চলতি আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে প্রথম জয় পেয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। তবে দলের অধিনায়ক রিয়ান পরাগকে সেই জয়ের পর গুনতে হলো জরিমানা। স্লো ওভার রেটের কারণে তাকে ১২ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে।  

রোববার রাতে গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে দুই হারের পর রাজস্থান জয় পেলেও অধিনায়ক পরাগ পেলেন শাস্তি। চলতি আসরে এটি দ্বিতীয়বার, যখন কোনও অধিনায়ক স্লো ওভার রেটের জন্য শাস্তির মুখে পড়লেন। এর আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হার্দিক পান্ডিয়াও একই কারণে শাস্তি পেয়েছিলেন। তবে এবারের সংশোধিত নিয়ম অনুযায়ী অধিনায়কের নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও জরিমানা এবং ফিল্ডিং সীমাবদ্ধতার শাস্তি কার্যকর হচ্ছে।  

রাজস্থান রয়্যালসের এই ম্যাচে তিন ফাস্ট বোলার দিয়ে ১১ ওভার করানোয় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইনিংস শেষ করতে ব্যর্থ হয় দলটি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮২ রান করে রাজস্থান। পরে শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে চেন্নাইকে ১৯ রান নিতে দেয়নি তারা, ফলে ৬ রানের জয় পায় রাজস্থান রয়্যালস।  

উল্লেখ্য, রাজস্থানের নিয়মিত অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন আঙুলের চোটের কারণে দলের নেতৃত্ব দিতে পারছেন না। তবে তিনি কেবল ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। তার অনুপস্থিতিতে পরাগকে প্রথম তিন ম্যাচের জন্য অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ