গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের তথ্য চেয়েছে ঢাবি
Published: 8th, May 2025 GMT
জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ও নির্যাতনে সহায়তাকারী শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাবির তথ্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তথ্য দাতার পরিচয় গোপন থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছাত্র, শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিগত সরকারের সময়ে (২০০৯-২০২৪) বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাবির কতিপয় শিক্ষক ও কর্মকর্তার শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ও নির্যাতনে সহায়তার অভিযোগ খতিয়ে দেখা এবং দায়ী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে করণীয় সুপারিশের জন্য একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
সরকারি অর্থের নির্ভরতা না কমালে কোমর বাঁকা হয়ে যাবে: ঢাবি উপাচার্য
প্রথমবারের মতো ঢাবিতে বৃক্ষশুমারি শুরু
কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সুষ্ঠুভাবে তথ্যানুসন্ধানের জন্য উপরে বর্ণিত সময়ে শিক্ষার্থী নিপীড়ন এবং বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদান অথবা কমিটির কাছে বক্তব্য প্রদানে ইচ্ছুক ভুক্তভোগীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ও বক্তব্য প্রদানে আগ্রহীদের নাম, ঠিকানা তথ্যানুসন্ধান কমিটির সদস্য সচিব ও ঢাবি রেজিস্ট্রার বরাবর আগামী ২২ মে এর মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। এছাড়া ই-মেইলের ([email protected]) মাধ্যমে ও মোবাইল নম্বরে (০১৮১৭৫৭৯৭৭৮) কল করেও জানানো যাবে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর একটি হচ্ছে গাজীপুরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের ধাওয়া দেওয়ার ভিডিও ধারণ করা এবং আরেকটি হচ্ছে পূর্বশত্রুতার বিষয়। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেছে তারা। তাঁদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপি, মো. স্বাধীন ও আল আমিন। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এই চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা ছিনতাইকারী দলের সদস্য। এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের তিনটি দল ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে। গতকাল রাত আনুমানিক ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান ও তাঁর স্ত্রী গোলাপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অপর একটি দল গাজীপুর শহরের পাশ থেকে স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়।নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন