‘দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিসকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়’
Published: 16th, May 2025 GMT
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার বলেছেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অগ্নিকাণ্ড, দুর্ঘটনাসহ যেকোনো দুর্যোগ মুহূর্তে অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে। এরপরও ট্রাফিক পরিস্থিতি ও জনতার মতো অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় তাদের।
তিনি ফায়ার সার্ভিসের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরতে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্যদের নিয়ে অগ্নিনির্বাপণ, উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক দুদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ক্র্যাবের প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জসীম উদ্দীনসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের সিনিয়র স্টাফ অফিসার মো.
ফায়ার সার্ভিসের সিদ্দিক বাজার স্টেশনের উদাহরণ তুলে ধরে কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার বলেন, আমাদের এই স্টেশনটি অত্যন্ত সক্রিয়। প্রায় প্রতিদিনই অগ্নিদুর্ঘটনার মতো ঘটনা ঘটে এবং ফায়ার সার্ভিসের সেখানে যেতে হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খবর পাওয়া মাত্র কত দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তা নিয়ে যেকোনো গণমাধ্যম চাইলে ডকুমেন্টারি তৈরি করতে পারে। এটা প্রচার হওয়া দরকার। কারণ এতে জনগণ বুঝতে পারবেন যে, কোনো দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কত অল্প সময়ে সাড়া দেন।
আগুন বা দুর্ঘটনায় একটি ফায়ার স্টেশন থেকে কর্মীরা যখন ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হন, তখন বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা বা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সড়কের ট্রাফিক একটি বড় সমস্যা। কখনো-কখনো অগ্নি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর জনতার মুখোমুখিও হতে হয়। এই বিষয়টি তুলে ধরার জন্য যেকোনো গণমাধ্যম বা সাংবাদিক চাইলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বা ডকুমেন্টারি তৈরি করতে পারেন। আমরা সেই সুযোগটি করে দিতে চাই। তাতে জনগণ বুঝতে পারবে ফায়ার সার্ভিস আসলে কতটা সক্রিয় এবং কী কী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।
দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অর্জিত জ্ঞান সাংবাদিকরা পেশাগত কাজে লাগাতে পারবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সাংবাদিকরা যেকোনো অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে পারব। এতে সাংবাদিকরা যেমন বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন, তেমনি আমাদের বিষয়গুলোও সাংবাদিকরা জানতে পারবেন।
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
কর্মশালায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) ৪৫ জন সদস্য অংশ নেন। কর্মশালায় হাতে-কলমে অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবিলা, ভূমিকম্পে সাবধানতা ও করণীয়, অগ্নিকাণ্ড, বন্যা ও পাহাড় ধসের মতো ঘটনায় মাঠপর্যায়ের রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের করণীয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
ক্র্যাবের প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক জসীম উদ্দীন বলেন, মাঠপর্যায়ে যেসব অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিক রিপোর্টিং করেন, তাদের জন্য সেফটি ও সিকিউরিটি সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে দুর্যোগ ও অগ্নিদুর্ঘটনায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সচেতনতামূলক জ্ঞান থাকা জরুরি। এক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের এই প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ক্র্যাবের যুগ্ম সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ লাবু, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান, দপ্তর সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী, ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের সিনিয়র স্টাফ অফিসার মো. শাহজাহান শিকদার প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রব ন কর ম র ব দ কর ঘটন য ঘটন স
এছাড়াও পড়ুন:
পিআর ইস্যু নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টিকারীরা দেশের আদর্শে বিশ্বাসী নয়: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) ইস্যু নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টিকারীরা দেশের আদর্শে বিশ্বাসী নয়। তারা নিজের আদর্শে বিশ্বাস করে, তাদের নিজেদের দলীয় আদর্শে বিশ্বাস করে।
তিনি বলেন, যদি পিআর পদ্ধতি হয় সেখানে জনগণ দলকে ভোট দেবে। কিন্তু তারা জানবে না যে তাদের প্রার্থী কে, কে এমপি হবে। তাহলে তারা কীভাবে সঠিকভাবে ভোট দেবে? ভোট পাওয়ার পর দল সিলেকশন করবে কাকে এমপি বানাবে। তাহলে সেখানে জনগণের প্রতিনিধিত্ব কীভাবে হলো?
সোমবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, আজকে যারা বড় বড় কথা বলে, জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে যারা আত্মত্যাগ করেছে, রাজপথে যারা ছিল তারা কারা ছিল? তারা মুখে কখনো বলেনি যে তারা বিএনপি। তারা পরিচয় দিয়েছিল তারা সাধারণ ছাত্র। কিন্তু সেই ছাত্র-জনতার শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ বিএনপির প্রতিনিধি ছিল।
তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, বাংলাদেশ কারও একক সম্পত্তি নয়। এক বছর আগে আওয়ামী লীগ মনে করেছিল, বাংলাদেশ তাদের একক পৈত্রিক সম্পত্তি এবং এর পরিণতি দেশের মানুষ তাদের দেখিয়ে দিয়েছে। আজকে যদি আবার কেউ মনে করে বাংলাদেশ তাদের একক সম্পত্তি। সেটা তাদের মারাত্মক ভুল হবে এবং আমি তাদের বলব ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজকে মুখে মুখে অনেকে বড় কথা বলতে পারে। আজ এমন একটা ভাব যে অনেকেই বাংলাদেশের মালিক হয়ে গেছে। রাজপথে আসুন। বিএনপির নেতাকর্মীরা এক লাখ মামলা খেয়েছে, বাংলাদেশে আর কেউ খায়নি। বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করে তাদের পেছনে পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছিল। আজকে যারা বড় কথা বলছেন, তাদের কার বিরুদ্ধে স্বৈরাচার সরকারের সময়ে কী অন্যায়-অত্যাচার হয়েছিল, তার হিসাব করুন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, পিআর পদ্ধতি চাওয়ার পেছনে ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে। এতে লাভবান কারা হবে তা ভাবতে হবে। ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হলে ফ্যাসিস্টরা সুযোগ পাবে।