সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল সীমান্তে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সীমান্ত জরিপ চলার সময় বিএসএফ সদস্যদের বাংলাদেশি ভূখণ্ডে প্রবেশে বাধা দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। বাংলাদেশের ভূখণ্ড বিএসএফ দখল করে নিচ্ছে- এমন অভিযোগে তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে মাঠে হাজির হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সীমান্ত পিলার ১২৭৮ ও ১২৭৯ এর মধ্যবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.

নাজমুল হক সমকালকে বলেন, কিছুদিন ধরে যৌথ জরিপ চলছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার নলজুরি খাসি হাওর ১২৭৮-১২৭৯ পিলারের মধ্যে সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলার মাঠে আজ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে জরিপ কাজ শুরু হয়। জরিপ চলার সময় বাংলাদেশি কিছু লোক আবেগপ্রবণ হয়ে ভিড় করেন। বিএসএফের সঙ্গে বাদানুবাদ হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। পরবর্তীতে কবে জরিপ হবে তা এখন বলা যাচ্ছে না।

জানা গেছে, তামাবিল সীমান্তে বাংলাদেশের জায়গা (খেলার মাঠ এলাকা) অপদখলীয় ভূমি হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময় চুক্তির আলোকে সীমান্ত এলাকায় সম্প্রতি জরিপ কাজ শুরু করে বাংলাদেশ ও ভারত। বৃহস্পতিবার ধারাবাহিক জরিপের অংশ হিসেবে জরিপ শুরু হলে সংশ্লিষ্টরা ছাড়াও দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

জরিপ শুরু হলে বিএসএফের কয়েকজন সদস্যের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খাসি হাওর এলাকায় প্রবেশ করা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানান। ওই সময় স্থানীয় লোকজন হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন। বিএসএফ সদস্যদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করতেও দেখা যায়। এক বিএসএফ সদস্যকে হিন্দিতে বলতে শোনা যায়, ‘এ হামারা মুল্লুক হ্যা। সমস্যা কিয়া হ্যায় তুম লোগকো।’  

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, যতটা জানতে পেরেছি সীমান্তে যৌথ সমীক্ষা চলছিল। তবে কে বা কারা সমীক্ষা চালিয়েছে তা আমরা জানি না। 

 

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ ব এসএফ সদস সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) শুরু করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। 

বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ভারতীয় সীমান্তে জড়ো হচ্ছে শত শত মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানা এলাকার হাকিমপুর সীমান্তে এমন ঘটনা দেখা গেছে। বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র এই সীমান্তেই জড়ো হয়েছেন নারী শিশু সহ অন্তত ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক।

আরো পড়ুন:

সৌদিতে বাস-ট্যাংকার সংঘর্ষ, ৪২ ভারতীয় হজযাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা

দিল্লির আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর সহযোগী গ্রেপ্তার

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে, শহর থেকে বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী এই বাংলাদেশিরা ফের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য হাকিমপুর সীমান্তে এসে পৌঁছেছেন। কেউ দালালের মাধ্যমে কেউ আবার নিজেরাই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এসেছেন সীমান্তে। কিন্তু বিএসএফের বাধায় সীমান্তেই আটকে পড়েছেন এই বাংলাদেশিরা। 

আটকে পড়া ব্যক্তিরা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশের পর তারা কলকাতা, দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু থেকে মুম্বাইয়ের মতো শহরে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ভারত জুড়ে শুরু হওয়া এসআইআরের কারণে জেল ও জরিমানা এড়াতে দেশে তারা ফিরতে চাইছেন। 

অফিসিয়াল বিবৃতি জারি না করলেও বিএসএফ সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে এমন ছবি শুধুমাত্র হাকিমপুর সীমান্তের নয়। এই সীমান্তে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সংখ্যাটা অনেক বেশি। বিএসএফ জানিয়েছে, আটকে পড়া এই বাংলাদেশিদের মানবিক বিবেচনায় গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্বের দাবির স্বপক্ষে নিথিপত্র বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়ন খতিয়ে দেখছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতে আগামী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন
  • মেহেরপুর সীমান্তে ১২ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ