মানবিক করিডরের সিদ্ধান্ত ও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল চায় গণ অধিকার পরিষদ
Published: 3rd, May 2025 GMT
জুলাই গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ (পথনকশা) প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
এ ছাড়া জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শর্ত সাপেক্ষে মিয়ানমারের বেসামরিক লোকজনের জন্য করিডর দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়েছে দলটি।
আজ শনিবার ঢাকায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশে এক অনুষ্ঠানে গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে এসব দাবি জানানো হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে পেশাজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সহস্রাধিক নেতা–কর্মী গণ অধিকার পরিষদে যোগ দিয়েছেন বলে দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো.
দলটির পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি ও ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। গণ অধিকার পরিষদ কোনো দেশের দালালি মানবে না। গণ অধিকার পরিষদ দেশের জনগণবিরোধী সব সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
গণ অধিকারে যোগ দেওয়া এই নেতা–কর্মীদের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ৩০ জন নেতা রয়েছেন। এর বাইরে ভাসানী অনুসারী পরিষদের বেশ কিছু নেতা–কর্মীও যোগ দিয়েছেন এই দলে। যোগ দেওয়া অন্যদের মধ্যে প্রকৌশলী, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা রয়েছেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আইন মন্ত্রণালয়: ট্রুথ কমিশন গঠনে সরকারি সিদ্ধান্ত হয়নি
ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠনের বিষয়ে এখনো সরকারি সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) আইন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি কিছু কিছু পত্রিকায় ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন সম্পর্কে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার বক্তব্য বিচ্ছিন্নভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভ্রান্তি দূর করার স্বার্থে জানানো যাচ্ছে যে, ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরো পড়ুন:
সাত দিনের মধ্যে নতুন সাইবার আইন কার্যকর: আইন উপদেষ্টা
সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া অনুমোদন
এতে আরো বলা হয়, আইন উপদেষ্টা তার বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যেও বলেছেন, এ ধরনের কমিশন গঠনের কথা ভাবা যেতে পারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে সংঘটিত গণহত্যার বিচার হওয়ার পর এবং গণঅভ্যুত্থানে পতিত দলটির নেতাদের অনুশোচনা প্রকাশ সাপেক্ষে। তার বক্তব্য ছিল, গণহত্যাকারীরা যে জাতি থেকে বিচ্ছিন্ন ও পরিত্যাজ্য এটি প্রতিষ্ঠার জন্যও এ ধরনের কমিশন গঠনের কথা ভাবা যায়।
আইন উপদেষ্টা তার সর্বশেষ বক্তব্যে বলেছেন, সময়মতো রাজনৈতিক দল, ছাত্রনেতৃত্ব ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে কী করা যায় তা চিন্তা করা হবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ