রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসা নবম শ্রেণি পাস একজনকে আটক করা হয়েছে। ‎শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন আব্দুস সোবহানকে আটক করে কর্তৃপক্ষ।

‎জানা গেছে, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল দিনাজপুরের মো.

আজমাইন ফাইকের (রোল ১৫৩৩৮৬)। শুক্রবার যথাসময়ে পরীক্ষা শুরুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি তাঁর পরিবর্তে নবম শ্রেণি পাস আব্দুস সোবহানকে পরীক্ষা দিতে দেখে তাঁকে আটক করে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আজিজুর রহমান স্বপন বলেন, পরীক্ষার্থী আজমাইন ফাইকের বদলে গাজীপুরের নবম শ্রেণি পাস এক ব্যক্তি পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয়েছেন। নবম শ্রেণি পাস হয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় তিনি কীভাবে প্রক্সি দিতে এসেছেন, তা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আব্দুস সোবহান প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা করবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নবম শ র ণ পর ক ষ য়

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মীদের ছোট ছোট দলের মধ্যে তর্কে উৎসাহ দিতেন স্টিভ জবস, কেন

অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন স্টিভ জবস। প্রযুক্তি-দুনিয়ায় বিপ্লব ঘটানো স্টিভ জবস দীর্ঘদিন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁর প্রতিষ্ঠান পরিচালনার কৌশল প্রচলিত ব্যবসা–দুনিয়ার মতো ছিল না। তিনি নিজের প্রতিষ্ঠানকে বেশ আলাদাভাবে পরিচালনা করতেন। প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সমন্বয়ে গড়া ছোট ছোট দলের মধ্যে তর্ক আর লড়াইকে উৎসাহ দিতেন তিনি। স্টিভ জবস বিশ্বাস করতেন, প্রতিভাবান ব্যক্তিদের মধ্যে সংঘাত ও বিতর্ক নতুন উদ্ভাবনের পথ তৈরি করে। বিষয়টি অনেকটা সিরিশ কাগজ দিয়ে পাথর ঘষে চকচকে করার মতো। কর্মীদের ব্যক্তিত্বের সীমানা অতিক্রম করে নিত্যনতুন সৃজনশীলতাকে উৎসাহ দিলেও গভীর রাতে ফোন করা বা ছুটির সময়ও কাজের বিষয়ে কথা বলতেন স্টিভ জবস।

জীবদ্দশায় এক সাক্ষাৎকারে স্টিভ জবস জানিয়েছিলেন, প্রতিভাবানরা একে অন্যের বিরুদ্ধে ঝগড়া করেন। তাঁরা চিৎকার করেন। তাঁদের কিছু ভুল হয়। মাঝেমধ্যে তাঁদের তর্ক হয়, তাঁরা লড়াই করেন। এতে আসলে একে অপরকে তাঁরা শাণিত করেন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই আসে যখন মানুষ একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করতে বাধ্য হন। একমত হলেই অগ্রগতি নিশ্চিত নয়।

আরও পড়ুনস্টিভ জবসের সঙ্গে কাজ করে যে ৩টি বিষয় শিখেছেন টিম কুক২৪ অক্টোবর ২০২৪

স্টিভ জবসের নেতৃত্বে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে অ্যাপলের অনেক কর্মী জানিয়েছেন, আলাদা দলের মধ্য মিথস্ক্রিয়াকে উৎসাহিত করার জন্য টিম স্পেস গঠন করতেন স্টিভ জবস। প্রকৌশলী ও ডিজাইনারদের একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে পরস্পরের সমস্যা সমাধানের পথ তৈরি করতেন তিনি। আইফোন তৈরি ও পিক্সারেও একই কৌশল তিনি ব্যবহার করেন।

আরও পড়ুনস্টিভ জবসের যে দক্ষতাকে এখনো ঈর্ষা করেন বিল গেটস১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পিক্সারের প্রধান সৃজনশীল কর্মকর্তা পিট ডক্টর জানিয়েছেন, স্টিভ জবস ঘণ্টার পর ঘণ্টা সহকর্মীদের ফোন করতেন। জবস যেকোনো সময়, দিন বা রাত, ভোর তিনটার সময় কল দিতেন। আপনি ছুটিতে থাকলেও তাঁর কিছু যায়–আসে না। অফিস সময়ের পরে জবসের ফোনকলের আলোচনা বেশ রূঢ় থাকত। সেই সব আলাপের তীব্রতা প্রায়ই ব্যক্তিগত সীমানাকে উপেক্ষা করত। সব সময় কাজ—এমন সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী ছিলেন স্টিভ জবস।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

আরও পড়ুনস্টিভ জবসের জীবনের ৩ বিচ্ছেদের গল্প শুনুন০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ