গ্রিনল্যান্ডকে এভাবে সংযুক্ত করা যাবে না: ডেনমার্ক
Published: 5th, April 2025 GMT
গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে চান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ডেনমার্ক বলছে, এভাবে কোনো দেশকে সংযুক্ত করা যায় না। মূলত ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে আনার জন্য বারবার চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী ম্যাটে ফ্রেডরিকসেন কঠোরভাবে তার মোকাবিলা করছেন বলে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, এটা কেবল ডেনমার্ক বা গ্রিনল্যান্ডের প্রশ্ন নয়। বহু প্রজন্ম ধরে আমরা আটলান্টিক-সংলগ্ন এলাকায় যে অঞ্চল গড়ে তুলেছি, এটা তার শৃঙ্খলার প্রশ্ন। গ্রিনল্যান্ডের নতুন ও বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কোনো দেশকে এভাবে নিজের দেশের সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়া যায় না। এমনকি, সুরক্ষার দোহাই দিয়েও নয়।
গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের অংশ হলেও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা স্বায়ত্তশাসিত। যদিও ডেনমার্ক তাদের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়গুলো দেখে। রাশিয়া এবং চীনকে মোকাবিলা করার জন্য ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা বাড়াতে চান। বিশেষজ্ঞদের মতে, একই সঙ্গে তিনি ওই দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপরও দখল চান। খবর সিএনএনের।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক ত কর
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’