Samakal:
2025-05-12@11:26:14 GMT

৮৭ ঘণ্টায় কার কত ক্ষতি

Published: 11th, May 2025 GMT

৮৭ ঘণ্টায় কার কত ক্ষতি

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘটে যাওয়া সংঘাত আবারও উপমহাদেশে যুদ্ধের ছায়া ফেলেছে। ৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিটে ভারতীয় বিমানবাহিনী (আইএএফ) ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামক ২৩ মিনিটের এক সামরিক অভিযানে পাকিস্তানের ভেতরে ৯টি বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এ ঘটনায় ৭ থেকে ১০ মে পাল্টা সামরিক জবাব দেয় পাকিস্তান। কয়েক দিনের এই যুদ্ধাবস্থায় দুই দেশই বিপুল পরিমাণ সামরিক, কৌশলগত এবং মানবিক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে।

ভারতের অভিযানে ব্যবহৃত হয় ফ্রান্সের তৈরি দাসোঁ রাফায়েল যুদ্ধবিমান, যা বহন করছিল স্কাল্প ইজি (স্টর্ম শেডো) দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যা প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এবং এএএসএম হ্যামার প্রিসিসন গ্লাইড বোমা। ভারত পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চিহ্নিত ও দুর্বলতা বের করতে ব্যবহার করে স্কাইস্ট্রাইকার (ভারত-ইসরায়েল যৌথভাবে তৈরি) এবং ইসরায়েলি হ্যারোপ ড্রোন। এগুলো শুধু হামলার জন্য নয়, বরং পাকিস্তানের রাডার এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিক্রিয়া উস্কে দিয়ে দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ফাঁক বা দুর্বলতা বের করতেই পাঠানো হয়। 

পাকিস্তান বিমানবাহিনী (পিএকে) তাদের মূল মিশন পরিচালনায় ব্যবহার করে চেংদু জে- ১০সি চীনের যুদ্ধবিমান, যা ছিল পিএল-১৫ দূরপাল্লার আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও কোরাল ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা দিয়ে সজ্জিত। ভারতের হামলা ঠেকাতে পাকিস্তান একটি যুগান্তকারী ও বিরল রেকর্ড গড়ে। তারা ফ্রান্সের তৈরি তিনটি দাসোঁ রাফায়েল ৪.

৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে, যা ছিল এই প্ল্যাটফর্মের প্রথম নিশ্চিত যুদ্ধক্ষেত্রের ক্ষতি। পাকিস্তান আরও দাবি করে, তারা ১২টি ভারতীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে, যা ঘটেছে ইলেকট্রনিক কাউন্টারমেজার, আকাশ প্রতিরক্ষা কামান ও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সম্মিলিত ব্যবহারে।

অর্থনৈতিক ধাক্কা

ভারতের স্টক মার্কেট, আকাশপথ ও বিনিয়োগে বড় ধরনের পতন হয়। ৮৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিট ধরে চলা এই সংঘাতের মধ্যে ভারতের নিফটি ৫০ ও বিএসই সেনসেক্স সূচক মিলিয়ে ৮২ বিলিয়ন ডলার মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন হারায়। উত্তর ভারতের আকাশপথ বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য বিমান ক্ষতি হয়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) স্থগিত হওয়ায় ৫০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয় টিভি স্বত্ব, টিকিট বিক্রি ও বিজ্ঞাপন থেকে। সামরিক অভিযানে খরচ পড়ে ১০০ মিলিয়ন ডলার, রাফায়েল যুদ্ধবিমানের ক্ষতির মূল্য ৪০০ মিলিয়ন ডলার। পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় ক্ষতি দাঁড়ায় ২ বিলিয়ন ডলার। বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারানো ও সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) কমার ফলে প্রভাব পড়ে অতিরিক্তভাবে। মোট ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে, একই সময়ে পাকিস্তানের কেএসই-১০০ সূচক ৪ দশমিক ১ শতাংশ কমে যাওয়ায় প্রায় ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার হারায়। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) স্থগিত হওয়ায় ১০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয় সম্প্রচার ও সম্পর্কিত খাত থেকে। আকাশপথ বন্ধ থাকায় বিমান খাতে ২০ মিলিয়ন ডলার লোকসান হয়। সামরিক অভিযানে দৈনিক ২৫ মিলিয়ন ডলার, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে (বেরাখটার এবং রাদ এএলসিএম) খরচ হয় ৩০০ মিলিয়ন ডলার। বিনিয়োগ আস্থা কমে গেলেও তা পরিমাপ করা যায়নি। পাকিস্তানের মোট ক্ষতি দাঁড়ায় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে, এই সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২২ গুণ বেশি। 

আধুনিক যুদ্ধের  মূল্য
এই ৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধ শুধু আকাশেই লড়া হয়নি, তা আঘাত হেনেছে স্টক মার্কেট, অর্থনীতি ও আস্থাতে। প্রতি ঘণ্টায় এক বিলিয়ন ডলার ক্ষতির হিসাব সামনে এনেছে আধুনিক যুদ্ধের ভয়াবহ মূল্য। যুদ্ধের প্রকৃত মাপকাঠি এখন আর শুধু যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন নয়, এখন তা নির্ধারিত হয় শেয়ারবাজারে পতন, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, সরবরাহ ব্যবস্থার ভেঙে পড়া, বিমান চলাচল বন্ধ ও বিদেশি বিনিয়োগ হারানোর ওপর। খবর দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি নেতা আসাদুল হাবিবসহ ৭০ জন নিঃশর্ত খালাস

লালমনিরহাটে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও দলটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুসহ ৭০ আসামি নিঃশর্ত খালাস পেয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আদীব আলী এ আদেশ দেন।

লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) কে এম হুমায়ুন রেজা সার্বিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আজ এ–সংক্রান্ত একটি মামলায় অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। এ সময় আদালতে পিপি তৎকালীন রাজনৈতিক পটভূমিসহ সার্বিক অবস্থার কথা তুলে ধরে মামলাটিকে হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মামলা থেকে নিঃশর্ত খালাস প্রার্থনা করেন।

আসাদুল হাবিব

সম্পর্কিত নিবন্ধ