চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে সব আন্তনগর ট্রেন চালুর দাবিতে ‘অবরোধ ও মানববন্ধন’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে কমিউটার ট্রেন ছেড়ে যেতে প্রায় আধা ঘণ্টা বিলম্ব হয়।

কর্মসূচিতে সুজন ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিল্প ও বণিক সমিতি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। তাঁরা সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীগামী মল্লিক কমিউটার ট্রেনের সামনে অবস্থান নেন।

আয়োজনে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন সুজনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান, শিল্প ও বণিক সমিতির সহসভাপতি খাইরুল ইসলাম, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শাহনেওয়াজ খান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার আহ্বায়ক আবদুর রাহিম প্রমুখ।

সব আন্তনগর ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চালুসহ আট দফা দাবি মানার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, রহনপুর রেলবন্দর, আমনুরা জংশন রেলস্টেশন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত ডাবল রেললাইন নির্মাণ, রহনপুর পর্যন্ত কানেকটিং ট্রেন চালু, জেলার সদর হয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীতকরণ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন আধুনিকীকরণ ইত্যাদি দাবি দ্রুত মেনে নিতে হবে। তা না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

স্টেশনমাস্টার মো.

ওবায়দুল্লাহ বলেন, অবরোধ কর্মসূচির কারণে মল্লিকা কমিউটার ট্রেনটি সোয়া ১০টার পরিবর্তে ১০টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে যায়। অবরোধ সম্পর্কে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তিনি আন্দোলনের প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিদের দাবিদাওয়া নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ইনব বগঞ জ অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ