ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় নিহত ৪ জনের পরিচয় মিলেছে
Published: 8th, May 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে থেমে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় নিহত পাঁচজনের মধ্যে চারজনের পরিচয় মিলেছে।
নিহতরা হলেন- সামাদ ফকির (৬৫), ছেলে বিল্লাল ফকির (৪০), মেয়ে আফসানা (২০) এবং অ্যাম্বুলেন্সচালক মাহবুবুল (২৮)। এর আগে, বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলা তালুকদার পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাস্থলে অজ্ঞাত এক নারী মারা যান।
পুলিশ, নিহতদের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাদারীপুর হাসপাতাল থেকে একজন গর্ভবতী নারীকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের দিকে যাচ্ছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। ওই গাড়িতে অসুস্থ নারীর কয়েকজন স্বজনও ছিলেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সিরাজদিখানের নিমতলা তালুকদার পাম্পের সামনে অ্যাম্বুলেন্সের চাকা পাংচার হয়ে যায়। সেখানে সড়কের পাশে অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে চাকা সচল করার জন্য কাজ চলছিল। অ্যাম্বুলেন্সটির পাশেই ছিলেন দুর্ঘটনার স্বীকার ব্যক্তিরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকাগামী গোল্ডেন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় এক নারী ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত হন দুই নারী ও তিনজন পুরুষ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আরো চারজন মারা যান।
আরো পড়ুন:
চাঁদপুরে দুই অটোরিকশার সংঘর্ষে যুবক নিহত
ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আহছানিয়া মিশনের ৯ সুপারিশ
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘‘ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।’’
আরো পড়ুন: ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৫
ঢাকা/রতন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তিনি জানান, সপ্তাহখানেক আগে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিষয়টি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান আসিফ মাহমুদ।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের দাবির মুখে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এখন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন। তিনি আজ রাতে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সপ্তাহখানেক আগে থেকেই প্রসেস করে সব ফর্মালিটি শেষ করে এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলোর নিষিদ্ধ এবং রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্নকরণ নিশ্চিত করাই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার।’
আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণার দাবিতে আজ রাত ১০টার পর থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। সেখানে হাসনাতের সঙ্গে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা যোগ দিয়েছেন। অবস্থান কর্মসূচিতে ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’ প্রভৃতি বলে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচির কারণে যমুনার সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এই কর্মসূচি চলার মধ্যেই রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, ফ্যাসিস্ট ও খুনি আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে টালবাহানা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না।’
জুলাইয়ের সব শক্তি, শহীদ পরিবারের সদস্যদের ও আহতদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, ‘বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।’