।”
তিনি বলেন, “আমার এই অভিযানটা ছিল পৃথিবীর সব বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের জন্য, যাদের জীবনটা কেটে যায় অন্যের ওপর ডিপেন্ড (নির্ভর) করে এবং চার দেয়ালের আলোতে পৃথিবী দেখে। আমি বিশ্বাস করি, পৃথিবীতে আসা সব প্রাণী শক্তিশালী। আসুন, ডিপেন্ডেবল এই মানুষগুলোর ওপর আরো বিনয়ী হই, ভালোবাসা এবং সাহায্যে তৈরি করি তাদের নতুন পৃথিবী।”
যেভাবে ‘আমা দাবলাম’ জয় করলেন তৌকির
গত ১২ অক্টোবর দুঃসাহসিক এই অভিযানের জন্য দেশ ছাড়েন তৌকির। এরপর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে শুরু হয় তার মূল অভিযান। হিমালয়ের পাহাড়ি বন্ধুর পথ ধরে ট্রেকিং করে তিনি বেস ক্যাম্পে পৌঁছান ২২ অক্টোবর। বেস ক্যাম্পে পৌঁছে তৌকির শুরু করেন উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ায় কৌশল। যা এক্লিমাটাইজ রোটেশন নামে পরিচিত।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের ২৯ অক্টোবর সামিটের কথা থাকলেও ২৭ অক্টোবর থেকে হিমালয়ের শুরু হয় তীব্র তুষার পাত। এই তুষার পাতের মধ্যেই তৌকির অবস্থান করেন আমা দাবলাম ক্যাম্প-১ এ। যার উচ্চতা প্রায় ১৯ হাজার ফিট। ২৮ অক্টোবর আবহাওয়া আরো খারাপ হলে তাদের শেরপা লিডার সিদ্ধান্ত নেন বেস ক্যাম্পে ফিরে যাবার। তীব্র এই তুষার ঝড়ের মধ্যে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে তাদের দল বেস ক্যাম্পে পৌঁছায়। বেস ক্যাম্পে পৌঁছে শুরু হয় নতুন দুশ্চিন্তার কারণ।
৬৮১২ মিটার উচ্চতার আমা দাবলাম পর্বত
তুষার পাতের কারণে ফিক্সড রোপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবহাওয়া ভালো হতে শুরু করলেও নতুন রুট ওপেন না করা পর্যন্ত সামিট পুশ সম্ভব হচ্ছিল না। এভাবেই কেটে যায় পাঁচদিন। তরপর সুখবর আসে রুট ওপেন হবার। নভেম্বরের ২ তারিখ শুরু হয় আবার সামিট বিট। এইদিনে তৌকির পৌঁছে যান ১৯ হাজার ফিট উচ্চতার ক্যাম্প-১ এ। এরপর ৩ তারিখ ইয়োলো টাওয়ার খ্যাত ১৯ হাজার ৬৮৫ ফিট উচ্চতার ক্যাম্প-২ এ পৌঁছান। বিশ্রাম নিয়ে শুরু করেন সামিট পুশ। তীব্র বাতাস, ফিক্সড রোপে অতিরিক্ত ট্রাফিক এবং আইস ফলকে উপেক্ষা করে ৪ নভেম্বর ২২ হাজার ৩৪৯ ফিট উচ্চতার ‘আমা দাবালাম’ চূড়ায় পৌছান তিনি।
তৌকির বিশ্বাস করেন, “স্বপ্ন যদি সত্যিকার অর্থে জ্বলে, তবে পাহাড়ও নত হয়। প্রতিটি শিখর আমাদের শেখায়, সীমা কেবল মনেই থাকে, সফলতায় নয়।”
তরুণ এই পর্বতারোহী এবারের স্বপ্ন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া ‘মাউন্ট এভারেস্ট’। এই লক্ষ্য নিয়েই তিনি এগোচ্ছেন। এখন প্রয়োজন তার সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তৌকির ২০২৬ সালেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় আবারো উড়াতে চান বাংলাদেশের পতাকা।
এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নেপালের তিনটি ছয় হাজার মিটার পর্বত চূড়া স্পর্শ করেন পাবনার সন্তান আহসানুজ্জামান তৌকির। ২৭ দিনের অভিযানে গিয়ে কোন শেরপা সাপোর্ট ছাড়াই পর্বতগুলো আরোহণ করেন তিনি। পর্বতগুলো হলো ৬১১৯ মিটার উচ্চতার লবুচে পিক, ৬১৬৫ মিটার উচ্চতার আইল্যান্ড পিক ও ৬৪৬১ মিটার উচ্চতার মেরা পিক।
তারও আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে তৌকির খুম্বু রিজিওনের ৫০৭৬ মিটার উচ্চতার নাগা অর্জুন এবং ৬১১৯ মিটার উচ্চতার লবুচে পিক পর্বতের চূড়ায় আরোহণ করে বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা উড়িয়েছেন।
তৌকির পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের বালুচর মহল্লার আকরাম হোসেন সাবু-সুলতানা সামিয়া পারভীন দম্পতি ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট তিনি। চাটমোহর রাজা চন্দ্রনাথ ও বাবু শম্ভুনাথ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা এবং অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্রিপল-ই তে বিএসসি সম্পন্ন করেছেন
ঢাকা/মাসুদ