দর্শনায় পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
Published: 18th, April 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গা দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল শামীম রেজা সাজুর গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে কোয়ার্টারের সহকর্মীরা তাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ পায়নি। পরে জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা পারিবারিক কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। পুলিশ মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের কোয়ার্টারে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।
জানা যায়, শামীম রেজা সাজু কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার জুতিয়াডাঙ্গা গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর জানান, শামীম রেজা সাজু বেশ কয়েক মাস আগে দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন পুলিশে যোগদান করেন। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি কিছুটা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন বলে জানা যায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫