আ’লীগের কার্যালয় দখল করে এনসিপির অফিস
Published: 11th, May 2025 GMT
ভোলার চরফ্যাসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের তিনতলা ভবন দখল নিয়ে নিজেদের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এসসিপি) নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে। শনিবার দুপুরে চরফ্যাসন পৌর সদরের কলেজ রোডে অবস্থিত আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়টি দখল করা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। লুট করা হয় আসবাব। এর পর থেকে পরিত্যক্ত পড়ে ছিল আওয়ামী লীগের কার্যালয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ৯ মাস পর এনসিপির চরফ্যাসন উপজেলা প্রতিনিধি দাবি করে অহিদ ফয়সাল নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে গতকাল আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখল করা হয়। সেখানে নিজেদের কার্যালয়ের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন এনসিপির কর্মীরা।
সরেজমিন দেখা যায়, এনসিপির সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের তিনতলা ভবনে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা করছেন এনসিপির নেতারা। ভবনের ছাদে মাইক লাগিয়ে চালানো হচ্ছে এনসিপির প্রচারণা।
এনসিপির চরফ্যাসন উপজেলার প্রতিনিধি দাবি করা অহিদ ফয়সাল বলেন, এনসিপির দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চরফ্যাসন উপজেলার এনসিপির নেতা আমজাত হাবিব, নুরে আলম নাসিম, শরিফ হোসাইন ও মো.
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় স্থানীয় একজন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার দল। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এই প্রথম কোনো দলের নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ অফিস দখল করে নিজের দলীয় কার্যক্রম করছেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক ঘটনা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ এনস প দল য় ক র য এনস প র র দল য় আওয় ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কৃত্রিম হীরা তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা
গবেষণাগারে কৃত্রিমভাবে হীরা তৈরি করেছেন চীনের সেন্টার ফর হাই-প্রেশার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যাডভান্সড রিসার্চের বিজ্ঞানীরা। উল্কাপিণ্ডে থাকা বিভিন্ন উপাদান সফলভাবে কাজে লাগিয়ে ষড়্ভুজাকার হীরা তৈরি করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, কৃত্রিমভাবে তৈরি হীরাটি প্রকৃতিতে পাওয়া যেকোনো বস্তুর চেয়ে শক্ত। বৈজ্ঞানিক সাময়িকী নেচারে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষণার তথ্যমতে, বিজ্ঞানীরা উচ্চ তাপমাত্রা, উচ্চ চাপ ও আধা হাইড্রোস্ট্যাটিক পরিস্থিতিতে উল্কাপিণ্ডে থাকা গ্রাফাইটকে ষড়্ভুজাকার হীরাতে রূপান্তর করেছেন। এই স্ফটিক কাঠামো প্রচলিত প্রাকৃতিক হীরার চেয়ে শক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক হীরা শক্ত হলেও কিছুটা দুর্বলতা থাকে। তবে ষড়্ভুজাকার হীরা বা লন্সডেলাইট আরও শক্তিশালী পারমাণবিক বিন্যাস নিয়ে গঠিত।
বিজ্ঞানী ইয়াং লিউশিয়াং বলেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে হীরা তৈরিতে দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জের সমাধান করা হয়েছে। ভবিষ্যতের উপাদান উদ্ভাবনের জন্য একটি পদ্ধতিগত ভিত্তি স্থাপন করেছি আমরা। অপর বিজ্ঞানী হো-কোয়াং মাও এই অর্জনকে পরবর্তী প্রজন্মের অতি কঠিন উপকরণ ও উন্নত ইলেকট্রনিক যন্ত্র বিকাশের জন্য একটি নতুন পথ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, কাঁচামাল হিসেবে অতি বিশুদ্ধ, অপরিষ্কার–মুক্ত প্রাকৃতিক গ্রাফাইট ষড়্ভুজাকার হীরার নমুনা তৈরিতে সহায়তা করেছে। পুরো প্রক্রিয়া সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
১০০ মাইক্রন স্কেলে পরীক্ষাগারে ষড়্ভুজাকার হীরা তৈরি করা হয়েছে। উল্কাপিণ্ডে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া এই বিরল হীরা তৈরির মাধ্যমে অতি কঠিন পদার্থের সন্ধানে এগিয়ে গেলেন চীনের বিজ্ঞানীরা। নতুন এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে পরীক্ষাগারে নতুন পদার্থ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি