শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির বোর্ড অডিট কমিটির ২৬৭তম সভা সম্প্রতি ব্যাংকের কর্পোরেট প্রধান কার্যালয়ের পর্ষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ও কমিটির সদস্য একরামুল হক। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ব্যাংকের পরিচালক ও বোর্ড অডিট কমিটির সদস্যবৃন্দ আব্দুল হালিম, খন্দকার শাকিব আহমেদ এবং স্বতন্ত্র পরিচালক মো.

রিয়াজুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহউদ্দীন আহমেদ এবং কোম্পানি সচিব মো. আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

কেন শুধু দেখা আর অপেক্ষায় রাশিয়া

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। সশস্ত্র সংঘাতের কারণে অশান্ত দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার মানুষ। কিন্তু এবার ঝুঁকি আরও বেশি। ইসরায়েল নিজেকে সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে ফেলেছে। কোনো প্রক্সি বা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে নয়, এবারের সংঘাত পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ইরানের সঙ্গে। 

স্পষ্ট করে বলতে গেলে, ইসরায়েল-ইরান সংঘাত ১৩ জুন শুরু হয়নি। ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত দুই দেশ সরাসরি হামলা চালায়। তার আগে কয়েক দশক ধরে তারা মূলত গোয়েন্দা অভিযান, সাইবার আক্রমণ ও আঞ্চলিক প্রক্সিদের সমর্থনের মাধ্যমে ‘ছায়া যুদ্ধ’ পরিচালনা করেছিল। কিন্তু এখন ইসরায়েলের হামলায় সংঘাতটি প্রকাশ্য যুদ্ধে রূপ নিয়েছে। প্রতি মুহূর্তে যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তিত হচ্ছে। এটি ইউক্রেনীয় সংঘাতের মতো হবে না। কারণ, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্ব নেই। তাই স্থল অভিযানের সম্ভাবনা কম। তবে মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র মিত্র হিসেবে পরিচিত ইরানের এ দুঃসময়ে রাশিয়া কেন চুপ আছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। খবর আরটির

পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে মস্কো। তেলের দাম বৃদ্ধি রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করবে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মধ্যপ্রাচ্য উত্তপ্ত হওয়ায় বিশ্বের মনোযোগ ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান থেকে সরে যাবে বলেও তারা ‘নিশ্চিত’। এ ছাড়া তেহরান রাশিয়ার একটি কৌশলগত অংশীদারও এবং ইরানের এই যুদ্ধে থাকা মস্কোর জন্য লাভবান হবে।

ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ শুরু হওয়ার পরপরই রাশিয়ার কর্মকর্তারা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির এ পদক্ষেপকে ‘উদ্বেগজনক’ ও ‘বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছিলেন। রুশ গণমাধ্যমগুলোকে সেই সময় অতটা উদ্বিগ্ন মনে হয়নি। কেউ কেউ তেহরান-তেল আবিব সংঘাতে মস্কোর কী কী লাভ, সেটাও জানাতে শুরু করেছিলেন– বলছে বিবিসি।

সেই সময় রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোর দৃষ্টিতে যা যা ইতিবাচক মনে হয়েছিল, তার মধ্যে আছে– তেলের দাম বেড়ে যাওয়া, যা রাশিয়ার কোষাগার স্ফীত করবে। 

এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতারও প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই প্রস্তাব গৃহীত হলে রাশিয়া নিজেকে মধ্যপ্রাচ্যে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী’ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবে। তবুও রাশিয়া কতটা করতে পারবে বা করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। তাই আপাতত, রাশিয়ার সবচেয়ে ভালো পথ হতে পারে ইরানের পাশে থেকে কূটনৈতিক সমর্থন দেওয়া।

সম্পর্কিত নিবন্ধ