লিচুর রাজ্য দিনাজপুর। এ জেলায় লিচু উঠতে এখনও সময় লাগবে প্রায় দেড় সপ্তাহ। কিন্তু এরই মধ্যে হিলি বাজারে উঠতে শুরু করেছে অপরিপক্ক লিচু। ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। এসব লিচু খেতে টক এবং নেই তেমন শ্বাস। মৌসুমি নতুন ফল হিসেবে কিনছেন অনেকেই। 

শনিবার (১০ মে) সকালে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন ফল ব্যবসায়ী দোকানে মাদ্রাজি জাতের লিচু সাজিয়ে রেখেছেন। এসব লিচু দেখতে কাঁচাপাকা এবং অপরিপক্ক। ব্যবসায়ীরা ১০০ লিচু বিক্রি করছেন ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। বছরের নতুন ফল হিসেবে এসব অপরিপক্ক লিচুই কিনছেন অনেকে ক্রেতা।

মজিবর রহমান নামের একজন ক্রেতা বলেন, “বাজারে এলাম, চোখে পড়লো লিচু। লিচু তো বাড়ির সবার পছন্দের ফল। ২২০ টাকা হিসেবে ১০০ টাকায় ৫০টি লিচু নিলাম।”

পলাশ নামের আরেকজন ক্রেতা বলেন, “নতুন ফল দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। ১০০ লিচু কিনলাম। কিন্তু এসব লিচু এখনও পরিপক্ব হয়নি। খেতে টক, এখনও সময় লাগবে। তবুও নিলাম।”

হিলি বাজারে ফল ব্যবসায়ী ভুট্রু মিয়া বলেন, “বাজারে দুই থেকে তিনদিন হলো লিচু উঠেছে। এ লিচু আমরা পাশের উপজেলা পাঁচবিবি থেকে নিয়ে এসেছি। এসব মাদ্রাজি জাতের লিচু। বর্তমান প্রচণ্ড গরম পড়ছে। কৃষকের গাছ থেকে লিচু পড়ে যাচ্ছে। বোম্বে, চায়না ফ্রি, বেদনা জাতের লিচু উঠতে এখনও সময় লাগবে। মাদ্রাজি জাতের লিচুর চাহিদা অনেকটা কম, বেচাবিক্রিও তেমন হচ্ছে না।”

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, “বাজারে লিচু উঠতে এখনও প্রায় দেড় সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে যেসব লিচু বাজারে উঠেছে এসব আগাম জাতের লিচু।” 

ঢাকা/মোসলেম/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক

৭ বছরের বিরতির পর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নতুন নেতৃত্ব।

তবে পূজার ছুটি শেষ না হওয়ায় এখনও হয়নি অভিষেক ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। ফলে দায়িত্বভার নিতে পারছেন না নবনির্বাচিতরা।

আরো পড়ুন:

গকসুর জিএস, এজিএসের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আপত্তি, পুনর্নির্বাচন দাবি

চাকসু নির্বাচন: দুই নারী প্রার্থীকে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপূজার পর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের অভিষেক। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও নির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি। এতে নির্বাচনের পর যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তা এখন রূপ নিয়েছে অপেক্ষার আবহে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ২৫ সেপ্টেম্বর দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ৭ বছরের ব্যবধান ঘুচিয়ে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব বেছে নেন। ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, প্রার্থীদের প্রচারণা আর ভোটের দিন ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে তোলে।

ভোট শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হলেও আনুষ্ঠানিক অভিষেক না হওয়ায় এখনো কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি তারা।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেশমা আক্তার বলেন, “গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হলেও নির্বাচিত সদস্যরা এখনও শপথ গ্রহণ করেননি। এই বিলম্বের সুযোগে কিছু মহল নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এই গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে সফল করতে এবং অপপ্রচার রোধে নির্বাচিত সদস্যদের দ্রুত শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করা জরুরি। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করতে পারেন।”

সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান বলেন, “নির্বাচনের পরের দিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল এবং দুর্গাপূজার ছুটির কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন পূজার ছুটির পর যতদ্রুত সম্ভব অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, “ছুটি শেষে শপথ গ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এখন পর্যন্ত কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।”

২০১৩ সালে প্রথমবার গকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২৫ সেপ্টেম্বর চতুর্থ নির্বাচনে সম্পাদকীয় ও অনুষদ প্রতিনিধি মিলিয়ে মোট ১২টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫৮ জন প্রার্থী। ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৭৬১ জন।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ভবন ধস: ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও আটকা ৯১ জন
  • বাজেট বিল নিয়ে অচলাবস্থা, শাটডাউনের পথে যুক্তরাষ্ট্র
  • পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক