জেরার মুখে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধানেরা, ট্রাম্প বললেন গোপনীয় কিছু ছিল না
Published: 26th, March 2025 GMT
বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ সিগন্যাল-এ সামরিক পরিকল্পনা সংক্রান্ত গ্রুপ চ্যাটে এক সাংবাদিককে যুক্ত করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিষয়টিকে ‘সিগন্যাল-গেট’ তথা সিগন্যাল কেলেঙ্কারি বলছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের শুনানিতে দেশটির তিন শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা কড়া জেরার মুখে পড়েন। তবে বিষয়টি হালকাভাবে দেখছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ওই গ্রুপ চ্যাটে গোপনীয় কিছু ছিল না।
ওই গ্রুপে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ছাড়াও ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য ছিলেন। সেখানে দ্য আটলান্টিক পত্রিকার সাংবাদিক জেফরি গোল্ডবার্গকেও যুক্ত করা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎজ ভুলবশত গোল্ডবার্গকে চ্যাট গ্রুপে যুক্ত করেন।
গ্রুপ চ্যাটে ইয়েমেনে হুতি গোষ্ঠীর ওপর বিমান হামলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ফলে বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই গোল্ডবার্গ জেনে গিয়েছিলেন, এই হামলা হতে চলেছে।
সিনেটের ইন্টেলিজেন্স কমিটির শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) পরিচালক জন র্যাটক্লিফ ও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) পরিচালক ক্যাশ প্যাটেল।
শুনানিতে বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট সদস্যদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হন তিন গোয়েন্দা প্রধান। প্রায় দুই ঘণ্টা পর শুনানি মুলতবি করা হয়। এরপর শুরু হয় শুনানির রুদ্ধদ্বার অধিবেশন। সেখানে গোপনীয় ও স্পর্শকাতর তথ্য নিয়ে জেরা হওয়ার কথা।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের গোপন সামরিক অভিযান নিয়ে গ্রুপ চ্যাটে আলোচনা ঘিরে হইচই৫ ঘণ্টা আগেসিগন্যাল গ্রুপের ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির আইনপ্রণেতারা। তবে বিষয়টি হালকাভাবে নিতে রাজি হননি ডেমোক্র্যাটরা। ডেমোক্র্যাট সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার বলেন, এ ঘটনায় বিশৃঙ্খলা, অসতর্কতা এবং অদক্ষ আচরণের বিষয়টি সামনে এসেছে।
ওই চ্যাটে গোপনীয় তথ্য থাকার বিষয়টি শুনানিতে তুলসী গ্যাবার্ড ও জন র্যাটক্লিফ উভয়ে অস্বীকার করেন। সিগন্যাল গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ করার অনুমোদন আছে বলেও জোর দিয়ে বলেন সিআইএর পরিচালক। বিষয়টি বড় ধরনের ভুল ছিল কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না’।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশে তাঁর প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।
বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে