টাইগার শ্রফকে হত্যার পরিকল্পনার ছক ফাঁস, ভাড়া করা সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার
Published: 23rd, April 2025 GMT
বলিউড অভিনেতা টাইগার শ্রফকে হত্যার হুমকির ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছি পুলিশ। মঙ্গলবার মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড সংগ্রহ করে তদন্তে না পুলিশ। পরে পাঞ্জাবের কপুরথলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম মণীশ কুমার সুজিন্দর সিংহ। তার বয়স ৩৫ বছর।
বলিউড হাঙ্গামার খবরে বলা হয়েছে, ফোনকলকারী পুলিশকে জানায়, এক সিকিউরিটি এজেন্সির মালিক তাকে টাইগার শ্রফকে হত্যা করার জন্য ভাড়া করেছে। তাকে একটি রিভলভার এবং নগদ ২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য।
লোকমত টাইমসের বরাত দিয়ে বলিউড হাঙ্গামা জানিয়েছে, কাজের অনিয়মিত উপস্থিতির কারণে বেতনের কাটছাঁট হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে এবং প্রতিশোধের মনোভাব থেকে মণীশ এই মিথ্যা গল্প সাজান। তার লক্ষ্য ছিল নিজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ফাঁসানো এবং কোম্পানির সুনাম ক্ষুণ্ণ করা।
এদিকে, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করার অভিযোগে খার থানার পুলিশ মণীশ কুমার সিংহের বিরুদ্ধে আইপিসি -এর ৩৫৩(২), ২১২ এবং ২১৭ ধারায় মামলা দায়ের করেছে।
প্রসঙ্গত, টাইগার শ্রফ বর্তমানে তার বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘বাঘি ৪’-এর শুটিংয়ে ব্যস্ত। চলতি মাসের শুরুতে নিজের ৩৫তম জন্মদিন উপলক্ষে তিনি ছবিটির নতুন পোস্টার প্রকাশ করেন, যেখানে তার চরিত্র রনি-কে আরও কঠিন ও রুক্ষ চেহারায় দেখা যায়।
‘বাঘি ৪’ পরিচালনা করছেন এ.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় আরও অগ্রগতি প্রয়োজন: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে সাত বছর আগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলা বাতিলকে স্বাগত জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় আরও অগ্রগতি প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি।
অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক গবেষণা পরিচালক ইসাবেল লাসে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘শহিদুল আলমের এই রায় অনেক আগেই পাওয়া দরকার ছিল। তাঁকে যখন আটক করা হয়েছিল, তখন আমরা তাঁকে বিবেকের বন্দী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলাম। তাঁর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গ্রেপ্তার হওয়া কখনো উচিত ছিল না। ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বাংলাদেশের (তৎকালীন) কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও দমন-পীড়নের সমালোচনা করার কারণেই তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর পদ্ধতিগত ও সহিংস উপায়ে দমন-পীড়ন চালানোর ধারা পরিবর্তন করাটা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন ইসাবেল লাসে। তিনি বলেন, ‘এ জন্য প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে, নিজেদের আইনকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং যেসব কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বা হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিচার নিশ্চিত করা। যাঁরা এসবের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশ একটি ন্যায়ভিত্তিক ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সমাজের দিকে যাত্রা করছে বলে অনেকে আশা করছেন, তাই সেখানে এ ধরনের দমনমূলক কৌশলের কোনো স্থান নেই।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মনে করে, শহিদুল আলমের মামলা বাতিল করাই যথেষ্ট নয়। মতপ্রকাশের কারণে তাঁকে ১০০ দিনের বেশি আটকে রাখা হয়েছে এবং হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাঁর ওপর নির্যাতন হয়েছে। তাঁর এগুলোর প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।
শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলাটি বৃহস্পতিবার বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।