মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে থেমে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় নিহত পাঁচজনের মধ্যে চারজনের পরিচয় মিলেছে।

নিহতরা হলেন-  সামাদ ফকির (৬৫), ছেলে বিল্লাল ফকির (৪০), মেয়ে আফসানা (২০) এবং অ্যাম্বুলেন্সচালক মাহবুবুল (২৮)। এর আগে, বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলা তালুকদার পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাস্থলে অজ্ঞাত এক নারী মারা যান।

পুলিশ, নিহতদের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাদারীপুর হাসপাতাল থেকে একজন গর্ভবতী নারীকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের দিকে যাচ্ছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। ওই গাড়িতে অসুস্থ নারীর কয়েকজন স্বজনও ছিলেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সিরাজদিখানের নিমতলা তালুকদার পাম্পের সামনে অ্যাম্বুলেন্সের চাকা পাংচার হয়ে যায়। সেখানে সড়কের পাশে অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে চাকা সচল করার জন্য কাজ চলছিল। অ্যাম্বুলেন্সটির পাশেই ছিলেন দুর্ঘটনার স্বীকার ব্যক্তিরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকাগামী গোল্ডেন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় এক নারী ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত হন দুই নারী ও তিনজন পুরুষ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আরো চারজন মারা যান।

আরো পড়ুন:

চাঁদপুরে দুই অটোরিকশার সংঘর্ষে যুবক নিহত

ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আহছানিয়া মিশনের ৯ সুপারিশ

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘‘ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।’’

আরো পড়ুন: ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৫

ঢাকা/রতন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

‎   সাধূ সাবধান

বিগত কয়েক বছর একটি বিষয়ের উপড় গবেষনা করে  বিষয়টি নিয়ে মোটা মোটি একটি সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছি। বিষয় টি ছিল মানুষ রাজ নৈতিক দল পরিবর্ত্ন অথবা নিজ দলে অন্তরদ্বন্দ্ব সৃস্টি করে কেন?

(রাজনৈতিক কর্মীরা যাদেরকে পল্টি বাজ হিসেবে অবহিত করে থাকেন)  বিভিন্ন শহরের বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীদের সাথে গভীর ভাবে মেলামেশা করে এটাই প্রতিয়মান হয়েছে, ব্যাক্তিস্বার্থের কারনেই এধরনের অনৈতিক কর্ম কান্ডের সাথে জরীয়ে পড়ছেন কতিপয় রাজনৈতিক সামাজীক ও ধর্মীয় সংগঠনের স্বার্থপর লোক গুলি!

তারা আমাগী দিনের চিন্তা না করে বর্তমানে হালুয়া রুটির ভাগ বাটোয়ারী নিয়েই চতুরস্পদ জন্তুর মত হামলে পড়ছেন!!যা তার নিজের জন্য তো নয়ই, দেশ ও জাতির জন্য কল্যান কর নয়। ডান বাম এমনকি কতিপয় ছুফিবাদি নামধারীরা ও একই তালে চলছেন! দূর্নীতি স্বজনপ্রিতি করে লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশ ও জাতিকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন! 

আমলা ও কতিপয় নামধারী শিল্পী সাংবাদিক বুদ্ধীজীবিরাতো বরাবর ই তো ডুবন্ত জাহাজের ইদুরের ভূমিকা পালন করে থাকে! আমাদের মানবীক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় হওয়ার মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ কে!! ওদের দূর্নীতির কারনে পণ্যমূল্য নাগালের বাইরে চলে গেছে!

যুদ্ধের কারনে বিদেশি কিছু পণ্যমূল্য বাড়াটাই স্বাভাবিক!  দেশে উৎপাদিত পণ্য সিন্ডেগিট করে সাধারন মানুষকে জীম্মি করে রাখা হয়েছে!

বিষয়টি দেখার কেউ আছে বলেতো মনে হয় না! একসাগর রক্তের বিনীময়ে অর্জিত দেশের দূরাবস্থার জন্য দায়ী ব্যাক্তিদেরকে চিহৃিত করে কার্য্যকরি ব্যবস্থা না নিতে পারলে শ্রীলঙ্কা লেবানন ও আফগানস্থানের মত হতে বেশি সময় লাগবে বলেতো মনে  হয়না!

পণ্যমূল্য অধীক হওয়ার ফলে সাধারন মানুষের পিট দেয়ালে ঠেকেগেছে!! ইরান যেভাবে যোদ্ধে দামামা বাজাচ্ছে  তাতে পণ্যমূল্য আরো কয়েক ধাপবেরে যাবে! তেলের মূল্যতো ইতিমধ্েয বেরে গেছে!

যদি তৃতীয় বিশ্বযোদ্ধ বেধেযায় তাহলে কি হবে আমাদের অবস্থা? এভাবে চলতে থাকলে সাধারন মানুষ ৭১’র মত গর্জে উঠলে দূর্নীতি বাজরা পালানোর পথও খুজে পাবে না!!

তৃতীয় বিশ্বযোদ্ধ বেধেগেলে ৭১ূ৭২ এর চাইতে চরম দূরাবস্থা হবে তৃতীয় বিশ্বের অধিবাসীদের! নাখেয়ে মরার অবস্থা হবে আমাদেরকে তাতে কোন সন্দেহ নেই!! তাই বলছিলাম সাধূ সাবধান।।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ