কমিশনেই বন্দি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন
Published: 6th, May 2025 GMT
গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের ঘোষণা দীর্ঘ ৭ বছর পর শিক্ষার্থীদের মাঝে আশার সঞ্চার করলেও বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।
নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রায় ২ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো প্রকাশ করা হয়নি কোনো রোডম্যাপ, তফসিল বা কার্যকর প্রস্তুতির চিত্র। এতে করে শিক্ষার্থীদের মাঝে না হওয়া নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে সংশয়।
গবি দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ছাত্র সংসদের কাঠামো রয়েছে। চলতি বছরের ২৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রফিকুল আলমকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করে গবি প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করলেও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কমিশন গঠনের পর থেকে নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপ, তফসিল বা প্রস্তুতি প্রকাশ করা হয়নি।
প্রশাসনের ধীরগতি নিয়ে গবির রাজনীতি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদা আক্তার নূরী বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ শুরু করে ঠিকই, কিন্তু পরে আর সেটার কোনো অগ্রগতি থাকে না। বিভিন্ন মনভুলানো অজুহাত আর অহেতুক জটিলতা দেখিয়ে প্রতিটি বিষয়ই দেরি করানোর নজির অহরহ। শিক্ষার্থীদের উচিত কালক্ষেপণ না করে দ্রুতই নির্বাচন কার্যকর করার জন্য অগ্রসর হওয়া।”
ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সাইন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থী মাজেদ সালাফি বলেন, “একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের প্রতিষ্ঠানেই ছাত্র সংসদ (গকসু) আছে। নেতৃত্ব তৈরির উদ্দেশ্যেই গকসু তৈরি। কিন্তু আজ সেখানেও বিভিন্ন জটিলতার অজুহাত বিরজমান। সব জটিলতা প্রহসন সরিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিত করে গকসু নির্বাচন দেওয়া উচিত।”
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইন বিভাগের সভাপতি রফিকুল আলম বলেন, “নির্বাচন হবে, কিন্তু কিছুটা সময়সাপেক্ষ। ভোটার তালিকা, রোডম্যাপ, তফসিলসহ এখানে কিছু আলোচনার বিষয় আছে। কিছু সংশোধন সংযোজন-বিয়োজনেরও বিষয় আছে। একইসঙ্গে জাতীয় বিষয়াদিও আছে।”
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে জনগণ, অংশ নিলেন প্রেসিডেন্টও
ইরানের তেহরানে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলার প্রতিবাদে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। দেশটির রাজধানীজুড়ে রোববার সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সেখানে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
বিক্ষোভ ‘আমেরিকার আগ্রাসনের জবাব চাই’, ‘আমেরিকা নিপাত যাক’, ‘ইসরায়েল ধ্বংস হোক’- ইত্যাদি নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
প্রতিবাদকারীদের হাতে ছিল ইরানি পতাকা, নিহতদের ছবি এবং ট্রাম্প ও ইসরায়েলি নেতাদের কুশপুতুল। অনেকে হাতে ধরে রেখেছিলেন ব্যানার যাতে লেখা ছিল:
‘আমরা প্রতিরোধ করবো, আত্মসমর্পণ নয়’, ‘হামলা হলে জবাব আসবেই’, ‘পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের রক্ত বৃথা যাবে না’
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই হামলা কেবল ইরানের নয়, সমস্ত মুসলিম বিশ্বের ওপর আঘাত। আমেরিকা জানে না, ইরান কখনও মাথানত করে না।’
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বিক্ষোভের লাইভ সম্প্রচার করে। অনেক জায়গায় ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত থেকে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেন প্রতিরোধে সক্রিয় থাকতে।
তেহরানের আজাদি স্কয়ার, ফার্দৌসি স্কয়ার, ইমাম হোমেইনি মসজিদের সামনে এবং পার্লামেন্ট ভবনের সামনে ছিল প্রধান বিক্ষোভস্থল। তবে দেশটির বিভিন্ন স্থানেও ছোটখাটো করে বিক্ষোভ হয়। তেহরানের আজাদি স্কয়ারে আসেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। পরে তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে অংশ নেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বিক্ষোভগুলো শুধু সরকার সমর্থিত নয়—বিশেষ করে ইরানে পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের ওপর হামলার পর সাধারণ জনগণের মধ্যেও জাতীয় ঐক্য ও ক্ষোভ উভয়ই দৃশ্যমান।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামে সামরিক অভিযানে ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। এর পরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।