বিমানবন্দরে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি, এম এ মালিককে সতর্ক করল বিএনপি
Published: 1st, October 2025 GMT
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও দলের যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি এম এ মালিককে সতর্ক করে নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। লন্ডন থেকে আসা ও ফেরার সময় ঢাকা ও সিলেট বিমানবন্দরে লোকসমাগম করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগে তাঁকে এ নোটিশ দেওয়া হয়।
‘বিমানবন্দরে দুর্ভোগ ও জনমনে বিরক্তি সৃষ্টি প্রসঙ্গে’ শিরোনামে আজ বুধবার এম এ মালিককে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এম এ মালিক যখনই লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছান, আবার ঢাকা থেকে সিলেটে নিজ এলাকায় যান, তখনই দুই বিমানবন্দরে অনেক জনসমাগম হয়। দলের নেতা-কর্মীদের অনেকের অভিযোগ, তিনি আগে থেকে লোকজনকে বিমানবন্দরে সংগঠিত করেন, এতে বিমানবন্দরে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। সাধারণ যাত্রীরা বিরক্ত হন। সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর এম এ মালিক লন্ডন থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাঁর সমর্থক স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেন।
এম এ মালিক সিলেট-৩ আসন (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) থেকে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করতে চান। এ লক্ষ্যে তিনি এলাকায় যাওয়া–আসা শুরু করেছেন।
এর আগে গত বছরের ১৩ অক্টোবর এম এ মালিক ১৬ বছর পর লন্ডন থেকে দেশে আসেন। তাঁর ফেরা উপলক্ষে ঢাকা ও সিলেট বিমানবন্দরে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী জড়ো করা হয়।
এম এ মালিককে সতর্ক করে বিএনপির নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আপনি বিদেশ থেকে দেশে আসা-যাওয়ার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে আপনাকে স্বাগত ও বিদায় জানানোর সময় অসংখ্য লোক সমাগম করেন, যা অপরিণামদর্শী কাজ এবং তাতে জনদুর্ভোগ তীব্রতর হয়। আপনার অবিবেচনাপ্রসূত এই কর্মকাণ্ডে বিমানবন্দরে অসংখ্য যাত্রীকে বিড়ম্বনা ও কষ্টকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। ইতিপূর্বেও আপনি বিমানবন্দরে মাত্রাতিরিক্ত লোকসমাগম ঘটিয়ে বিমানবন্দর এলাকার আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি করেন।’
নোটিশে আরও বলা হয়, দলের একজন দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে এ ধরনের লোকসমাগম সাংগঠনিক নীতির পরিপন্থী, যা দৃষ্টিকটু ও জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
নোটিশে এখন থেকে এম এ মালিককে দেশে আসা ও বিদেশে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে লোকসমাগম করলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি জানানো হয়।
এম এ মালিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি তো কাউকে অর্গানাইজ করি না। নেতা-কর্মীরা আমাকে ভালোবেসে আসেন। কারণ, আমি বিএনপির একজন ত্যাগী কর্মী, একজন যোদ্ধা। আমি লন্ডনে শেখ হাসিনার চায়ের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। বিগত আন্দোলনে আমার ভূমিকার কারণে নেতা-কর্মীরা হয়তো আমাকে ভালোবাসেন। দল যেহেতু সতর্ক করেছে, ভবিষ্যতের জন্য এ বিষয়ে আমি সতর্ক থাকব।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জনদ র ভ গ স ষ ট এম এ ম ল ক ব এনপ র র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
‘মোটা জেনারেলদের’ কড়া সমালোচনা করলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা হেগসেথ
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ‘মোটা জেনারেল’ এবং বৈচিত্র্য আনার উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে কয়েক দশক ধরে সামরিক বাহিনীর অধঃপতন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কমান্ডারদের এক বিরল সমাবেশে তিনি বলেন, যাঁরা তাঁর কর্মসূচিকে সমর্থন করেন না, তাঁদের পদত্যাগ করা উচিত।
হেগসেথের সঙ্গে মার্কিন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সমাবেশে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিও ভার্জিনিয়ার কোয়ান্টিকোতে সমবেত অ্যাডমিরাল এবং জেনারেলদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি মার্কিন শহরগুলোতে সেনা মোতায়েনকে ‘আমাদের সামরিক বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র’ হিসেবে ব্যবহার করার ধারণা দেন।
ফক্স নিউজের সাবেক গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হেগসেথ এবং সাবেক রিয়েলিটি টিভি তারকা ট্রাম্পের এ মন্তব্য একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মতো মনে হয়েছে। কারণ, গত সপ্তাহে হঠাৎই এই সমাবেশের জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের তলব করা হয়েছিল।
হেগসেথ অনুষ্ঠান শুরু করে বলেন, ‘নির্বোধ ও বেপরোয়া রাজনৈতিক নেতারা ভুল পথে পরিচালনা করায় আমরা পথ হারিয়ে ফেলেছি। আমরা ‘ওউক ডিপার্টমেন্ট’ (অতিমাত্রায় প্রগতিশীল বিভাগ) হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আর নয়।’
সারা বিশ্ব থেকে উড়ে আসা শীর্ষ কর্মকর্তায় ভরা মিলনায়তনে ভাষণ দেওয়ার সময় হেগসেথ তাঁর মাধ্যমে ফ্ল্যাগ কর্মকর্তাদের যাঁরা বরখাস্ত হয়েছেন, সেই সেটিকে সমর্থন করেন। বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন একজন কৃষ্ণাঙ্গ শীর্ষ মার্কিন জেনারেল এবং নৌবাহিনীর শীর্ষ অ্যাডমিরাল, যিনি একজন নারী। তিনি বলেন, যেসব কর্মকর্তাকে তিনি অব্যাহতি দিয়েছেন, তাঁরা একটি ভেঙে পড়া সংস্কৃতির অংশ ছিলেন।
হেগসেথ পেন্টাগন যেভাবে বৈষম্যের অভিযোগ ও অন্যায়ের তদন্ত পরিচালনা করছে, তাতে ব্যাপক পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, বর্তমান ব্যবস্থায় শীর্ষ কর্মকর্তাদের ‘ডিমের খোসার ওপর দিয়ে হাঁটার মতো’ সতর্ক থাকতে হয়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথের ডাকে সমাবেশে যোগ দেওয়া মার্কিন শীর্ষ জেনারেলরা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ভার্জিনিয়া