ডেন্টাল অ্যানাটমি বিষয়ে এমডি পাস করেছেন ডা. মুশফিকুর রহমান ও ডা. খন্দকার ইমানুজ্জামান ইমন। তারা বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেন্টাল অ্যানাটমি বিষয়ে এই ডিগ্রি অর্জন করেছেন। যা দেশের ইতিহাসে প্রথম। ডা. মুশফিকুর সাপ্পোরো ডেন্টাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল ও ডা. ইমানুজ্জামান ঢাকা ডেন্টাল কলেজে শিক্ষকতা করছেন।

ডা.

মুশফিকুর দাঁতের মরফোলজি ও ক্র্যানিওফেসিয়াল কাঠামো সম্পর্কে সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের উপলব্ধি তৈরিতে ত্রিমাত্রিক শারীরবৃত্তীয় মডেলিং, ডিজিটাল সিমুলেশনের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি একীভূতকরণে কাজ করছেন। তাত্ত্বিক জ্ঞানকে ক্লিনিকাল দক্ষতার সঙ্গে যুক্ত করে ভবিষ্যৎ ডেন্টিস্টদের বিশ্লেষণী ও ব্যবহারিক দক্ষতায় সমৃদ্ধ করা তার লক্ষ্য।

ডা. মুশফিকুর ওরাল হিস্টোলজি স্লাইড প্রস্তুতকরণ, ল্যাবভিত্তিক ডেন্টাল অ্যানাটমি শিক্ষার ওপর গুরুত্বের পাশাপাশি নিজ হাতে তৈরি স্লাইডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দাঁতের টিস্যু ও কোষের গঠনবিন্যাস সরাসরি পর্যবেক্ষণে সহায়তা করছেন।

অন্যদিকে, ডা. ইমানুজ্জামান ডেন্টালের বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে ডেন্টাল অ্যানাটমির আন্তঃসম্পর্ক অন্বেষণে আন্তঃবিভাগীয় সহযোগিতাকে উৎসাহিত করছেন। তার লক্ষ্য, প্রমাণভিত্তিক চর্চার মাধ্যমে জটিল মৌখিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ এক প্রজন্ম গড়ে তোলা।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেন্টাল অ্যানাটমি বিষয়ে প্রথম এমডি স্নাতক হিসেবে ডা. মুশফিকুর রহমান ও ডা. খন্দকার ইমানুজ্জামান ইমনের এই অর্জন দেশের দন্ত চিকিৎসা শিক্ষায় এক অনন্য মাইলফলক বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

উদ্ভাবন, সুলভতা ও ক্লিনিকাল উৎকর্ষের ভিত্তিতে ডেন্টাল অ্যানাটমি শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার তাদের এই যৌথ প্রত্যয় আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং বৈশ্বিক ডেন্টাল কমিউনিটিতে বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

ঢাকা/রাসেল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড ন ট ল অ য ন টম করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যাংক একীভূত হবেই, আতঙ্কের কিছু নেই-গভর্নর

ব্যাংক একীভূত হবেই, এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, ব্যাংক একীভূতকরণের আলোচনা একটি চলমান প্রক্রিয়া। এতে আমানত নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত থাকবে। সরকার আমানতকারীদের দায়িত্ব নেবে। কবে নাগাদ কোন ব্যাংক কার সঙ্গে একীভূত হবে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। তবে আমানতকারীদের এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। সবাই টাকা ফেরত পাবেন।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা ঘোষণা অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। একীভূতকরণের আলোচনায় থাকা পাঁচটি ব্যাংকের মধ্যে চার ব্যাংকের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠক করেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ব্যাংকগুলো হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক। এক্সিম ব্যাংক সভায় উপস্থিত ছিল না।

জানা গেছে, ব্যাংক একীভূতকরণের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরুর ধাপ হিসেবে ধারাবাহিকভাবে এই বৈঠক করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে মূলত একীভূত করতে কত টাকা প্রয়োজন হতে পারে ও পদক্ষেপগুলো কী কী হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। টাকার চাহিদা দিয়ে শিগগিরই সরকারকে চিঠি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক অক্টোবরের মধ্যে পাঁচটি ইসলামি ব্যাংককে একীভূত করতে চায়। গত জুনে ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও এমডিকে নিয়ে এক বৈঠক থেকে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বার্তা দেওয়া হয়।

পাঁচটি ব্যাংক একীভূতরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিয়ে সম্পদের মূল্যায়ন করিয়েছে। এই মূল্যায়নে ইউনিয়ন ব্যাংকের ২৬ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৯৭ দশমিক ৮০ শতাংশ খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের ৫৮ হাজার ১৮২ কোটি টাকা বা ৯৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ খেলাপি। গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংকের ১৩ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা বা ৯৫ শতাংশ খেলাপি। সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকের ২৩ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা বা ৬২ দশমিক ৩০ শতাংশ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। আর এক্সিম ব্যাংকের ২৫ হাজার ১০১ কোটি টাকা বা ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। তবে এক্সিম ব্যাংক একীভূত হতে চায় না। এরই মধ্যে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে তাদের আপত্তির কথা জানানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যাংক একীভূত হবেই, আতঙ্কের কিছু নেই-গভর্নর