এই স্বীকৃতি আমাকে আরও এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে: মিরাজ
Published: 14th, May 2025 GMT
আইসিসির এপ্রিল মাসের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতে দারুণ উচ্ছ্বসিত মেহেদী হাসান মিরাজ। এই অর্জনকে তিনি দেখছেন তার ক্রিকেটীয় পথচলার এক বড় মাইলফলক হিসেবে।
আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড় হয়ে উচ্ছ্বসিত মিরাজ বলেন, “আইসিসি মেনস প্লেয়ার অব দ্য মান্থ হওয়া সত্যিই দারুণ সম্মানের। আইসিসির স্বীকৃতি যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর একটি। আর এই পুরস্কার যেহেতু বিশ্বজুড়ে ভোটের মাধ্যমে এসেছে, তাই আমার কাছে এর অর্থ অনেক বেশি।”
তিনি আরও বলেন, “এমন মুহূর্তগুলো আমাকে আমার যাত্রাপথের কথা মনে করিয়ে দেয় — ২০১৬ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ‘প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট’ নির্বাচিত হওয়াটা ছিল ক্যারিয়ারের শুরুতে বড় এক অনুপ্রেরণা। আর এই পুরস্কারটিও তেমনই বিশেষ অনুভব করছি।”
আরো পড়ুন:
ছোটবেলা থেকেই খুব খেলতে চাইতাম: তাসনুভা তিশা
নাটকীয় মোড়: রেকর্ড মূল্যে আইপিএলে দল পেলেন মোস্তাফিজ
পুরস্কারটি তার ভবিষ্যতের পথচলায় নতুন প্রেরণা হয়ে থাকবে উল্লেখ করে মিরাজ বলেন, “আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। এই স্বীকৃতি আমাকে আরও ভালো করার সাহস দেবে, যাতে আমি দেশের জন্য আরও অবদান রাখতে পারি। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমরা স্বপ্ন দেখি দেশের জন্য কিছু করার, মাঠে পারফর্ম করে মানুষকে খুশি করার। আইসিসির এই সম্মান আমাকে নিয়মিতভাবে আরও ভালো খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।”
শেষে তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “এই পুরস্কার শুধু আমার একার নয়। আমার সতীর্থ, কোচ এবং অসংখ্য ভক্ত-সমর্থকের অবদানে এটি সম্ভব হয়েছে। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।”
এপ্রিল মাসজুড়ে টেস্ট ক্রিকেটে বল ও ব্যাট হাতে নজরকাড়া পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন মিরাজ। বিশেষ করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজে মিরাজ ছিলেন দারুণ সব্যসাচী। সিলেট টেস্টে দল হারলেও বল হাতে দুই ইনিংসেই পাঁচটি করে মোট ১০ উইকেট তুলে নিয়ে আলো ছড়ান।
তার ধারাবাহিকতা আরও জ্বলে ওঠে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে। সেই ম্যাচে মিরাজ দারুণ অলরাউন্ড নৈপূণ্য দেখান। ব্যাট হাতে দারুণ এক সেঞ্চুরি (১০৪ রান) করার পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নেন আরও একবার পাঁচ উইকেট। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বাংলাদেশ ইনিংস ও ১০৬ রানে জয় পায়। তাতে সিরিজে ফেরে সমতা।
দুই ম্যাচের সিরিজে মিরাজ ১১.
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ক র আইস স র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ফেসবুকের ইন্টার্ন থেকে টিকটকের সিইও—যেভাবে শো জি চিউয়ের পথচলা
সারা বিশ্বের টিকটকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫০ কোটিরও বেশি। এই প্ল্যাটফর্ম শুধু বিনোদন নয়, কোটি কোটি ছোট ব্যবসা, সৃষ্টিশীল তরুণ-তরুণীর জীবিকার উৎস। আর এই প্ল্যাটফর্মের ভবিষ্যৎ আজ নির্ভর করছে একজন মানুষের কাঁধে—শো জি চিউ। তিনি সেই ব্যক্তি, যিনি ফেসবুকে ইন্টার্নশিপ দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন এবং আজ টিকটকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে বিশ্বের অন্যতম বড় প্রযুক্তি যুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
সাদামাটা শুরু: ইন্টার্ন থেকে ব্যাংকারসিঙ্গাপুরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা শো জি চিউ প্রথমে দেশটির নিয়মানুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে কাজ করেন। এরপর লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তবে তাঁর জীবনের মোড় ঘোরানো অধ্যায় শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে এমবিএ করার সময়।
হার্ভার্ডে পড়ার সময়, যখন ফেসবুক ছিল একেবারে নতুন একটি স্টার্টআপ, চিউ সেখানে ইন্টার্নশিপ করেন। তখন হয়তো তিনি কল্পনাও করতে পারেননি যে একদিন ফেসবুকের প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বের শীর্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেতৃত্ব দেবেন। ইন্টার্নশিপের অভিজ্ঞতা তাঁকে প্রযুক্তি খাতের প্রথম বাস্তব ধারণা দেয়।
হার্ভার্ডের পর তিনি দুই বছর গোল্ডম্যান স্যাকসে বিনিয়োগ ব্যাংকার হিসেবে কাজ করেন। এ সময় তিনি প্রযুক্তি খাতে বড় বিনিয়োগের কাজের সঙ্গে জড়িত হন, যা তাঁর ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বিনিয়োগ জগতে উত্থান এবং বাইটড্যান্সের সঙ্গে প্রথম সংযোগ২০০৮ সালে চিউ যোগ দেন ডিএসটি গ্লোবাল নামের এক শীর্ষ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানে। সেখানে পাঁচ বছর কাজ করার সময় তিনি আলিবাবা, জেডি ডটকমসহ একাধিক প্রযুক্তি জায়ান্টে বিনিয়োগের সুযোগ পান।
২০১৩ সালে তিনি একটি দলকে নেতৃত্ব দেন, যারা প্রথম দিকে বাইটড্যান্সে বিনিয়োগ করেছিল। সেই সময় হয়তো চিউ ভাবতেও পারেননি, একদিন তিনিই সেই কোম্পানির প্রধান পণ্য টিকটকের সিইও হবেন।
আরও পড়ুনগণপূর্ত অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬৬৯২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫শাওমিতে বড় অর্জন২০১৫ সালে চিউ চীনের স্মার্টফোন জায়ান্ট শাওমির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) হিসেবে যোগ দেন। তাঁর আর্থিক কৌশলের দক্ষতায় শাওমি দ্রুত আন্তর্জাতিক বাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে।
২০১৮ সালে শাওমির আইপিও ইতিহাস সৃষ্টি করে, যা চীনের অন্যতম বড় প্রযুক্তি আইপিও ছিল। ২০১৯ সালে চিউ শাওমির আন্তর্জাতিক মার্কেটের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং কোম্পানির বৈশ্বিক সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এই সাফল্য তাঁকে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি জগতে পরিচিত করে তোলে এবং টিকটকের দরজায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুনজাহাঙ্গীরনগরের সামিয়া ইসলাম চার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কেন অক্সফোর্ডকেই বেছে নিলেন০১ অক্টোবর ২০২৫টিকটকের নেতৃত্বে যেভাবেমার্চ ২০২১ সালে চিউ বাইটড্যান্সে প্রথম সিএফও হিসেবে যোগ দেন। মাত্র দুই মাস পর, মে ২০২১-এ তাঁকে টিকটকের সিইও করা হয়। তখন টিকটক রাজনৈতিক চাপে ছিল। তাঁর পূর্বসূরি কেভিন মেয়ার মাত্র তিন মাসের মাথায় পদত্যাগ করেছিলেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে চিউকে শুধু একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পরিচালনা নয় বরং প্রযুক্তি ও রাজনীতির এক জটিল যুদ্ধের নেতৃত্ব দিতে হয়।
হার্ভার্ডে পড়াশোনার সময় ই-মেইল চালাচালির সময়ে পরিচিত হন স্ত্রী ভিভিয়ান কাওয়ের সঙ্গে পরিচয় শো জি চিউর