‘মিশন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রেকনিং’ ছবির ফটোকলে অংশ নিয়ে কান চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চ মাতালেন ৬২ বছর বয়সী অভিনেতা টম ক্রুজ। ছবিটি প্রতিযোগিতার বাইরে প্রদর্শিত হলেও, তারকা অভিনেতার আগমন যেন ছিল এক আলাদা আকর্ষণ।
উৎসবের টমক্রুজ পরেছিলেন বেগুনি রঙের স্টাইলিশ পোশাক—প্যান্ট ও পলো-পুলওভারের একটি সমন্বয়, যা তাকে আরও তরুণ দেখাচ্ছিল। তবে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে তাঁর হাতে থাকা বিলাসবহুল রোলেক্সের ঘড়িটি।
ঘড়িটি ছিল ৪০ মিমি মাপের, ‘প্রেসিডেন্ট’ ব্রেসলেট যুক্ত, যার ডায়াল সাদা মুক্তার তৈরি এবং হীরার সূচক বসানো। ঘড়িটির ধাতব কাঠামো (প্লাটিনাম, গ্রে গোল্ড, না হোয়াইট গোল্ড)।
প্রসঙ্গত, রোলেক্স ডে ডেট মডেলটি প্রথম বাজারে আসে ১৯৫৬ সালে । এই অনন্য ঘড়ি এবং ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে টম ক্রুজ প্রমাণ করলেন—স্টাইল ও রুচির দিক থেকেও তিনি এখনো শীর্ষ তারকাদের একজন।
১৩ মে দক্ষিণ ফ্রান্সের কান শহরের পালে দে ফেস্টিভ্যালে শুরু হয়েছে ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। আসর চলবে ২৪ মে পর্যন্ত। এই উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক লালগালিচা পর্ব, যেখানে বিশ্বের খ্যাতিমান অভিনেত্রী, গায়িকা ও মডেলরা বাহারি পোশাকে হাঁটবেন।
এবারের আসরে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে ২২টি চলচ্চিত্র। এছাড়া ‘আঁ সার্তে রিগা’, ‘আউট অব কম্পিটিশন’, ‘মিডনাইট স্ক্রিনিংস’, ‘কান প্রিমিয়ার’ এবং ‘স্পেশাল স্ক্রিনিংস’-প্রতিটি বিভাগেই দেখা যাবে নানা ঘরানার, নানা দেশের চলচ্চিত্র।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ন চলচ চ ত র উৎসব টম ট চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।
সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।
খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।
তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খালটি ভরাট করার কারনে বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।