শাহরিয়ারের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাদা দল
Published: 14th, May 2025 GMT
দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে তারা।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। বিবৃতিতে সই করেছেন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো.
বিবৃতিতে বলা হয়, গোটা দেশের মানুষ যখন দেশে একটি জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মতো একটি এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে খুন করার ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত হতে পারে। কেননা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি অপরাধ ও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়। অতীতেও বিভিন্ন সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে এবং সেগুলোর কোনো দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয়নি। ফলে একের পর এক খুনের ঘটনা উদ্বেগ তৈরি করছে।
আরও পড়ুনশাহরিয়ার ও তাঁর দুই বন্ধুর ওপর হামলা চালায় ১০–১২ জনের একটি দল৩ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর সারা দেশে ধারাবাহিকভাবে খুনের ঘটনা ঘটছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, বিশেষ করে বিএনপি ও জাতীয়তাবাদী দলের নেতা–কর্মীদের টার্গেট করা হচ্ছে বলে খবরে জানা যাচ্ছে। অথচ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সবার প্রত্যাশা ছিল যে ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে বিচার হবে। কিন্তু সেই সব ঘটনার আদৌ কোনো অগ্রগতি এখনো দৃশ্যমান নয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
সীতাকুণ্ডে পুরোনো জাহাজের নিরাপত্তা সরঞ্জামের তিন দোকানে আগুন, মহাসড়কে যানজট
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পুরোনো জাহাজের নিরাপত্তা সরঞ্জামের (ফায়ার সেফটি আইটেম) তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের চেয়ারম্যানঘাটা এলাকার মেঘনা ব্যাংকসংলগ্ন শিবলী মার্কেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারণে রাত সাড়ে আটটা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
মার্কেটটির মালিক উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি কুতুব উদ্দিন। দোকানগুলোর মালিক মো. জয়নাল আবেদীন ও খোকন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, দোকানগুলোতে পুরোনো জাহাজের নিরাপত্তা সরঞ্জাম, শিল্পীদের আঁকা ছবি ও ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ বিক্রি হতো।
পাশের ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম বলেন, আগুন লাগার পর মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, এর ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় ৪৫ মিনিট পরে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
দোকান পুড়ে যাওয়ার সময় কুতুব উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে ফায়ার সার্ভিসের দেরি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, দীর্ঘ যানজটের কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে, তবে কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে জানা যাবে। কেউ হতাহত হননি।
আগুন নেভানোর সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে। আজ রাত সাড়ে ১০টায়