রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসা নবম শ্রেণি পাস একজনকে আটক করা হয়েছে। ‎শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন আব্দুস সোবহানকে আটক করে কর্তৃপক্ষ।

‎জানা গেছে, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল দিনাজপুরের মো.

আজমাইন ফাইকের (রোল ১৫৩৩৮৬)। শুক্রবার যথাসময়ে পরীক্ষা শুরুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি তাঁর পরিবর্তে নবম শ্রেণি পাস আব্দুস সোবহানকে পরীক্ষা দিতে দেখে তাঁকে আটক করে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আজিজুর রহমান স্বপন বলেন, পরীক্ষার্থী আজমাইন ফাইকের বদলে গাজীপুরের নবম শ্রেণি পাস এক ব্যক্তি পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয়েছেন। নবম শ্রেণি পাস হয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় তিনি কীভাবে প্রক্সি দিতে এসেছেন, তা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আব্দুস সোবহান প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা করবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নবম শ র ণ পর ক ষ য়

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনায় সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নেত্রকোনায় সাংবাদিক লুৎফুজ্জামান আলিফের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় জেলা প্রেসক্লাবের সামনে নেত্রকোনা সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

জেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি জাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, জেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক নাজমুস শাহাদৎ, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের জেলা কমিটির সভাপতি পারভেজ, হামলার শিকার লুৎফুজ্জামান আলিফ প্রমুখ।

লুৎফুজ্জামান আলিফ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রূপসী বাংলার নেত্রকোনা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১০ নভেম্বর দুপুরে লুৎফুজ্জামান আলিফ ও তাঁর সহকর্মী শাহজাহান শেখ জেলার দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে একটি ভাড়া মোটরসাইকেলে নদীর তেরিবাজার ঘাটে নামেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন ব্যক্তি সেখানে যান। তাঁদের মধ্যে দুজন চাপাতি হাতে লুৎফুজ্জামানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। সঙ্গে থাকা শাহজাহান শেখ বাধা দিতে গেলে তাঁকেও কোপানোর চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয় লোকজন লুৎফুজ্জামানকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি পরে ঢাকায় চিকিৎসা শেষে গতকাল বাড়ি ফেরেন।

এ ঘটনায় লুৎফুজ্জামান বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় মামলা করেছেন। এতে দুর্গাপুর পৌরশহরের পশ্চিম মোক্তারপাড়া এলাকার ইমরান ইসলাম ওরফে ইমন (২৩) ও পুলিশ মোড় এলাকার মো. সৌরভের (২৩) নামোল্লেখ করে এবং আরও চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ