কথাসাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর নাটক `সুড়ঙ্গ' মঞ্চে আনছে নাট্যদল এথিক। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন মিন্টু সরদার। ২৩ মে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চস্থ করা হবে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এথিক জানিয়েছে, গুপ্তধন কি সব সময় সবার ভাগ্যে জোটে? গুপ্তধন নিয়ে এক ষোড়শী কন্যার কৌতূহলী ভাবনার জগৎকে তুলে ধরা হয়েছে নাটকে। নাটকের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে ষোড়শী কন্যা রাবেয়াকে ঘিরে। দিন দুয়েক পর রাবেয়ার বিয়ে, হুট করে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। রীতিমতো শয্যাগত। ডাক্তার-হেকিম কোনোভাবেই রোগ ধরতে পারে না। ঘটনাটি নাটকীয়তায় মোড় নেয়।
নাটকটির সহযোগী নির্দেশক মনি কাঞ্চন, প্রযোজনা অধিকর্তা রেজানুর রহমান। এথিকের চতুর্দশ প্রযোজনা এটি।
আরও পড়ুনজীবনানন্দ দাশকে নিয়ে ‘কমলা রঙের বোধ’২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাহফুজ আফনান, প্রদীপ কুমার, মনি কাঞ্চন, সুকর্ণ হাসান, আজিম উদ্দিন, রেজিনা রুনি, নাহিদ মুন্না, ঊর্মি আহমেদ, দীপান্বিতা রায়, রুবেল খানসহ আরও অনেকে।
মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন সাইফুল ইসলাম, আলোক পরিকল্পক ঠাণ্ডু রায়হান, আবহ সংগীত করেছেন শিশির রহমান, পোশাক ও রূপসজ্জায় শুভাশীষ দত্ত, কোরিওগ্রাফি করেছেন এম আর ওয়াসেক এবং নাটকের প্রচ্ছদ করেছেন চারু পিন্টু।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।