১০৩ বছরে যা হয়নি তাই হয়ে গেল এল ক্লাসিকোতে
Published: 11th, May 2025 GMT
বার্সেলোনা–রিয়াল মাদ্রিদের মৌসুম বাঁচানো এল ক্লাসিকোতে ১৪ মিনিট পর মনে হচ্ছিল একতরফা ম্যাচ হতে যাচ্ছে। কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে রিয়াল তখন এগিয়ে ২–০ গোলে। কিন্তু এরপরই বদলে যেতে থাকে ম্যাচের দৃশ্যপট। ১৯ মিনিটে এরিক গার্সিয়ার গোলে ব্যবধান কমানোর পর ২ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে বার্সাকে ৩–২ গোলে এগিয়ে দেন লামিনে ইয়ামাল ও রাফিনিয়া।
রাফিনিয়া যখন ম্যাচের পঞ্চম গোলটি করেন তখন ম্যাচের ৩৪ মিনিটের খেলা চলছিল। এই গোলের মধ্য দিয়ে নতুন এক ইতিহাসও দেখল এল ক্লাসিকো। ১০৩ বছর পর এই প্রথম এল ক্লাসিকোতে প্রথম ৩৫ মিনিটের মধ্যে ৫ গোলের দেখা মিলল। এর আগে ১৯২২ সালের ২১ মার্চ এল ক্লাসিকোতে সর্বশেষ এমন কিছুর দেখা মিলেছিল।
আজ রোববার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই জোড়া ভুলে রিয়ালকে পেনাল্টি উপহার দেয় বার্সা। রিয়ালের আক্রমণের মুখে প্রথমে ভুল করেন বার্সা ডিফেন্ডার পাউ কুবারসি। এরপর বক্সের ভেতর এমবাপ্পেকে ফাউল করে রিয়ালকে পেনাল্টিই উপহার দিয়ে বসেন বার্সা গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি। পেনাল্টিতে ভুল করেননি এমবাপ্পে। গোল করে এগিয়ে দেন রিয়ালকে। পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে বার্সা। দ্রুত কয়েকবার আক্রমণেও যায় তারা, তবে কাঙ্ক্ষিত গোলটি মেলেনি।
বার্সা না পারলেও ক্ল্যাসিকাল এক প্রতি–আক্রমণ থেকে দ্বিতীয় গোল আদায় করতে ভুল করেননি এমবাপ্পে। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পাস ধরে দারুণ ফিনিশিংয়ে রিয়ালকে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন এই ফরাসি তারকা। গোল নিয়ে অবশ্য আপত্তি জানায় বার্সা। আক্রমণের শুরুতে ইয়ামালের বিরুদ্ধে ফাউলের অভিযোগ আনে তারা। যদিও সে অভিযোগ শেষ পর্যন্ত টেকেনি। গোল পেয় যায় কার্লো আনচেলত্তির দল।
জোড়া গোল খেয়ে যেন ঘুম ভাঙে বার্সার। আক্রমণের পর আক্রমণে কাঁপিয়ে দেয় রিয়াল–রক্ষণ । থিবো কোর্তায়ার দৃঢ়তায় একাধিকবার বেঁচে যাওয়ার পরও অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি। ১৯ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে হেডে গোল করে বার্সার হয়ে ব্যবধান কমান এরিক গার্সিয়া। ব্যবধান ২–১ করার পর আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে বার্সা।
মাঝমাঠের দখল রেখে বেশ কিছুও আক্রমণ শানায় তারা। তেমনই এক আক্রমণ থেকে ৩২ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরায় বার্সা। বক্সের ভেতর থেকে বাঁকানো ট্রেডমার্ক শটে গোল করেন ইয়ামাল।
এই গোলের রেশ কাটার আগেই অলিম্পিক স্টেডিয়ামকে উল্লাসে মাতিয়ে ২ মিনিট পর ব্যবধান ৩–২ করেন রাফিনিয়া। এরপর সমতা ফেরানোর জন্য রিয়াল পেনাল্টি পেলেও সেই পেনাল্টি বাতিল হয়ে যায় ভিএআরের হস্তক্ষেপে। রিয়াল সমতা ফেরাতে না পারলেও বার্সা ঠিকই পেয়ে যায় নিজেদের চতুর্থ গোল। ৪৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি আদায় করেন রাফিনিয়া।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এল ক ল স ক ত ব যবধ ন এমব প প ল কর ন গ ল কর র য় লক
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ এনসিপিসহ ১৬ দল
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ১৬টি দলের নিবন্ধন আবেদন বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন মাঠ পর্যায়ে তদন্তের পর সিদ্ধান্ত হবে।
রবিবার (১০ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “এনসিপিসহ ১৬টি দলকে আমরা মাঠ পর্যায়ে যাচাই বাছাইয়ের জন্য তালিকা করেছি। সেখান থেকে তদন্ত রিপোর্ট আসলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
আরো পড়ুন:
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন: সিইসি
নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারব: তারেক রহমান
এবার ১৪৫টি দল নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করে।
কে এম আলী নেওয়াজ বলেন,“তবে প্রাথমিক বাছাইয়ে সব দল ফেল করলে ইসি ৩ আগস্ট পর্যন্ত তথ্যের ঘাটতি পূরণের চিঠি দেয়। এরপর ৮০টি দল তথ্যে ঘাটতি পূরণ করে। এদের মধ্যে বাছাইয়ে টিকল ১৬টি।”
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয় জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়া কোনো দলের কেউ আগে সংসদ সদস্য থাকলে বা আগের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।
এসব প্রধান শর্তগুলো ছাড়াও বেশকিছু নিয়ম কানুন মেনে আবেদন করতে হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ে এসব নিয়ম কানুনগুলোই সাধারণত খেয়াল করা হয়।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর কমিশন প্রথমে এগুলো প্রাথমিক বাছাই করে। এরপর সেই দলগুলোর তথ্যাবলী সরেজমিন তদন্ত শেষে বাছাই সম্পন্ন করে দাবি আপত্তি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় কমিশন।
সেখানে কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করা হয়। আর কোনো আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করে ইসি। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজ প্রতীকে ভোটে প্রার্থী দিতে পারে না।
বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫১টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি।
দলগুলো হলো-জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা।
ঢাকা/হাসান/সাইফ