ইতিহাসের ভয়ংকর ট্যারিফ যুদ্ধে কে জিতবে, কে হারবে
Published: 10th, April 2025 GMT
বাণিজ্য ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ট্যারিফ যুদ্ধ হয়েছিল ১৯৩০ সালে। সেই যুদ্ধে চরমভাবে পরাজিত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর ঠিক ৮০ বছর পরে আবার সেই ট্যারিফ যুদ্ধ শুরু করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেছিলেন ট্রাম্প। তবে সেই যুদ্ধ সীমাবদ্ধ ছিল মূলত চীনের সঙ্গে। চীনের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য–ঘাটতি কমাতে ২০১৮ সালে ট্রাম্প চীনের ওপর শুল্ক আরোপ করেছিলেন। চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা ব্যবস্থা নেয়। তখনই ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকোর বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন।
জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও কিন্তু ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বাতিল করেননি। তবে তিনি গণহারে ব্যবস্থা না নিয়ে লক্ষ্যভিত্তিক ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। ট্রাম্প আবারও প্রেসিডেন্ট হয়ে অন্য কিছুর আর ধার ধারেননি। বরং গণহারে ট্যারিফ বা শুল্ক আরোপ করেছেন। আর তাতেই বিশ্ববাণিজ্য তোলপাড়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ল ক আর প
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার উপকারিতা
স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ উন্নত করার প্রথম টিপস হলো, তিনি কী বলছেন তা শুনতে শেখা। তিনি যে চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি প্রকাশ করছেন তার প্রতি মনোযোগ দেওয়া, তার কথা এবং তার শারীরিক ভাষা উভয়ই বোঝার চেষ্টা করা। কারণ মনোযোগ দিয়ে কথা শোনার অভ্যাস শুধুমাত্র আপনার স্ত্রীর সাথে সংযোগ উন্নত করতে সাহায্য করবে না বরং আপনার চারপাশের অন্যদের প্রতি আরও কীভাবে সহমর্মী ও ধৈর্যশীল হতে হয়, তা শিখতেও সাহায্য করবে।
সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে পাবেন
অনেক সময় কথা বলতে বলতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। এমন কয়েকটি শব্দ বেছে নিন যা কঠিন মুহূর্তে বিরতি নিয়ে সহায়তা দেবে। যেমন একটু পরে কথা বলি, ঠান্ডা হও ইত্যাদি। সচেতনভাবে কথার মাঝে অন্য কথা নিয়ে আসুন। যাতে আলোচনা ঘুরে যায়। স্ত্রী যদি চিৎকার করে বা কঠিন কথা বলতে শুরু করে তাহলে সে কথা বলা থামানো না পর্যন্ত আপনি চুপ থাকুন, বিরতি নিন। এই অভ্যাস আপনার অভিসে মানিয়ে নিতেও সহায়তা দেবে।
সম্পর্কে থাকা মানে সীমানাহীন হওয়া নয়
স্ত্রীকে আপনি যা বলতে চান, তা আপনার বক্তব্যের প্রথমভাগে রাখুন। তবে একবার ভেবে নেবেন ওই কথা দুইজনের আলোচনা এগিয়ে নেবে নাকি আঘাত করবে। আঘাত করার আশঙ্কা থাকলে আলোচনার শেষ দিকে আপনার মূল বক্তব্য বলুন। ধরা যাক, তিনি কঠিন কোনো কথা আপনাকে শুনিয়েছেন, সন্দেহ প্রকাশ করেছেন—তাকে প্রশ্ন করুন সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখার জন্য যা মনে আসে তাই বলা কতটা বিপদজনক হতে পারে?
আরো পড়ুন:
১০ বছরের ছেলেকে বিমানবন্দরে রেখেই বেড়াতে যাচ্ছিলেন বাবা-মা, এরপর
রেগে জীবিত স্ত্রীর শ্রাদ্ধ করলেন স্বামী
আপনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খণ্ডানোর উপায় খুঁজে পাবেন
ধরা যাক আপনার স্ত্রী আপনাকে কোনো অভিযোগ দিয়েছে। আপনি সময় নিন, কিছুক্ষণ ভাবুন। এরপর আপনি আসলেই দোষী কিনা বুঝবেন। যদি দোষ না থাকে তাহলে আপনার যুক্তি উপস্থাপনের আগে বলুন যে, ‘তুমি যা বুঝেছো তা হলো…’। এবার তাকে বলতে দিন। সে তার ভুল বুঝতে পারলে সহমর্মীতা দেখান। আপনার ভুল থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিন।
অন্যকে বুঝতে পারবেন
যে কাউকে ঠিকঠাক বোঝার উপায় হলো তার জায়গায় নিজেকে, নিজের অবস্থানকে ভাবা। দুইজনের সম্পর্কে কখন জটিলতা তৈরি হচ্ছে, কখন স্বাভাবিক থাকছে এগুলো বুঝুন। এতে যোগাযোগ সহজ হবে।
যত্নশীল হতে পারবেন
স্ত্রীর ভালোলাগা মন্দলাগাগুলো বুঝে ওঠার চেষ্টা করুন। তার ভালোলাগা বিষয়গুলোর যত্ন নিন। এতে দেখবেন দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে,অন্যদের সঙ্গেও সহজে মানিয়ে নিতে পারছেন।
সূত্র: দ্যা ম্যারেজ অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি