সাবেক এমপি নয়নের বাড়িতে চতুর্থ বার আগুন
Published: 1st, October 2025 GMT
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের পোড়া বাড়িতে পুনরায় আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ লোকজন।
বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে জেলা শহরের মহিলা কলেজ এলাকায় নয়নের বাসভবন লুবনা কটেজে এ আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরো পড়ুন:
টঙ্গীতে রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা
ভালুকায় আগুনে ১৮ ঘর পুড়ে ছাই, নিহত ১
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নয়ন জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি পালিয়ে যান। ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট তার বাড়িতে প্রথম আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা। পরে ৫ আগস্ট ফের আগুন দেওয়া হয়। তখন কিছু দুষ্কৃতকারী বাসা থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে। পরে শেখ হাসিনার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ভাঙা বাড়িতে পুনরায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা বাড়িটি গোপনে কে বা কারা সংস্কার করছিল। এটি দেখে জুলাইযোদ্ধা পরিচয়ে একদল যুবক গিয়ে বাধা দেয়। একপর্যায়ে তারা একটি নিরাপত্তা দেওয়াল ভেঙে মালামালে আগুন লাগিয়ে দিয়ে। এ নিয়ে এ বাড়িতে চারবার আগুন দেওয়া হয়েছে।
জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখ্য সংগঠক সাইফুল ইসলাম মুরাদ বলেন, ‘‘লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক অবৈধ এমপি ও ছাত্র হত্যা মামলার আসামি নয়নের বাসায় দীর্ঘদিন ধরে গোপনে সংস্কার কাজ চলছিল। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা আজ বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে তারা ওই বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।’’
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার সাইফুল ইসলাম রাজু বলেন, সাবেক সংসদ সদস্যের বাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা। পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আমরা আগুন নিভিয়েছি।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মোন্নাফ বলেন, ‘‘সাবেক সংসদ সদস্যের বাড়িটি গত ৪ আগস্ট পোড়ানো হয়েছিল। তাতে বাড়ির অবকাঠামো ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। আজ আবার সেখানে আগুন ধরানো হয়েছে বলে জেনেছি।’’
ঢাকা/লিটন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন লক ষ ম প র আগ ন দ নয়ন র
এছাড়াও পড়ুন:
বাসে প্রবাসীকে অজ্ঞান করে টাকা-মুঠোফোন লুট, লাগেজ নিতে গিয়ে পড়লেন ধরা
দুবাইপ্রবাসী এ আর হোসেন ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। পাশে বসা যাত্রী তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতা শুরু করেন। একপর্যায়ে জুস খাওয়ার অনুরোধ করেন। সরল মনে কোনো সন্দেহ না করে ওই জুস পান করেন হোসেন। অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাঁর মানিবাগ, মুঠোফোন, স্বর্ণালংকার চুরি করে নেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে নওগাঁগামী একতা পরিবহনের বাসে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী এ আর হোসেনের বাড়ি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রামে। দুবাই থেকে ঢাকায় নেমে তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বাসে তাঁর পাশের আসনের যাত্রী ছিলেন অজ্ঞান পার্টির সদস্য আরমান হোসেন। তাঁর বাড়ি নরসিংদী জেলায়। পুলিশ আরমানকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসের স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ আর হোসেন দুবাই থেকে গতকাল সকালে ঢাকায় পৌঁছান। বেলা ১১টার দিকে তিনি গ্রামের বাড়ি আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে উত্তরা থেকে একতা পরিবহনের বাসে ওঠেন। বাসে পাশের আসনে বসা যাত্রী আরমান হোসেনের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। একপর্যায়ে বগুড়ার শেরপুরের আগে আরমান বোতল বের করে তাঁকে জুস খাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ওই জুস খাওয়ার পর হোসেন অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
এ আর হোসেন বলেন, ‘আমার নামার কথা ছিল বগুড়া-নওগাঁ সড়কের চৌমুহনী মোড়ে। কিন্তু অচেতন হয়ে থাকায় বাসের সর্বশেষ গন্তব্যস্থল নওগাঁ বাসস্ট্যান্ডে চলে আসি। এখানে আসার পর পাশে বসা ওই যাত্রী ও বাসের সুপারভাইজার আমাকে বাস থেকে নামান এবং মুখ-চোখে পানি দেন। চেতনা ফেরার পরই আমি পাশের সিটের যাত্রীকে ধরে ফেলি। পরে অন্য যাত্রীদের সহযোগিতায় তাঁর কাছ থেকে আমার চুরি হওয়া টাকা, মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করি। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বাসের লকারে থাকা আমার ব্যাগ নেওয়ার। ওই ব্যাগে আরও কিছু মূল্যবান জিনিস ছিল।’
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, অজ্ঞান পার্টির সদস্য সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।