জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারীদের জন্য ১০০ আসন চায় উইমেন অ্যান্ট্রাপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ওয়েব)।

বুধবার (১৪ মে) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাসরিন ফাতেমা আউয়াল সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‍“আমরা সংসদে ১০০ জন নারীর আসন দেখতে চাই। নারীদের জন্য আসন বেশি হলে ভালো হয়। কারণ নারীরা সব কিছু ভালোভাবে বোঝে। আপনারা দেখবেন, নারী যেমন ঘর সামলায়, তেমনি সংসারের বাইরের কাজও সামলায়। নারীরা যদি আসে, তবে ভালো হবে। নারীদের দিয়ে সব কাজ ভালোভাবে করা সম্ভব।”

নাসরিন আউয়াল বলেন, “নারীদের সেইভাবে নির্বাচনে সম্পৃক্ত করা হয় না। আমরা চাই, সব নারী যেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। নারীরা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন। অনেক দিন আমরা নারী-পুরুষ সমানভাবে ভোট দিতে পারিনি। এবার আমরা সবাই সমানভাবে ভোটে অংশ নিতে চাই। ভোট এমনভাবে হোক, যেন নারী-পুরুষ একসঙ্গে ভোট দিতে পারে। আসন্ন নির্বাচনে নারীদের জন্য ১০০টি আসন চাই। সংসদে নারীর সংখ্যা খুবই কম।”

ওয়েব-এর প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি বলেন, “আমরা দেশের জন্য কাজ করছি। আমাদের যেন সমানভাবে সুযোগ দেওয়া হয়। পুরুষদের মানসিকতা বদলাতে হবে। আমরা মনে করি, নারীদের সব জায়গায় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া উচিত। আমরা নারীরা পুরুষদের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চাই। আমরা সামনে যেতে চাই না, পেছনেও যেতে চাই না। আমরা বৈষম্য দেখতে চাই না। নারীর বৈষম্য শেষ হয়েছে-এটা আর শুনতে চাই না, বাস্তবে দেখতে চাই।”

এই নারী নেত্রী বলেন, “১০০ আসনের বিষয়ে লিখিত কোনো প্রস্তাব দেইনি, মৌখিকভাবে জানিয়েছি। লিখিতভাবে বলেছি, আসন্ন নির্বাচনে আমাদের যেন পর্যবেক্ষক হিসেবে রাখা হয়।”  

সিইসি তাদের সব কথা শুনেছেন এবং আশ্বস্ত করেছেন বলেও জানান নাসরিন আউয়াল।

ঢাকা/হাসান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য আউয় ল

এছাড়াও পড়ুন:

জাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, মোট ভোটার ১১ হাজার ৯১৯

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।

এর আগে গত ১০ আগস্ট রাতে খসড়া ভোটার তালিকা ও খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ করা হয়। পরবর্তী সময়ে যেসব শিক্ষার্থীর নাম তালিকায় আসেনি তাঁদের আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়। যাচাই–বাছাই শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ও চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করেছে কমিশন।

কোন হলে কত ভোটার

চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী ২১টি আবাসিক হলে মোট ভোটার ১১ হাজার ৯১৯ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ৫ হাজার ৮৬০, আর ছাত্রী ভোটার ৬ হাজার ০৫৯।

ছাত্র হল

আলবেরুনী হলে ২১১, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৪১, শহীদ সালাম–বরকত হলে ২৯৯, মওলানা ভাসানী হলে ৫২১, ১০ নম্বর হলে ৫৪০, শহীদ রফিক–জব্বার হলে ৬৫৬, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫৭, ২১ নম্বর হলে ৭৫২, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ৯৯৪, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হলে ৯৫৪, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৭৭ জন।

ছাত্রী হল

নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৮২, জাহানারা ইমাম হলে ৪০০, প্রীতিলতা হলে ৪০২, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪১৭, সুফিয়া কামাল হলে ৪৬০, ১৩ নম্বর হলে ৫৩২, ১৫ নম্বর হলে ৫৭৬, রোকেয়া হলে ৯৫৭, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৮০৮, বীর প্রতীক তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন।

আজ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

তফসিল অনুযায়ী আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এবং আগামীকাল মঙ্গলবার একই সময়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে। তবে প্রার্থীকে নিজে উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন জমা দিতে হবে।

মনোনয়নপত্রের নির্দেশনা

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সাত দফা নির্দেশনা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে রয়েছে—

১. একজন প্রার্থী একাধিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।

২. প্রতিটি মনোনয়নপত্রে একজন প্রস্তাবক ও একজন সমর্থকের স্বাক্ষর, শিক্ষাবর্ষ ও বিভাগ উল্লেখ করতে হবে।

৩. একই ব্যক্তি একাধিক প্রার্থীর প্রস্তাবক বা সমর্থক হতে পারবেন না (কার্যকরী সদস্য পদ ছাড়া)। কার্যকরী সদস্য পদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছয়জনের (তিন নারী, তিন পুরুষ) প্রস্তাবক বা সমর্থক হওয়া যাবে।

৪. মনোনয়ন জমার সময় শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র বা ছবিযুক্ত লাইব্রেরি কার্ড/ইনডেক্স কার্ড প্রদর্শন করতে হবে।

৫. প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে সব পাওনা পরিশোধের প্রমাণ দিতে হবে।

৬. মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি জমা দিতে হবে (দুই মাসের বেশি পুরোনো ছবি গ্রহণযোগ্য নয়)।

৭. প্রতিটি হলে মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও জমাদানের জন্য পৃথক রেজিস্ট্রার খাতা সংরক্ষণ করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ