আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। একই সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার শেষ করে রায় বাস্তবায়ন করা এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে দলটি।

আজ রোববার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।

বিবৃতিতে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, আওয়ামী লীগ যে মাত্রায় অপরাধ করেছে, তাতে অভ্যুত্থান–পরবর্তী সরকারের প্রথম কার্যদিবসেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত ছিল। সরকার তা করেনি। দুঃখজনক বিষয় হলো, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে জনতাকে লাগাতার আন্দোলন করতে হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থান অবরোধ করতে হয়েছে। তারপর গতকাল উপদেষ্টা পরিষদ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটিকে তাঁরা সাধুবাদ জানান।

ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, মানুষের প্রত্যাশা ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। এতে জনতার প্রত্যাশার একাংশ পূরণ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই অতি দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার শেষ করে রায় বাস্তবায়ন করা হবে এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে। বিগত ৯ মাসের মতো এই ক্ষেত্রে টালবাহানা করলে জনতা সরকারের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।’

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যত বড় স্বৈরাচারই হোক, তার পাপের বোঝা যত বড়ই হোক, আমরা চাই আওয়ামী লীগের শাস্তি বিচারিক প্রক্রিয়াতেই হোক। তবে বিচারিক প্রক্রিয়ার কথা বলে দিনের পর দিন অপরাধীরা ঘুরে বেড়াবে, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে, তা সহ্য করা হবে না। তাই দ্রুততার সঙ্গে আওয়ামী অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ষ দ ধ কর আওয় ম ইসল ম সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের কাছে হারের কারণ ব্যাখ্যায় যা বললেন রশিদ খান

এশিয়া কাপের পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচেও বাংলাদেশের কাছে হারল আফগানিস্তান। কাল শারজাতে বাংলাদেশের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে রশিদ খানের দল। এই হারে দলের ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগকেই দুষছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।

আফগানিস্তানের ১৫১ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটি তুলেছে ১০৯ রান। তখন জয় মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু আচমকাই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে বড় ধস নামে। ১১.৪ ওভার থেকে ১৫.৪ ওভারের মধ্যে ২৪ বলে বাংলাদেশ ৯ রানে ৬ উইকেট হারালে ম্যাচে ফেরে আফগানিস্তান। কিন্তু এভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি তারা।

আফগানিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোয় সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল রশিদের। ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার। এর মধ্য দিয়ে দারুণ এক কীর্তিও গড়েন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে এ নিয়ে পঞ্চমবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিলেন রশিদ।

টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর অধিনায়কদের মধ্যে টি–টোয়েন্টিতে আর কোনো অধিনায়ক এতবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিতে পারেননি। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা দুবার করে ইনিংসে ন্যূনতম ৪ উইকেট নিয়েছেন।

কাল ৪ উইকেট নিয়েছেন রশিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ