আসন্ন ঈদুল আজহায় সড়ক ও মহাসড়কে কোরবানির পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

সোমবার (১২ মে) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ঈদুল আজহার প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো.

এহছানুল হক এবং সেতু সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ।

আরো পড়ুন:

ঈদুল আজহা: বেঙ্গল মিটের অনলাইন কোরবানি হাট

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি, উদ্বৃত্ত থাকতে পারে ২০ লাখ

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, “ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও চাঁদাবাজিমুক্ত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ, পশুবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজি রোধ, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নজরদারি বৃদ্ধি এবং রেলের অতিরিক্ত কোচ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, “মহাসড়ক ও তার পাশে চিহ্নিত ২১৭টি সম্ভাব্য গরুর হাট ইজারা দেওয়া হবে না। ঈদের সময় ঢাকা-রংপুর ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উন্নয়নকাজ ৭দিন বন্ধ রাখা হবে। যানজটের আশঙ্কাজনক ১৪৯টি স্থানে মনিটরিং জোরদার ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।”

সভায় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, “গত ঈদে প্রায় দেড় কোটি মানুষ যাতায়াত করেছেন। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই চাপ সৃষ্টি হয়। এবার সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। গতবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারের ঈদযাত্রাকে আরো স্বচ্ছ ও আরামদায়ক করতে চাই।”

যমুনাসহ বিভিন্ন সেতুতে ম্যানুয়াল টোল আদায়ের কারণে যানজটের বিষয়ে তিনি বলেন, “ইটিসি কার্যকরভাবে চালু করা হবে। যমুনা সেতুতে দুটি ইটিসি বুথ থাকবে, যেখান দিয়ে কার্ডধারীরা দ্রুত পার হতে পারবেন।” 

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গর উপদ ষ ট ক রব ন

এছাড়াও পড়ুন:

নটর ডেম কলেজ ভবন থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজধানীর নটর ডেম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ধ্রুবব্রত দাস (১৮) মারা গেছেন। কলেজ ‘ভবনের বারান্দা থেকে পড়ে’ তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা শিক্ষার্থীদের। সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ধ্রুব পরিবারের সঙ্গে গোপীবাগের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদর মধ্যপাড়ায়। 

মৃত শিক্ষার্থীর বাবা বাণীব্রত দাস জানান, ধ্রুব এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তার প্রবেশপত্র আনার জন্য ছেলের সঙ্গে কলেজে যান তিনি। ছেলেকে ভেতরে পাঠিয়ে দিয়ে তিনি আর ধ্রুবর মা কলেজগেটের বাইরে অপেক্ষা করেন। কিন্তু একটু পর কয়েকজন শিক্ষার্থী ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ধরাধরি করে নিয়ে আসে বাইরে। তাকে প্রথমে কাছের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

মতিঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ