শেষ মুহূর্তে চলতি আইপিএলে দল পেলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। গতকাল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের পরিবর্তে বাংলাদেশি বাঁহাতি পেসারকে নেওয়ার কথা জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে দিল্লি, যা দ্রুতই ভাইরাল হয়ে ওঠে। ভারতীয় গণমাধ্যমেও গুরুত্ব দিয়ে প্রচারিত হয় খবরটি।

এই চুক্তির আর্থিক দিকটিও বেশ চমক জাগানিয়া। এক মৌসুমের জন্য মুস্তাফিজের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ কোটি রুপি। তবে প্রশ্ন উঠেছে—মাত্র তিনটি লিগ ম্যাচ বাকি থাকতে আইপিএলে ডাক পাওয়া মুস্তাফিজ কি পুরো ৬ কোটি রুপিই পাবেন?

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজলে কিছুটা হতাশই হতে পারেন ফিজ ভক্তরা। কারণ, আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী চুক্তির সম্পূর্ণ অর্থ কোনো বদলি খেলোয়াড় পান না। আইপিএল নীতিমালার ধারা ৬.

৬ অনুসারে, বদলি খেলোয়াড়ের পারিশ্রমিক মূল চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত অর্থের চেয়ে বেশি হতে পারে না এবং তার যোগদানের আগে যতগুলো ম্যাচ হয়ে গেছে, সেই অনুপাতে অর্থ কেটে রাখা হয়।

অর্থাৎ, মুস্তাফিজ পুরো মৌসুমের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেও, তিনি খেলতে পারবেন কেবল শেষের কয়েকটি ম্যাচ। তাই তার আয় নির্ধারিত হবে ম্যাচ অনুপাতে। তবু এটুকু বলাই যায়, আইপিএলের ইতিহাসে এটাই বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের জন্য সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক।

তবে শেষ পর্যন্ত মুস্তাফিজ আদৌ আইপিএল খেলতে পারবেন কি না, সেটাও এখনও নিশ্চিত নয়। বর্তমানে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন, সেখানে স্বাগতিক আমিরাতের বিপক্ষে ১৭ ও ১৯ মে শারজাহতে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল।

এই সিরিজ চলাকালেই দিল্লি খেলবে তাদের পরবর্তী তিনটি ম্যাচ—১৮ মে গুজরাট টাইটান্স, ২১ মে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও ২৪ মে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে। প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনাও আছে দলটির, তাই মুস্তাফিজকে এখনই দলে পেতে আগ্রহী তারা।

তবে এখনও বিসিবি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ছাড়পত্র বা এনওসি দেওয়া হয়নি। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ জানিয়েছে, আইপিএল বা বিসিসিআই এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে এনওসির বিষয়ে যোগাযোগ করেনি। যদিও আইপিএলের নাম তালিকায় থাকা মানেই এনওসির বিষয়টি আগেই নিশ্চিত হয়ে থাকে।

জাতীয় দলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘পাঁচজন পেসার থাকায় আমিরাত সিরিজে একজন না থাকলে খুব একটা সমস্যা হবে না। সেক্ষেত্রে টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলে মুস্তাফিজকে ছাড় দিতেই পারে।’

তবে বিসিবি সূত্রে আরও জানা গেছে, হয়তো ১৯ মে সিরিজ শেষ করে তবেই আইপিএলে যোগ দিতে পারবেন মুস্তাফিজ। তাই ফিজকে দিল্লির জার্সিতে মাঠে দেখা যাবে কি না, তা জানতে অপেক্ষা আরও কিছু সময়ের।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম স ত ফ জ র রহম ন দ ল ল ক য প ট লস

এছাড়াও পড়ুন:

পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক

৭ বছরের বিরতির পর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নতুন নেতৃত্ব।

তবে পূজার ছুটি শেষ না হওয়ায় এখনও হয়নি অভিষেক ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। ফলে দায়িত্বভার নিতে পারছেন না নবনির্বাচিতরা।

আরো পড়ুন:

গকসুর জিএস, এজিএসের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আপত্তি, পুনর্নির্বাচন দাবি

চাকসু নির্বাচন: দুই নারী প্রার্থীকে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপূজার পর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের অভিষেক। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও নির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি। এতে নির্বাচনের পর যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তা এখন রূপ নিয়েছে অপেক্ষার আবহে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ২৫ সেপ্টেম্বর দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ৭ বছরের ব্যবধান ঘুচিয়ে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব বেছে নেন। ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, প্রার্থীদের প্রচারণা আর ভোটের দিন ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে তোলে।

ভোট শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হলেও আনুষ্ঠানিক অভিষেক না হওয়ায় এখনো কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি তারা।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেশমা আক্তার বলেন, “গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হলেও নির্বাচিত সদস্যরা এখনও শপথ গ্রহণ করেননি। এই বিলম্বের সুযোগে কিছু মহল নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এই গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে সফল করতে এবং অপপ্রচার রোধে নির্বাচিত সদস্যদের দ্রুত শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করা জরুরি। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করতে পারেন।”

সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান বলেন, “নির্বাচনের পরের দিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল এবং দুর্গাপূজার ছুটির কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন পূজার ছুটির পর যতদ্রুত সম্ভব অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, “ছুটি শেষে শপথ গ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এখন পর্যন্ত কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।”

২০১৩ সালে প্রথমবার গকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২৫ সেপ্টেম্বর চতুর্থ নির্বাচনে সম্পাদকীয় ও অনুষদ প্রতিনিধি মিলিয়ে মোট ১২টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫৮ জন প্রার্থী। ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৭৬১ জন।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ভবন ধস: ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও আটকা ৯১ জন
  • বাজেট বিল নিয়ে অচলাবস্থা, শাটডাউনের পথে যুক্তরাষ্ট্র
  • পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক
  • পিসিবির হঠাৎ সিদ্ধান্ত, বিদেশি লিগে খেলতে পারবেন না বাবর-রিজওয়ান-আফ্রিদিরা