সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল এ কমিটির অনুমোদন দিয়ে তাদের ভেরিফায়েড পেইজে পোস্ট দেন। আগামী ৬ মাসের জন্য এ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

এতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো.

লিখন ইসলামকে আহ্বায়ক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শামস উদ্দিনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

৯৬ সদস্যের কমিটিতে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আশফাকুর রহমানকে সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিনকে সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আল-আমিনকে মুখ্য সংগঠক এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী শাহজালাল মিয়াজী জিহাদকে মুখপাত্র করা হয়েছে। 

নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক মো. লিখুন ইসলাম বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী মেহেদী ও আব্দুল্লাহ শহীদ হয়েছেন। বিপ্লবীদের ক্যাম্পাসের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া নিঃসন্দেহে গর্বের এবং চ্যালেঞ্জিং এক অভিজ্ঞতা। এ আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভিতর ও বাইরে যেকোন বৈষম্য দূর করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলা।”

ঢাকা/ইয়াছিন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ

বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।

এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।

জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ