হিলি বাজারে উঠেছে অপরিপক্ক লিচু, কিনছেন অনেকেই
Published: 10th, May 2025 GMT
লিচুর রাজ্য দিনাজপুর। এ জেলায় লিচু উঠতে এখনও সময় লাগবে প্রায় দেড় সপ্তাহ। কিন্তু এরই মধ্যে হিলি বাজারে উঠতে শুরু করেছে অপরিপক্ক লিচু। ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। এসব লিচু খেতে টক এবং নেই তেমন শ্বাস। মৌসুমি নতুন ফল হিসেবে কিনছেন অনেকেই।
শনিবার (১০ মে) সকালে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন ফল ব্যবসায়ী দোকানে মাদ্রাজি জাতের লিচু সাজিয়ে রেখেছেন। এসব লিচু দেখতে কাঁচাপাকা এবং অপরিপক্ক। ব্যবসায়ীরা ১০০ লিচু বিক্রি করছেন ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। বছরের নতুন ফল হিসেবে এসব অপরিপক্ক লিচুই কিনছেন অনেকে ক্রেতা।
মজিবর রহমান নামের একজন ক্রেতা বলেন, “বাজারে এলাম, চোখে পড়লো লিচু। লিচু তো বাড়ির সবার পছন্দের ফল। ২২০ টাকা হিসেবে ১০০ টাকায় ৫০টি লিচু নিলাম।”
পলাশ নামের আরেকজন ক্রেতা বলেন, “নতুন ফল দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। ১০০ লিচু কিনলাম। কিন্তু এসব লিচু এখনও পরিপক্ব হয়নি। খেতে টক, এখনও সময় লাগবে। তবুও নিলাম।”
হিলি বাজারে ফল ব্যবসায়ী ভুট্রু মিয়া বলেন, “বাজারে দুই থেকে তিনদিন হলো লিচু উঠেছে। এ লিচু আমরা পাশের উপজেলা পাঁচবিবি থেকে নিয়ে এসেছি। এসব মাদ্রাজি জাতের লিচু। বর্তমান প্রচণ্ড গরম পড়ছে। কৃষকের গাছ থেকে লিচু পড়ে যাচ্ছে। বোম্বে, চায়না ফ্রি, বেদনা জাতের লিচু উঠতে এখনও সময় লাগবে। মাদ্রাজি জাতের লিচুর চাহিদা অনেকটা কম, বেচাবিক্রিও তেমন হচ্ছে না।”
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, “বাজারে লিচু উঠতে এখনও প্রায় দেড় সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে যেসব লিচু বাজারে উঠেছে এসব আগাম জাতের লিচু।”
ঢাকা/মোসলেম/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভয়াবহ আগুন কলকাতার বড়বাজারে, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০ ইঞ্জিন
কলকাতার পুলিশ হেডকোয়ার্টার লালবাজারের কাছে বড়বাজারের এজরা স্ট্রিটের একটি গুদামে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। শনিবার ভোর রাতে আগুন লাগলেও সেই আগুন সকাল পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। বরং দ্রুত আগুন ছড়াচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের অন্তত ২০টি ইঞ্জিন। ল্যাডারের সাহায্য নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ইঞ্জিনের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ গুদামে আগুন লেগে যায়। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং প্রচুর বৈদ্যুতিক তার ছিল গুদামে। মজুত করা ছিল অনেক দাহ্য পদার্থ। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভালো করে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে আকাশ। চারদিক ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। কীভাবে এই আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বৈদ্যুতিক সামগ্রী থেকেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। কেউ কেউ শর্ট সার্কিটের সম্ভাবনার কথা বলছেন।
আরো পড়ুন:
ভারত যাচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
চীন সীমান্তের পাশে নতুন বিমানঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত
যদিও ফায়ার সার্ভিসের তরফে সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও কিছু নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি, তারা আগুন নেভাতেই এখনো পর্যন্ত ব্যস্ত। পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, ভোরে ওই গুদাম থেকে কালো ধোঁয়া বার হতে দেখে স্থানীয়রাই দমকলকে জানান। ঘনবসতি এলাকা হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। গুদাম থেকে পাশের আবাসনেও ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। একাধিক বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর। ভিতরে কেউ আটকে পড়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে দমকলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাদের অভিযোগ, দমকলে খবর দেওয়া হলেও তারা দেরিতে এসেছে। ফলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ